বিশ্বনাট্যদিবস সম্মাননা পাচ্ছেন মামুনুর রশীদ

27 Mar 2023, 02:53 PM রঙ্গশালা শেয়ার:
বিশ্বনাট্যদিবস সম্মাননা পাচ্ছেন মামুনুর রশীদ

প্রতিবছর নানা আয়োজনে বিশ্বনাট্যদিবস উদ্‌যাপন করা হয়। এবারও ঢাকায় বিশ্ব নাট্যদিবস ২০২৩ পালন করা হবে। এ বছর নাট্যাঙ্গনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় বিশ্ব নাট্যদিবস সম্মাননা পাচ্ছেন অভিনেতা, নির্দেশক, নাট্যকার মামুনুর রশীদ।

বিশ্বের সব নাট্যকর্মী ও শিল্পীর মধ্যে সৌহার্দ্য স্থাপন ও নাটকের শক্তিকে নতুন করে আবিষ্কার করার লক্ষ্যে আজ ২৭ মার্চ, ২০২৩ সোমবার শিল্পকলা একাডেমিতে দিবসটি পালন করছে শিল্পকলা একাডেমি, আইটিআই বাংলাদেশ কেন্দ্র, গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন ও পথনাটক পরিষদ।

সন্ধ্যা সাতটায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মামুনুর রশীদসহ গত তিন বছরে সম্মাননাপ্রাপ্ত শিল্পীদের সম্মাননায় ভূষিত করা হবে। গত তিন বছরে নাট্যদিবস সম্মাননা পেয়েছেনÑ ২০২২ খ্রিষ্টাব্দে মান্নান হীরা [মরণোত্তর], ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে লিলি চৌধুরী [মরণোত্তর] এবং ২০২০ খ্রিষ্টাব্দে মিলন চৌধুরী ও পরেশ আচার্য্য।  করোনাভাইরাস মহামারির কারণে মাঝখানে তাঁদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেওয়া হয়নি।

এদিন বিকেল পাঁচটায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা থেকে চারুকলা ভবন পর্যন্ত আনন্দ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে। সন্ধ্যা ছয়টায় জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় প্রীতি সম্মিলনী অনুষ্ঠান হওয়ার পর সন্ধ্যা সাতটায় জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে হবে আলোচনা সভা। এতে নাট্যদিবসের আন্তর্জাতিক বাণী পাঠ করা হবে। প্রতিবছর আইটিআইর একজন বিশিষ্টজনকে এটি দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়। এ বছর বাণী দিয়েছেন মিসরীয় অভিনেত্রী সামিহা আইয়ুব। জাতীয় বাণী পাঠ করবেন লিয়াকত আলী, নাট্যদিবস বক্তৃতা উপস্থাপন করবেন মাসুদ আলী খান। এরপর রাত আটটায় সমাপনী আয়োজনে থাকছে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ; শিল্পীকলা একাডেমির শিল্পীরা এতে গান ও নাচ পরিবেশন করবেন।

১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দের জুন মাসে ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের [আইটিআই] নবম কংগ্রেসে বিশ্বথিয়েটারদিবস প্রবর্তনের প্রস্তাব গৃহীত হয়। পরের বছর [১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দে] প্যারিসে অনুষ্ঠেয়  থিয়েটার অব নেশনস উৎসবের সূচনার দিনটি, অর্থাৎ ২৭ মার্চ প্রতিবছর বিশ্বনাট্যদিবস উদ্‌যাপনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। দিবসটি পালনের মূল লক্ষ্য হচ্ছে, বিশ্বের সব দেশের নাট্যকর্মীর মধ্যে ঐক্য স্থাপন, সম্প্রীতি ও উদ্দীপনার সৃষ্টি এবং এর মাধ্যমে নাটকের উন্নয়ন সাধন করা। বিভিন্ন দেশে বিদ্যমান ইন্টারন্যাশনাল থিয়েটার ইনস্টিটিউটের [আইটিআই] স্থানীয় কেন্দ্রগুলো প্রধানত এই দিবস পালনের জন্য কর্মসূচি গ্রহণ করে।