পৃথিবী জুড়েই এখন বায়োগ্রাফির উপর কাজ করছে অনেকে। কেউ কেউ আবার কোনো সেলিব্রেটির উপর অনুপ্রাণিত হয়ে ভিন্ন কিছু করার প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন। এমনি এক কাজ মাশরাফি জুনিয়র। ‘ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক’ খ্যাত মাশরাফি মুর্তজার প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে দীপ্তটিভি নির্মাণ করেছে মেগা ধারাবাহিক নাটক মাশরাফি জুনিয়র। নাটকটি ইতোমধ্যে বেশ সাড়া জাগিয়েছে। একজন মেয়েশিল্পী ছেলে সেজে ক্রিকেটকে বেছে নিয়েছেন। মাশরাফির মতই স্ট্রাগল করে চলছেন প্রতি মুর্হূতে। বিস্তারিত লিখেছেন শেখ সেলিম...
মাশরাফি বিন মুর্তজা। যার হাত ধরেই বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশ্বের বুকে জানান দিয়েছিল নতুন শক্তির আবির্ভাবের। তাই তো তাকে বাংলাদেশ ক্রিকেটের দিন বদলের অধিনায়ক বলা হয়ে থাকে। কিংবা তার নামের বদলে অনেকে সম্বোধন করেন ‘ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক’ বলে। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বদলে দেওয়ার অন্যতম নায়ক কে ? দ্বিতীয়বার না ভেবে অনেকেই উত্তর দেবেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। তিনি মাঠে যেমন দক্ষতার পরিচয় দেন, তেমনি ব্যক্তিজীবনেও তিনি অসাধারণ একজন মানুষ। দীর্ঘ অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে দায়িত্ব নিয়েছেন সমাজ সেবার। হয়েছেন নড়াইলের সংসদ সদস্য। বহুগুণে গুণান্বিত এই টাইগারের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে একদল ক্রিয়েটিভ টিম শুরু করেছেন ধারাবাহিক নাটক ‘মাশরাফি জুনিয়র’। নামেই আন্দাজ করা যাচ্ছে নাটকের মূল উপজীব্য বিষয়। নাটকটি পরিচালনা করছেন নির্মাতা সাজ্জাদ সুমন। লাইন প্রোডিউসার হিসেবে আছেন কিশোর খন্দকার।
ক্রিকেট আর জীবন জটিলতায় ‘সব বাধা ডিঙিয়ে এক অন্যরকম স্বপ্নছোঁয়ার গল্প’- দীপ্ত টিভিতে প্রচারিত মেগাসিরিয়াল ‘মাশরাফি জুনিয়র’। ইতোমধ্যে নাটকটির দেড়শত পর্ব পেরিয়ে বেশ সাড়া জাগিয়েছে নাটকটি। শুধু টেলিভিশনেই নয় দীপ্তটিভির ইউটিউভ চ্যানেলেও দর্শকের ভালো লাগার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে। নাটকটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ক্ষুদেশিল্পী মণি। গল্পের শুরুতে দেখা যায় মন্ডা ও মনি দুই ভাইবোন। টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলায় মন্ডার থাকা না থাকা নিয়ে গ্রামের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কলহে জড়িয়ে পড়ে ওরা। তার জেরে মনিদের ঘরে লাগে আগুন, গায়েব হয়ে যায় মন্ডা। ভাইয়ের খোঁজে মনি আসে শহরে। অনেক খোঁজার পর মনি তার ভাইকে পেলেও এই মন্ডা তার কাছে ধরা দেয় অচেনা, ভিন্ন এক রূপে। মন্ডার এখানে যেমন নতুন জীবন, নতুন পরিচয় তেমনি মনিও আয়ানকে নিয়ে ভিন্ন কৌশলে ভাইকে ফিরিয়ে নিতে চায় আগের সময়টায়। মন্ডা কি পারবে নিজের বিশ্বাসের জায়গায় ফেরাতে ? এসব প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবে পরবর্তী পর্বগুলোতে এমনটাই জানালেন নির্মাতা সাজ্জাদ সুমন। ইউটিউবের পাশাপাশি নাটকটির পুরো পর্ব টিভিতে প্রচারের পরদিন থেকে দেখা যাচ্ছে ফেসবুকে দীপ্ত টিভির অফিসিয়াল পেজে।
