ঢাকার থিয়েটারচর্চা : ২০২৩

23 Jan 2024, 03:18 PM রঙ্গশালা শেয়ার:
ঢাকার থিয়েটারচর্চা : ২০২৩

২০২৩-এ ঢাকার মঞ্চে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নতুন নাটক মঞ্চস্থ হয়েছে। পুরনো নাটক মঞ্চায়নের সংখ্যাও নিতান্ত কম নয়। গত বছর মঞ্চে ফিরে এসেছেন প্রবীণ মঞ্চাভিনেতারাও। সবমিলিয়ে বেশ সরগরম ছিল নাট্যপাড়া। সম্পূর্ণ চিত্র তুলে ধরেছেন ধীমতি শুচিস্মিতা...


২০২৩-এর শুরুতেই ঢাকার থিয়েটারে আসে নতুন পাঁচটি নাটক। নাগরিক নাট্যসম্প্রদায় ও মঙ্গলদীপ ফাউন্ডেশনের প্রণোদনায় ‘আলী যাকের নতুনের উৎসব’-এ বিভিন্ন দলের ৫টি নতুন নাটক মঞ্চস্থ হয়। নাটকগুলো হলো- রিমান্ড [হৃৎমঞ্চ], সখী রঙ্গমালা [বটতলা], ‘দ্য রেসপেক্টফুল প্রস্টিটিউট [থিয়েটার ফ্যাক্টরি] আদম সুরত [তাড়ুয়া] এবং প্রাচ্যনাটের অচলায়তন।

এছাড়াও সারাবছরই নতুন অনেক নাটক এসেছে মঞ্চে। নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের অন্তরে বাহিরে চিত্রাঙ্গদা, বাতিঘরের ভগবান পালিয়ে গেছে, থিয়েটারের লাভ লেটার্স, ওপেন স্পেস-এর আর্ট, থ্রি আন-এক্সপেক্টেড টেইলস, অনুস্বরের হার্মাসিস ক্লিওপেট্রা, মহাকাল নাট্যসম্প্রদায়ের সুরেন্দ্র কুমারী, অপেরার ক্লোজেট ল্যান্ড, কন্টেম্পরারি থিয়েটার আর্টস-এর অন্তসঙ্গ, স্পর্ধার আমি বীরাঙ্গনা বলছি, প্রাচ্যনাটের আগুনযাত্রা, থিয়েটারওয়ালা রেপার্টরির নাজুক মানুষের সংলাপ, দৃশ্যকাব্যের অতঃপর প্রণয়, ম্যাড থেটারের রবীন্দ্রনাথের দ্বিতীয় বিজয়া, অন্তর্যাত্রার হিড়িম্বা, লোক নাট্যদলের সুন্দর, নাট্যকেন্দ্রের তীর্থযাত্রী, আগন্তুক রেপার্টরির একগুচ্ছ গল্প, নৃ প্রাঙ্গণের অদ্ভুত ভাস্কর্য, এথিক থিয়েটারের যে রাতে নেতা নিহত হলেন, বিবেকানন্দ থিয়েটারের উত্তরণ, আরশিনগরের সিদ্ধার্থ, ঢাকা থিয়েটারের মেডিয়া-সহ আরো অনেক মঞ্চনাটক। বলা যায়, একবছরে নতুন নাটকের তালিকা নিতান্তই কম নয়।

নতুন নাটকের পাশাপাশি ঢাকার দলগুলোকে তাদের অন্য নাটকগুলোর প্রদর্শনীও নিয়মিত করে যেতে দেখা গেছে। কোনো কোনো দল এ-বছর তাদের নাটকের ৫০টির মতো প্রদর্শনী করতে পেরেছে, আবার কোনো কোনো দল হয়ত ২০টির মতো প্রদর্শনীও করতে পারেনি। এই সংখ্যা-বৈষম্য দলগুলোর নিজেদের চেষ্টা ও প্রস্তুতির অভাবেও হতে পারে আবার মিলনায়তন বরাদ্দ পাওয়া না পাওয়ার অসমতার কারণেও হতে পারে।

বছরের উল্লেখযোগ্য নাটক

বছরের নতুন যে নাটকগুলো সবচেয়ে বেশি প্রশংসিত ও আলোচিত হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো :

হার্মাসিস ক্লিওপেট্রা [অনুস্বর, মোহাম্মদ বারী], অচলায়তন [প্রাচ্যনাট, আজাদ আবুল কালাম], সখী রঙ্গমালা [বটতলা, মোহাম্মদ আলী হায়দার], আমি বীরাঙ্গনা বলছি [স্পর্ধা, সৈয়দ জামিল আহমেদ], ভগবান পালিয়ে গেছে [বাতিঘর, মুক্তনীল] এবং আদম সুরত [তাড়ুয়া, বাকার বকুল] সিদ্ধার্থ [আরশিনগর, রেজা আরিফ],

