চলচ্চিত্রের সবচেয়ে অভিজাত পুরস্কার ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০’-এর আসর বসবে ২৩ মার্চ, বুধবার, রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। এক বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিজয়ীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে। এই তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন, তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব [চলচ্চিত্র-১] সাইফুল ইসলাম। বিস্তারিত লিখেছেন শেখ সেলিম...
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের কারণে সারাপৃথিবীর মতো বাংলাদেশেও তেমন একটা ছবি মুক্তি পায়নি। যে-ক’টি ছবি মুক্তি পেয়েছে। এই ছবির মধ্য থেকে বাছাই করা হয়েছে ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ২৩ মার্চ বুধবার ২০২২ খ্রিস্টাব্দে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজয়ীদের হাতে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।
তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব [চলচ্চিত্র-১] সাইফুল ইসলাম তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, ২৩ মার্চ ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০’ প্রদান করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হয়ত ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন। তার সরাসরি আয়োজনে উপস্থিত থাকা বা না থাকার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে ২৭টি ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
এবার যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কার পেয়েছে ‘গোর’ ও ‘বিশ্বসুন্দরী’ সিনেমা। ‘বিশ্বসুন্দরী’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন সিয়াম আহমেদ এবং ‘গোর’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন রোজালিন দীপান্বিতা মার্টিন।
আজীবন সম্মাননা পেয়েছেন অভিনয়শিল্পী আনোয়ারা বেগম ও রাইসুল ইসলাম আসাদ।
এবার শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন গাজী রাকায়েত হোসেন [গোর]। শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতেছে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ‘আড়ং’। শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার পেয়েছে ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়’।
পার্শ্ব চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন ফজলুর রহমান বাবু [বিশ্বসুন্দরী] ও অপর্ণা ঘোষ [গণ্ডি]। খল চরিত্রে শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন মিশা সওদাগর [বীর]। শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পীর পুরস্কার পেয়েছে মুগ্ধতা মোরশেদ ঋদ্ধি [গণ্ডি]। শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে মো. শাহাদৎ হাসান বাঁধন [আড়ং, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত]।
শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন বেলাল খান [হৃদয়জুড়ে]। শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক প্রয়াত মো. সহিদুর রহমান [বিশ্বসুন্দরী]। শ্রেষ্ঠ গায়ক ইমরান মাহমুদুল [বিশ্বসুন্দরী]। শ্রেষ্ঠ গায়িকা দিলশাদ নাহার কণা [বিশ্বসুন্দরী] ও সোমনূর মনির কোনাল [বীর]। শ্রেষ্ঠ গীতিকার কবির বকুল [বিশ্বসুন্দরী]। শ্রেষ্ঠ সুরকার ইমরান মাহমুদুল [বিশ্বসুন্দরী]।
শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন গাজী রাকায়েত হোসেন [গোর]। শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার গাজী রাকায়েত হোসেন [গোর]। শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা ফখরুল আরেফীন খান [গণ্ডি]। শ্রেষ্ঠ সম্পাদকের পুরস্কার পেয়েছেন মো. শরিফুল ইসলাম [গোর]।
শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক বিভাগে পুরস্কার পেয়েছেন উত্তম কুমার গুহ [গোর]। শ্রেষ্ঠ চিত্রগ্রাহক পঙ্কজ পালিত ও মো. মাহবুব উল্লাহ নিয়াজ [গোর]। শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক কাজী সেলিম আহম্মেদ [গোর]। শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জায় এনামতারা বেগম [গোর] এবং শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান হিসেবে পুরস্কার পেয়েছেন মোহাম্মদ আলী বাবুল [গোর]।
আনোয়ারা বেগম
চলচ্চিত্রাভিনেত্রী আনোয়ারা বেগম ১ জুন ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে কুমিল্লার দাউদকান্দিতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মোট ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভ‚ষিত হন।
আনোয়ারা গতশতকের ষাটের দশকে বাংলা চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। একজন নৃত্যশিল্পী হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু হয়। ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে অভিনেতা আজিমের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্রে আসেন। তার প্রথম অভিনীত ছবি আব্দুল জব্বার খান পরিচালিত ‘নাচঘর’। ছবিতে তিনি নৃত্যশিল্পী হিসেবে কাজ করেন। ছবিটি ১৯৬৩ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তি পায়। একই বছরে মুক্তি পায় ‘প্রীত না জানে রীত’ এই ছবিতেও তাকে নৃত্যশিল্পী হিসেবে দেখা যায়। ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে তিনি জহির রায়হানের ‘সংগম’ ছবিতে প্রথম সহ-অভিনেত্রী হিসেবে অভিনয় করেন। ১৯৬৭ খ্রিষ্টাব্দে ‘বালা’ ছবিতে নায়িকা হিসেবে প্রথম অভিনয় করেন তিনি।
আনোয়ারা তার প্রায় পঞ্চাশ বছরের অভিনয় জীবনে সাড়ে ছয়শ’রও অধিক ছবিতে অভিনয় করেন। পাশাপাশি মঞ্চ ও টিভি নাটকেও অভিনয় করেন। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে একবার সেরা অভিনেত্রীসহ মোট আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলো হচ্ছে, গোলাপী এখন ট্রেনে [১৯৭৮], সুন্দরী [১৯৭৯], সখিনার যুদ্ধ [১৯৮৪], শুভদা [১৯৮৬], মরনের পরে [১৯৯০], রাধাকৃষ্ণ [১৯৯২], বাংলার বধূ [১৯৯৩] ও অন্তরে অন্তরে [১৯৯৪]। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদান রাখায় আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন গুণী এই অভিনেত্রী।
রাইসুল ইসলাম আসাদ
অভিনেতা রাইসুল ইসলাম ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ জুন জন্মগ্রহণ করেন। তিনি একাধারে বেতার, মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। অভিনয়ে স্বীকৃতি হিসেবে পদ্মা নদীর মাঝি [১৯৯৩], অন্য জীবন [১৯৯৫], দুখাই [১৯৯৭] ও লালসালু [২০০১] চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য চারবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং ৪৫তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা লাভ করেন। ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করেন।
তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে পড়াশোনা করেন। পরবর্তীকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৭২ খ্রিষ্টাব্দে আসাদ প্রথম মঞ্চনাটকে অভিনয় করেন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ১৯৭৩ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তি পায় ।
তার উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে রয়েছে তানভীর মোকাম্মেলের লালন [২০০৪], সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে গৌতম ঘোষের মনের মানুষ [২০১০], মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে গৌতম ঘোষের পদ্মা নদীর মাঝি [১৯৯৩] প্রভৃতি। গুণী এই অভিনেতা ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালীন ঢাকায় গেরিলা যুদ্ধে অংশ নেন।
গাজী রাকায়েত
অভিনেতা, নাট্যকার ও চলচ্চিত্র পরিচালক গাজী রাকায়েত ১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ জুন ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে গেন্ডারিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং ১৯৮৫ খ্রিষ্টাব্দে নটরডেম কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় [বুয়েট] থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতক সম্পন্ন করেন। নাটকে অভিনয় দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু হলেও পরে তিনি চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হন। তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র নদীর নাম মধুমতী [১৯৯৫]। পরবর্তীসময়ে তিনি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক খেলাঘর [২০০৬], নাট্যধর্মী আহা ! [২০০৭], নাট্যধর্মী চন্দ্রগ্রহণ [২০০৮], মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক দ্য লাস্ট ঠাকুর [২০০৮], নাট্যধর্মী প্রিয়তমেষু [২০০৯], মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আমার বন্ধু রাশেদ [২০১১] ও গেরিলা [২০১১] চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে মৃত্তিকা মায়া ছবিটি পরিচালনা করেন। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি এখন পর্যন্ত [২০১৭] এক বছরে সর্বাধিক পাঁচটি বিভাগে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়াও তিনি ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দের অনিল বাগচীর ‘একদিন’ চলচ্চিত্রে আইয়ুব আলী চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