আহমেদ খান হীরকের গল্পে ‘মাশরাফি জুনিয়র’-এর চিত্রনাট্য করছেন আসফিদুল হক, সংলাপ লিখছেন মো. মারুফ হাসান। সাজ্জাদ সুমন পরিচালিত ধারাবাহিকটির লাইন প্রোডিউসার কিশোর খন্দকার। এছাড়া ধারাবাহিকটিতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, গোলাম ফরিদা ছন্দা, রুনা খান, চিত্রলেখা গুহ, লুৎফুর রহমান জর্জ, ফারুক আহমেদ, সাফানা নমনি, আনিন্দ, হামিম ও আরো অনেকে।
ইতোমধ্যে নাটকটি নিয়ে দর্শকের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। ছোট থেকে বড়ো সবাই দেখছেন নাটকটি এমনটাই দাবি করলেন লাইন প্রডিউসার কিশোর খন্দকার। নাটকটি নিয়ে শিল্পী-কলাকুশলিরা বেজায় খুশি। জেনে নেয়া যাক তাদের মন্তব্য।
সাফানা নমনি
অভিনেত্রী
আমি প্রথমেই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি দর্শকের কাছে যারা নিয়মিত মাশরাফি জুনিয়র দেখছেন। শুরুর দিকে ভয় ছিল দর্শক কীভাবে আমার অভিনয় গ্রহণ করবেন ? এরপর যখন সবার মুখে প্রশংসা শুনছি, তখন বুঝতে পারছি, দর্শক আমাকে অনেক ভালোবাসেন। পাশাপাশি সিরিয়ালটি দেখছেন। দর্শকের কাছে প্রত্যাশা থাকবে, যেভাবে আমাদের সঙ্গে আছেন আগামীতেও থাকবেন। সেই সঙ্গে আমার জন্যে দোয়া করবেন, যেন আরো সুন্দর অভিনয় করতে পারি। আর একটা কথা এখন বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন আবার অনেকেই মারাও যাচ্ছেন, তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হবেন না, অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করবেন।
গোলাম ফরিদা ছন্দা
অভিনেত্রী
মাশরাফি জুনিয়র। মাশরাফি নামটি মনে পড়লেই চোখের সামনে ক্রিকেট খেলা ভেসে ওঠে। গল্পটা যখন হাতে পাই এক নিঃশ্বাসেই পড়ে ফেলি। গল্পটি এতো টানটান ছিল যে, এটা করার লোভটাও সামলাতে পারিনি। চোখ বন্ধ করে কাজটি করার জন্যে রাজি হয়ে গেলাম। কাজ শুরু করলাম, কাজ করতে গিয়ে দেখলাম নাটকে দু’জন ক্ষুদেশিল্পী আছেন, একজন আমার বাচ্চা আয়ান চরিত্রে অন্যজন মনি চরিত্রে। মনি নামভূমিকায় [মাশরাফি জুনিয়র] চরিত্রে অভিনয় করছেন। ছোট এই দুই শিল্পী এত সুন্দর অভিনয় করেছেন, আমি সত্যি মুগ্ধ হয়েছি। আমি বলবো মাশরাফি জুনিয়র সব ধরনের দর্শকের মন জয় করেছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এখন ইন্টারনেটের যুগ, তাই চ্যানেলে প্রচারের পরপরই দেখা যাচ্ছে ইউটিউভ ও বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে। সেজন্যেই খুব সহজেই দর্শকের রেসপন্স পাওয়া যায়। যখনই আমি ইউটিউভে এটা দেখতে যাই, তখন দেখতে পাই এটার প্রচুর ভিউয়ার্স এবং দর্শকের কমেন্টসগুলোই প্রমাণ করে দর্শক এটা খুব ভালোভাবে গ্রহণ করেছে। মাশরাফি জুনিয়র সকলের সমন্বয়েই সুন্দর একটি কাজ। এখানে লেখকরা যেমন ভালো লিখেছেন, ডিরেক্টরিয়াল প্যানেল থেকে ভালো ডিরেকশন হচ্ছে, অভিনয়শিল্পীরাও যার যার জায়গা থেকে অসম্ভব ভালো করেছে। আর যারা আমাদেরকে সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলেন, বলছি পেছনে থেকে কাজ করা কলাকুশলিদের কথা, যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে কাজটিকে আরো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন। ক্যামেরা, সেট ডিজাইন, মেকাপসহ সবার সুন্দর সমন্বয়েই একটি সুন্দর কাজ হয়। সেইদিক থেকে মাশরাফি জুনিয়র স্বার্থক। নাটকে আমি রুনা চরিত্রে অভিনয় করছি, রুনার লাইনআপে অনেক উত্থান-পত্তন আছে, যেখানে রুনা দর্শককে কখনো রাগায়, কখনো ভালোবাসা তৈরি করে। কখনো ভীষণভাবে কষ্ট দেয়। আমি চরিত্রটি করে মজা পাচ্ছি। নাটকটি জীবনঘনিষ্ট গল্প, মানুষের গল্পের সঙ্গে মিশে যায়। আমার মনে হচ্ছে মাশরাফি জুনিয়র দর্শকের মন জয় করেছে। আমরা যারা অভিনয় করছি, আমাদের মন জয় করেছে। পুরোটিমের সমন্বয়ের কারণে কাজটি সুন্দর হচ্ছে এবং এত দূর এগিয়ে গেছে। মাশরাফি জুনিয়রের জন্যে অনেক অনেক শুভ কামনা।
আনন্দভুবন ২৬ বছরে পদর্পণ করেছে। এই কথা ভুলে যান নি তিনি। তাই তো শুভেচ্ছা জানিয়ে দিলেন আনন্দভুবন পরিবারকে। তিনি বলেন আনন্দভুবন দেশের সেরা একটি বিনোদন পত্রিকা। ২৬ বছর পদার্পণে আমাদের মাশরাফি জুনিয়র পরিবারকে কাভারেজ করতে এসেছেন এই জন্য কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমার ক্যারিয়ারের শুরু থেকে আনন্দভুবন পাশে ছিল, এজন্য আনন্দভুবন এর জন্যে রইলো অনেক ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা।
শতাব্দী ওয়াদুদ
অভিনেতা
মাশরাফি জুনিয়র এই নাটকে আমার চরিত্রের নাম সাদিক খান। ব্যাক্তি জীবনে তিনি খুব সৎ। একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার জীবনে অনেক স্বপ্ন থাকে। সেই স্বপ্নগুলো সে পূরণ করতে পারে নি। তিনি চান সেই স্বপ্নগুলো তার ছেলের মাধ্যমে পূরণ হোক। সাদিক খান তার স্ত্রীকে কোনোভাবেই পছন্দ করেন না। সে কখনোই চান না তার স্ত্রী ও বাড়ির মেয়েরা বাইরে গিয়ে কাজ করুক।
মাশরাফি জুনিয়র নামটি শুনলেই বুঝা যাচ্ছে মাশরাফি মুর্তজার প্রতি উৎসাহিত হয়েই নাটকটি করা। সাদিক খানের এক সময়ে স্বপ্ন ছিল ক্রিকেটার হবেন। কিন্তু তিনি হতে পারেন নি। তাই তিনি তার ছেলেকে ক্রিকেটার বানাতে চান। কিন্তু ছেলে ক্রিকেটে ভালো না। এই নাটকের প্রধান দুই চরিত্র হচ্ছে দুটি বাচ্চা। একজন আয়ান অন্যজন মনি। দুজন খুবই ভালো অভিনয় করছেন। আমরা প্রথম দিকে চিন্তিত ছিলাম ওরা কতটা চরিত্রটিকে টেনে নিতে পারবে? কিন্তু ওদের অভিনয় আমাদের সকলকে মুগ্ধ করেছে। দর্শকের কাছেও চরিত্র দুটি ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। দর্শকের গ্রহণযোগ্যতা ও প্রত্যাশার চাপে আমরা এখন সঙ্কিত, আমরা প্রপার বিষয়গুলো সার্ফ করতে পারবো। কাজ করতে গিয়ে আমরা এখন একটা পরিবার হয়ে গেছি। দর্শকের ভালোবাসায় আমরা এই মহামারির মধ্যেও কাজ করে যাচ্ছি।
যদি আগামী পর্বগুলোতেও দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হতে পারি তবেই আমাদের সার্থকতা। জয় হোক মাশরাফি জুনিয়রের।
মুশফিকুর আজম হামিম
ক্ষুদেশিল্পী
আমি মাশরাফি জুনিয়র মেগাসিরিয়ালে আয়ান চরিত্রে অভিনয় করছি। নাটকে আয়ান চরিত্রটি অনেক ভীতু। কিন্তু বাস্তবে আমি অনেক সাহসী। আপনারা আমাকে যেভাবে ভালোবাসছেন সেইভাবে ভালোবাসুন। আর নতুন চমকের জন্যে অপেক্ষায় থাকুন। কিশোর খন্দকার
লাইন প্রডিউসার