নবীন ও প্রবীণের মেলবন্ধন

দীর্ঘ বিরতির পর, দর্শকনন্দিত কিছু নাটককে এবছর আবার মঞ্চে দেখা গিয়েছে। যেমন প্রাচ্যনাটের কইন্যা, তীরন্দাজ রেপার্টরির কণ্ঠনালীতে সূর্য, ঢাকা থিয়েটারের প্রাচ্য, থিয়েটারের মুক্তি, আরণ্যক নাট্যদলের নানকার পালা ইত্যাদি। নবীন নাট্যকর্মী যুক্ত হয়েছেন যেমন, তেমনি নাট্যকার ও নাট্যনির্দেশক হিসেবে অভিষেক ঘটেছে নতুন কিছু নাট্যকর্মীরও। নবীন নাট্যকর্মীদের পাশাপাশি প্রবীণ মঞ্চাভিনেতাদের মঞ্চে দেখতে পাওয়া ছিল অনেক আনন্দের। যেমন আতাউর রহমান, আসাদুজ্জামান নূর, রামেন্দু মজুমদার, ফেরদৌসী মজুমদার, মামুনুর রশীদ-কে দেখা গেছে একের অধিক নাটকেও।

উৎসব, পদক ও পুরস্কার

এবছরের আরেকটি আলোচিত আয়োজন হলো- দেশ নাটকের ‘ইশরাত নিশাত নাট্য পুরস্কার’। আগের বছরের নতুন নাটকের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে নতুন কর্মীদের মূল্যায়ন ও সম্মাননা দেওয়া হলো। বাংলাদেশে মঞ্চনাটকের জগতে প্রবর্তিত সর্বপ্রথম নাট্য পুরস্কার এটি। এছাড়াও কাঁচখেলা নাট্য-উৎসব ও নাট্য সম্মাননা অনুষ্ঠানে ৮ বিভাগের ৮ জন নারীকে সম্মানিত করা হয়।

বাংলা নাটকে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘থিয়েটার’ প্রতিবছর একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে মুনীর চৌধুরী সম্মাননা আর একজন তরুণ নাট্যকর্মীকে মোহাম্মদ জাকারিয়া স্মৃতিপদক প্রদান করে। এই ধারাবাহিকতায় চলতি বছর মুনীর চৌধুরী সম্মাননা পেয়েছেন নাট্যনির্দেশক ও গবেষক কামালউদ্দিন নীলু এবং মোহাম্মদ জাকারিয়া স্মৃতিপদক পেয়েছেন তরুণ নির্দেশক বাকার বকুল।

অক্টোবরে শিল্পকলা একাডেমিতে আয়োজিত হয় ১২-দিনব্যাপী গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব। এই উৎসবে বাংলাদেশ থেকে ৩৮টি নাট্যদল ও একটি নৃত্যনাট্য দল এবং ভারত থেকে ৬টি নাট্যদল অংশগ্রহণ করেছিল। এথিক নাট্যদল আয়োজিত ‘এথিক তারুণ্য সম্মাননা ২০২৩’ পান ১৪টি নাট্যদলের ১৪ জন তরুণ নাট্যকর্মী।

এবছর থিয়েটার আর্ট ইউনিট পূর্ণ করলো তাদের প্রথম ও সাড়া জাগানো নাটক ‘কোর্ট মার্শাল’-এর ২৫০তম প্রদর্শনী। তবে, রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে তারা তাদের ‘এস এম সোলায়মান প্রণোদনা ২০২৩’ অনুষ্ঠানটি স্থগিত করে।


পথে, নিজস্ব প্রাঙ্গণে ও বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক নাট্যচর্চা

সমাজের বিভিন্ন অন্যায় ও অনিয়মের বিরুদ্ধে অনেক দলকেই পথে-চত্বরে পথনাটক নিয়ে সক্রিয় থাকতে দেখা গেছে। অনুস্বর স্টুডিও, বাতিঘর আর্ট স্পেসে প্রদর্শিত হয়েছে নাটক ও নাট্য পরিবেশনা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যবিভাগের শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাক্রম অনুযায়ী নাট্যচর্চা চালিয়ে গেছে সারাবছর। এছাড়াও কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, নর্থসাউথ ইউনিভার্সিটির ড্রামা ক্লাবগুলো নাট্যচর্চা ও প্রদর্শনে ছিল এগিয়ে।


অভিনয় শেখার পাঠশালা ও

শিক্ষার্থীদের সমাপনী প্রযোজনা

বেশ কয়েকটি নাট্যদল তাদের নিজ উদ্যোগে অভিনয় শেখার জন্য স্কুল কার্যক্রম চালিয়ে আসছে দীর্ঘ সময় ধরে। ২০২৩-এ এই স্কুলগুলোর বেশ কিছু সমাপনী নাটক মঞ্চস্থ হয়েছিল।