তিনি দীর্ঘদিন নাগরিক নাট্যস¤প্রদায়ের সদস্য হিসেবে মঞ্চে কাজ করেছেন। গাজী রাকায়েত ‘চারুনিড়ম অভিনয় স্কুল’-এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।
দিলশাদ নাহার কণা
সংগীতশিল্পী দিলশাদ নাহার কণা ১৫ এপ্রিল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ঢাকার মগবাজার বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এবং লালমাটিয়া কলেজের ছাত্রী ছিলেন। মাত্র চারবছর বয়েসেই গানের সঙ্গে সখ্য গড়ে ওঠে কণার। মাত্র পাঁচবছর বয়েসে একটি গানের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেন। কণা তার সংগীতজীবন শুরু করেন ২০০০ খ্রিস্টাব্দে। কণার প্রথম অ্যালবাম ‘জ্যামিতিক ভালোবাসা’, প্রকাশ পায় ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে। তার দ্বিতীয় একক অ্যালবাম ফুয়াদ ফিচারিং কণা বের হয় ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে ‘কণা’ নামে। তার তৃতীয় একক অ্যালবাম ‘সিম্পলি কণা’ বের হয় ১৮ আগস্ট ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে।
কণা ‘জ্যামিতিক ভালোবাসা’র টাইটেল গানটির মাধ্যমেই আলোচনায় আসেন। তিনি বসগিরি, পোড়ামন ২, ও বিশ্বসুন্দরী ছবিতে গান গেয়ে তিনবার সেরা গায়িকা বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার অর্জন করেন। ইমন সাহার হাত ধরে একটি বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে কণ্ঠ দেওয়ার সুযোগ পান কণা। পরবর্তীসময়ে প্রায় ৫০০ জিঙ্গেলে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। ‘আভি তো লামহে’ শিরোনামে একটি হিন্দি বিজ্ঞাপনচিত্রেও কণ্ঠ দেন কণা।
ফজলুর রহমান বাবু
প্রায় সব ধরনের চরিত্রে নিজেকে যে ভাঙতে পারেন তিনি হলেন অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দের ২২ আগস্ট ফরিদপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বড়োপর্দার পাশাপাশি ছোটোপর্দায়ও তার উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। এর আগে তিনি অভিনয়ের জন্য নাট্যধর্মী শঙ্খনাদ [২০০৪], মেয়েটি এখন কোথায় যাবে [২০১৬] ও ফাগুন হাওয়ায় [২০১৯] চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা বিভাগে এবং গহীন বালুচর [২০১৭] চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ কৌতুকাভিনয়শিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তার অভিনীত অন্যান্য উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রসমূহ হলো দারুচিনি দ্বীপ [২০০৭], মনপুরা [২০০৯], অজ্ঞাতনামা [২০১৬] এবং হালদা [২০১৭]।
তিনি ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে ফরিদপুরে ‘বৈশাখী নাট্য গোষ্ঠীতে’ প্রথম কাজ করেন। একই বছর, প্রথমবারের মতো জাতীয় নাট্যউৎসবে অভিনয় করেন। এরমধ্যে, তিনি ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে অগ্রণী ব্যাংকে যোগদান করেন এবং তার কর্মস্থল ঢাকায় স্থানান্তরিত হয়। ঢাকায় চলে আসার পর তিনি মামুনুর রশীদের ‘আরণ্যক নাট্যদল’-এ যোগ দেন। মঞ্চে তিনি লঙ্কার পালা, পাথার এবং ময়ূর সিংহাসন নাটকে অভিনয় করেন। তিনি মনপুরা সিনেমায় দুইটি গান গাওয়ার মাধ্যমে সংগীতশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তার প্রথম একক সংগীত অ্যালবাম ইন্দুবালা [২০০৯]। এছাড়া তিনি মিশ্র সংগীত অ্যালবাম মনচোর [২০০৮] -এর চারটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।
সিয়াম আহমেদ
অভিনেতা সিয়াম আহমেদ ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দের ২৯ মার্চ ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। সিয়ামের মিডিয়ায় যাত্রা শুরু হয় ছোটোপর্দার মাধ্যমে। তার প্রথম অভিনীত নাটক ছিল ‘ভালোবাসা ১০১’। নাটকে তার সাবলীল অভিনয় মুগ্ধ করে বড়োপর্দার নির্মাতাদের। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে ‘পোড়ামন ২’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে। সিয়াম আহমেদ ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১৬ ডিসেম্বর ভালোবেসে বিয়ে করেন শাম্মা রুশাফি অবন্তীকে।
দীপান্বিতা মার্টিন
প্রায় দুই যুগ ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত আছেন অভিনয়শিল্পী দীপান্বিতা মার্টিন। এতটা বছর শুধু অভিনয়ের পেছনেই ছিলেন। প্রথমে মঞ্চ, পরে টেলিভিশনে নিয়মিত অভিনয় শুরু করেন। তবে খুব বেশি যে অভিনয় করেছেন তা কিন্তু নয়। ভালো কাজের প্রত্যয় নিয়েই হয়ত অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন। সেই অপেক্ষার অবসান ঘটেছে। রাষ্ট্র তাকে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ সম্মান দিয়েছে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০-এর শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে পুরস্কার পাচ্ছেন তিনি।