দীপ্তটিভিতে প্রচারিত দীর্ঘ ধারাবাহিক ইতোমধ্যে দেড় শতাধিক পর্ব প্রচার হয়েছে। প্রায় আড়াই বছর ধরে এই নাটকটির প্রি প্ল্যানিং চলছে। আমাদের নিজস্ব রাইটার টিম। যেকোনো কাজের আগে আমরা রিসার্চ করি নাটকটি কাদের জন্যে করছি। অনেক বিচার বিশ্লেষণ করে আমরা একটা কনসেপ্ট নিয়ে আসি। মাশরাফি জুনিয়রে এখন পর্যন্ত আমরা যেটা দেখাতে চেষ্টা করেছি, দশ-এগারো বছরের একটি মেয়ে ছেলে সেজে বিভিন্ন ঘাত-প্রতিঘাত অতিক্রম করে ক্রিকেটকে ধরে রেখেছে। মাশরাফি সামনে দুইশত পর্ব প্রচার হবে। দর্শকদের ভালোবাসা থাকলে হাজার পর্ব অতিক্রম করবে। এই গল্প দিয়ে দর্শককে আমরা কিছু বার্তা পৌছে দিতে চাই। মাশরাফি জুনিয়র অনলাইনের সব প্লাটফর্মেই জনপ্রিয়। মাশরাফি আমাদের সবারই একজন পছন্দের খেলোয়াড়। এখানে মাশরাফি হচ্ছে অনুপ্রেরণার নাম। ক্রিকেটার মাশরাফির একসময়ে স্ট্রাগল ছিল, আমাদের মাশরাফি জুনিয়রের চরিত্রটিও একটি স্ট্রাগলের চরিত্র। একজন মেয়ে ছেলে সেজে ক্রিকেট খেলছে। এখানে হয়তো অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে একজন মেয়েকে কীভাবে মাশরাফির পথ অনুসরণ করাচ্ছি। নাটকে একটা সময়ে আমরা মেয়েটাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাবো। মেয়েটাও আবার ক্রাইসিসে পড়বে একজন মেয়ে কেন ছেলে সেজে খেলবে। আমরা সব ধরনের দর্শককে সম্পৃক্ত করছি মাশরাফি জুনিয়র নাটকে। আমরা প্রতি সপ্তাহে দর্শকের কমেন্টস নিয়ে বসি। তারা কী চান, সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। আলোচনার প্রেক্ষিতে প্রতিটি পর্ব সাজানো হয়। নাটকে প্রত্যেকটি চরিত্রই গুরুত্বর্পূণ।
ফুয়াদ চৌধুরী
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, দীপ্তটিভি
মাশরাফি জুনিয়র ইতোমধ্যে দর্শকের মাঝে আলোড়ন সৃষ্টি করছে। টেলিভিশন ও অনলাইন প্লাটফর্ম থেকে বেশ সাড়া পাচ্ছি। এই নাটকে সিনিয়রদের পাশাপাশি অনেক জুনিয়ররা কাজ করছেন। যেহেতু জুনিয়ররা ছাত্র তাই এখানে তাদের পড়াশোনার ব্যবস্থা রেখেছি। শুধু তাই নয় সবাই স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলছে। নাটকটি যেহেতু প্রচুর দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে, যতদিন দর্শক এটা দেখবেন, ততদিন চলবে। আমাদের অন্যান্য সিরিয়ালগুলোও বেশ সাড়া পাচ্ছে। বাংলাদেশে যেসব দর্শক ভারতের সিরিয়াল দেখেন, তাদের আমরা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। মাশরাফি জুনিয়র অনেককে ইতোমধ্যে ফিরিয়ে এনেছে বলে আমার বিশ্বাস। এখানে দুজন ক্ষুদেশিল্পী বেশ ভালো করছেন, তারা যেমন তৈরি হচ্ছেন, তাদের দর্শকও তৈরি হচ্ছে। দীপ্তটিভি শুধু ভালো অনুষ্ঠানই করে না ভালো শিল্পীও তৈরি করেছে। স্বাস্থ্যবিধি প্রসঙ্গে বলেন প্রথমেই আমরা বাইরে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা রেখেছি, মাস্ক পরা নিশ্চিত করেছি এ ছাড়াও আরো কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে সেগুলো মেনে চলছি সবাই।
পরিচালিত ধারাবাহিকটির লাইন প্রোডিউসার কিশোর খন্দকার। এছাড়া ধারাবাহিকটিতে অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, গোলাম ফরিদা ছন্দা, রুনা খান, চিত্রলেখা গুহ, লুৎফুর রহমান জর্জ, ফারুক আহমেদ, সাফানা নমনি, আনিন্দ, হামিম ও আরো অনেকে।
ইতোমধ্যে নাটকটি নিয়ে দর্শকের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। ছোট থেকে বড়ো সবাই দেখছেন নাটকটি এমনটাই দাবি করলেন লাইন প্রডিউসার কিশোর খন্দকার। নাটকটি নিয়ে শিল্পী-কলাকুশলিরা বেজায় খুশি। জেনে নেয়া যাক তাদের মন্তব্য।