থিয়েটার স্কুল-এর ৩২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মঞ্চস্থ করে ড. আইরিন পারভীন লোপার নির্দেশনায় জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটক অলীকবাবু এবং ৩৩-তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ড. ইসরাফিল শাহীনের নির্দেশনায় মঞ্চস্থ করে সৈয়দ শামসুল হকের লেখা যুদ্ধ এবং যুদ্ধ নাটকটি। প্রাচ্যনাট স্কুল অব অ্যাক্টিং ও ডিজাইনের ৩৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মঞ্চস্থ করে শাহানা সুমীর নির্দেশনায় উৎপল দত্তের লেখা নাটক কল্লোল। আরণ্যক পাঠশালার ১৮ ও ১৯তম আবর্তনের শিক্ষার্থীরা ইসতিয়াকের নির্দেশনায় ‘বুড়ো শালিকের ঘাড়ে রোঁ’ এবং শামীমা শওকত লাভলীর নির্দেশনায় ‘উলুখাগড়ার পাঁচালি’ নাটক দুটো মঞ্চস্থ করে। বটতলার অ্যাক্টর্স স্টুডিওর ৮ম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা মঞ্চায়ন করে সৌম্য সরকারের রচনায় ও ইমরান খান মুন্নার নির্দেশনায় নাটক ‘তত্র পোড়ে যত্র দগ্ধ’ এবং হুমায়ুন আজম রেওয়াজের নির্দেশনায় ছোটো শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করে ‘হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালা’।

নাট্যনির্দেশকগণের অভিমত

নাট্য প্রদর্শনীর জন্য বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির রয়েছে ৩টি মিলনায়তন আর মহিলা সমিতির ১টি। একে তো অপ্রতুল মিলনায়তন তার ওপর অভিযোগ উঠেছে মিলনায়তন বরাদ্দে দলাদলির। নাট্যদলের অনেকেরই অভিযোগ, দলগুলোকে শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে নাটক করতে দেওয়া হয় না। এ প্রসঙ্গে নাট্যনির্দেশক শামীম সাগর বলেন, হল বরাদ্দের যে পদ্ধতি সেটা পুরোপুরি গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন দেখভাল করে, এটা একটা খারাপ চর্চা। এরকম আরো মোর্চার অংশগ্রহণ প্রয়োজন প্রফেশনাল থিয়েটার, অল্টারনেটিভ থিয়েটার, রেপার্টরি, ইত্যাদি অন্য যেকোনো চেহারার। তাহলে হল বরাদ্দে সকলের অংশগ্রহণ কিছুটা স্বচ্ছতা নিয়ে আসতে পারে।

নাট্যনির্দেশক মোহাম্মদ আলী হায়দার বলেন, মিলনায়তন বরাদ্দ যে কীভাবে হচ্ছে বুঝতে পারছি না। সাধারণত দেখা যায় ছুটির দিনে বা শুক্র, শনিবার ভালো নাটকের দলগুলোকে মিলনায়তন দেওয়া হয় না। এতে আসলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দর্শক এবং সার্বিকভাবে থিয়েটার অঙ্গন। অনেক মানসম্মত নাটক হওয়া সত্ত্বেও মিলনায়তন না পাওয়ার কারণে নাট্যদলগুলো দর্শকের কাছে তাদের নাটক নিয়ে যেতে পারছে না। সাধারণত ছুটির দিনগুলোতেই দর্শকের আনাগোনা বেশি থাকে। কিন্তু এই দিনগুলোতে এমন দলকে নাটক প্রদর্শনী করতে দেওয়া হয় যে, দর্শকেরা কিন্তু থিয়েটারের ভালো একটা অভিজ্ঞতা না নিয়ে এবং অনেক সময় থিয়েটার সম্পর্কে বিরূপ ধারণা নিয়েও ফিরে যাচ্ছে এবং থিয়েটার বিমুখ হয়ে পড়ছে। আবার এমনও দেখা গেছে, গড়পড়তা নাটকের জন্য শুক্র-শনিবারে তারিখ নিয়েও একদল প্রদর্শনী করতে পারছে না এবং শেষ মুহূর্তে হল ছেড়ে দিচ্ছে। কাজেই হল বরাদ্দ যারা দেন তারা দলগুলোর নাটক দেখে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে, কোন কোন নাটকগুলোর জন্য শুক্রবার-শনিবারে মিলনায়তন দেওয়া হবে। একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে শিল্পকলা একাডেমির উচিত ভালো নাটককে প্রমোট করা এবং হল বরাদ্দ দেওয়ার ব্যাপারে একটা নীতিমালাও প্রণয়ন করা। অপরদিকে মহিলা সমিতি কিন্তু ভালো নাটকগুলোকে প্রমোট করার চেষ্টা করে। কাজেই এটা মহিলা সমিতির একটা ভালো উদ্যোগ বলে মনে করি।

