এবারে ঈদ এবং পয়লা বৈশাখ একই সাথে পালিত হবে। আর বৈশাখ মানেই উষ্ণতা অর্থাৎ গরমের মাঝে ইদ উদ্যাপিত হবে। সেক্ষেত্রে আমাদের স্টাইলের পাশাপাশি কমফোর্ট অর্থাৎ স্বস্তিকেও প্রাধান্য দিতে হবে। বাসায় যারা শিশু এবং বয়ষ্ক আছেন তাদের দিকে খেয়াল রাখতে হবে, তারা যেন পানিশূন্যতায় না ভোগেন। তাদের জন্য আরামদায়ক পোশাক নির্বাচন করতে হবে।
যেহেতু রোজার সময় দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা হয়, পানীয় ও খাদ্য থেকে বিরত থাকা হয়, তাই ঈদের দিনে আমরা হঠাৎ করে অনেক বেশি কিছু খেয়ে ফেলবো না। পোর্শন কন্ট্রোল করবো অর্থাৎ একটু একটু করে খেয়ে আমাদের পরিপাকতন্ত্রকে খাবারের সাথে বা এই হঠাৎ পরিবর্তনের সাথে অভ্যস্ত করে তুলবো। আমাদের মাইন্ডফুল ইটিংয়ের প্রাকটিস করতে হবে। মাইন্ডফুল ইটিং হলো, যে খাবারটি গ্রহণ করব সেহরি বা ইফতারে আমরা অনেকটা সময় ধরে চিবিয়ে খাবো। কারণ, একটি খাবার গ্রহণের পরে ব্রেইনে সে সিগনালটি তৈরি হতে প্রায় ২০ মিনিটের মতো সময় লাগে। এই মাইন্ডফুল ইটিং প্রাকটিসেই আমি একটু আগে যে কথাগুলো বলেছিলাম যে, আমাদের স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট, ডিহাইড্রেশন, স্ট্রেস এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করবে। ঈদের আনন্দ তো শুধু একদিন না, কয়েকদিন ধরে চলে। আর যেহেতু বৈশাখ আছে, আমাদের ইনডোর, আউটডোর অ্যাক্টিভিটিসও থাকবে। আমাদের মেকআপ, প্রসাধনী এবং পোশাক এবং জুতোও নির্বাচন করতে হবে পরিবেশের তাপমাত্রা অনুযায়ী।
প্রসাধনীর ক্ষেত্রে আমি সব সময় বলি যে ঈদের একদিন বা দু’দিন আগে প্রসাধনী, স্কিন ব্রাইটেনিং কোনো প্রোডাক্ট, চুলের কোনো ট্রিটমেন্ট নেবেন না। একটু সময় নিয়ে আগে থেকেই নেবেন। ঈদের একদিন-দু’দিন আগে আমরা দেখবো যে আমাদের মেকআপ অ্যাপ্লাই করার যে টুলসগুলো আছে ব্লেন্ডার বা ব্রাশ এগুলো পরিষ্কার আছে কি না। আমাদের যে প্রোডাক্টগুলো আছে এগুলোর শেল্ফ টাইম বা মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখগুলো চেক করবো। দীর্ঘদিন অব্যবহৃত প্রোডাক্ট ব্যবহারের ফলেও কিন্তু এ সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। আমরা যদি কোনো ট্রিটমেন্ট নিতে চাই, অ্যাস্থেটিক সার্ভিস নিতে চাই সেটি ১ সপ্তাহ আগে কোনো স্কিল্ড, প্রফেশনাল বা এক্সপার্ট-এর কাছ থেকে আমরা ট্রিটমেন্টগুলো নেব। সেটি হেয়ার এবং স্কিনের উভয়ের ক্ষেত্রেই।
আর যারা দূরে যাবেন, ভ্যাকেশনে যাবেন, তারা সব প্রোডাক্টগুলো ট্রাভেল ফ্রেন্ডলি ব্যাগে রাখবেন এবং হাতের নাগালেই রাখবেন। অন্য জায়গায় গিয়ে নতুন কোনো প্রোডাক্ট ব্যবহার করে ত্বকে এক্সপেরিমেন্ট করবেন না। স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্যে কাটুক ঈদ।
লেখক : চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