নির্দেশকের চোখে ২০২৩-এর ঢাকার থিয়েটার

নির্দেশক শামীম সাগরের মতে, ২০২৩-এ চমকে যাবার মতন কোনো ঘটনা ঘটেনি, ভালো কিছু প্রযোজনা মঞ্চে আসা ছাড়া। আর গ্রুপ থিয়েটারচর্চাকেন্দ্রিক রাজনীতি আর দলাদলির বিষয়টা নেতিবাচক বার্তা দিয়েছে। এছাড়া এবছরে উল্লেখ করার মতো কোনো বিষয় নেই, গতানুগতিক। নির্দেশক সাইফ সুমন বলেন, এক পরিসংখানে দেখলাম ৩৪টি নতুন নাটক হয়েছে গেল বছর। এটা তো আনন্দের সংবাদ। এই প্রতিকূল সময়েও মানুষ শিল্পচর্চা করছে, নাটক দেখছে, তা-ই অনেক। নির্দেশক মোহাম্মদ আলী হায়দার বলেন, ২০২৩ ভালো গেছে। অনেক ভালো নাটক হয়েছে করোনার স্থবিরতার পর। নির্মাণও ভালো ছিল। তবে মিলনায়তনগুলোতে পর্যাপ্ত লাইট নেই। প্রদর্শনীর সময় বাইরে থেকে লাইট ভাড়া করে প্রদর্শনী করতে হয়। এতে নাটকের খরচ বেড়েছে। আনুষঙ্গিক অন্য সব খরচই বেড়েছে কিন্তু টিকেটের দাম তো সেভাবে বাড়েনি। এ বছর উল্লেখ করার মতো বড়ো কোনো উৎসব, কোনো আন্তর্জাতিক সেমিনার, আড্ডা তেমন হয়নি। নাটকের দলগুলো তাদের নিজেদের আয়োজনে কিছু উৎসব চালিয়ে গেছে। আরেকটা জিনিস লক্ষ্য করার মতো, দলগুলো যেন সরকারের সমর্থনেই কাজ করে, তাতে থিয়েটারের যে একটা বৈপ্লবিক চেতনা বা প্রতিবাদের ভাষা সেটা ধীরে ধীরে নষ্ট হচ্ছে এবং কাজগুলোও খুব সাদামাটা হয়ে যাচ্ছে।

নাটকের দর্শকের সাড়া কেমন পাচ্ছেন বলে মনে হয় ? সাইফ সুমন বলেন, ভালো নাটকে দর্শক উপস্থিতি সবসময়ই ছিল, এখন বরং বেড়েছে। নতুন দর্শক তৈরি হচ্ছে সেটা টের পাওয়া যায়। আমাদের অগ্রজগণ বরং ভালো নাটকের চর্চায় এবং বিস্তারে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন যথারীতি। ২০২৩-ও এর ব্যতিক্রম নয়। মোহাম্মদ আলী হায়দার বলেন, দর্শক তৈরিতে নাটকের কন্টেন্টের দিকে মনোযোগ দিতে হবে দলগুলোকে। ভালো কন্টেন্টের নাটকের দর্শকেরাই নতুন নতুন দর্শক তৈরি করেন।

থিয়েটার নিয়ে প্রত্যাশা-আশা প্রসঙ্গে সাইফ সুমন বলেন, ৫০ বছরে থিয়েটার যেখানে যেতে পারত, সেখানে কেন যায়নি, সেটা ভাবুন, আমরা যারা থিয়েটার করতে চাই, তাদের কাজটা আরামসে করতে দিন প্লিজ। শামীম সাগর বলেন, প্রফেশনাল থিয়েটারের পথে হাঁটতে হবে আমাদের। শখের থিয়েটারচর্চার বিষয়টা গোলমেলে হয়ে গেছে। এটা ধীরে ধীরে অচলের খাতায় নাম লেখাবে আর ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে থাকবে। সরকারের নীতিতে প্রফেশনাল থিয়েটার বিষয়টা নিয়ে অ্যাডভোকেসি করা প্রয়োজন, যাতে করে সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পৃষ্ঠপোষকতা দেয়। ভালো মানের থিয়েটারের জন্যে এটা জরুরি।

পরিশেষে, শামীম সাগর বলেন, নতুন ও মানসম্পন্ন থিয়েটার প্রযোজনার সংখ্যা বাড়ুক, থিয়েটার প্রযোজনাগুলোর চেহারা বাংলাদেশের থিয়েটার হিসেবে গড়ে উঠুক- এটাই আগামী দিনের প্রত্যাশা।