আলেচিত গায়ক-গায়িকা : ২০২৩

23 Jan 2024, 02:40 PM নিকটদেশ শেয়ার:
আলেচিত গায়ক-গায়িকা : ২০২৩

বলিউড মানেই নাচে-গানে ভরপুর। ভারতীয় সিনেমায় সংগীতের প্রভাব এতটাই যে, অনেক সময় একটা গান হিট তো পুরো সিনেমা হিট। গান হিট হলে আমরা বেশিরভাগ সময় সুরকারকেই বাহবা দিই। কিন্তু গানটিকে যারা শ্রুতিমধুর করে তোলেন শ্রোতাদের কানে তারা হলেন কণ্ঠশিল্পী। কিছু গানের জন্য হয়ত বছরজুড়ে আলোচনায় থাকেন তারা। গত বছর দারুণ ফর্মে ছিলেন এমন কয়েকজন গায়ক গায়িকা নিয়ে আমাদের আজকের নিকটদেশ আয়োজন...

অমিত মিশ্র

বর্তমান সময়ের আলোচিত গায়কদের একজন হলেন অমিত মিশ্র। ‘অ্যায় দিল হে মুশকিল’ সিনেমার বুলেয়া গান দিয়ে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। এই গানের জন্য তিনি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছিলেন। তিনি ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভারতের লখনৌতে জন্মগ্রহণ করেন। অমিত মিশ্র ব্যক্তিগত অ্যালবামে একক অভিনয়শিল্পী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি একজন প্রশিক্ষিত কর্নাটিক কণ্ঠশিল্পী এবং পাশাপাশি একজন সংগীত সুরকার। তার সুপারহিট গানগুলোর মধ্যে রয়েছে জাগ্গা জাসুসের ‘গালতি সে ভুল’, দিওয়ালে ‘মনমা ইমোশন যায়ে’, কমান্ডো ২-এর ‘সিধা সাধা’। ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দে বেশ ব্যস্ত সময় কাটিয়েছেন তিনি।

অরিজিৎ সিং

অরিজিৎ সিংকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছুু নেই। তিনি অনেক বছর ধরেই বলিউডের একনম্বর গায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে আসছেন। আশিকি ২ সিনেমার ‘তুম হি হো’ গানটি দিয়ে অরিজিৎ রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। আশিকি ২ সিনেমার প্রতিটি গান অরিজিতের প্রতিভা বুঝিয়ে দিয়েছে। সমালোচকেরা তাকে তার প্রশান্ত কণ্ঠস্বর এবং প্রাণবন্ত উপস্থাপনার জন্য ‘প্লেব্যাক গানের রাজা’ বলে অভিহিত করেছেন। অরিজিৎ ৬টি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছেন। গত বছর অনেক সিনেমায় তিনি কণ্ঠ দিয়েছেন। বছর শেষে ‘অ্যানিমেল’ সিনেমার সাতরাঙ্গি গান দিয়ে আবারো আলোচনায় আসেন তিনি। তিনি ভারতের পশ্চিম বঙ্গে ১৯৮৭ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ এপ্রিল জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হিন্দি গানের পাশাপাশি বাংলা সিনেমায়ও নিয়মিত গান গেয়ে থাকেন।

সচেত ট্যান্ডন

বর্তমান সময়ে ভারতের জনপ্রিয় প্লেব্যাক গায়কদের মধ্যে অন্যতম সচেত ট্যান্ডন। কবির সিং-এর সুপারহিট গান ‘বেখায়লি’র পর তিনি বেশ জনপ্রিয়তা পান। আর সেইসঙ্গে তার গান বেশ ব্যবসাসফল হয়। তিনি ও তার স্ত্রী পরম্পরা ঠাকুরের সঙ্গে জুটিবেঁধে কাজ করেন। তাদের জনপ্রিয় ও সফল জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে রয়েছে সাহুর ‘পাইকোসায়ান’, টয়লেট থেকে ‘সুবাহ কি ট্রেন : এক প্রেম কথা’ ইত্যাদি। তাছাড়া ইমলা পাগলা দিওয়ানা, পাল পাল দিল কি পাস, ভূমিসহ আরো সিনেমায় তিনি গান গেয়ে প্রশংসিত হয়েছেন। তিনি ১৯৮৯ খ্রিষ্টাব্দে লখনৌতে জন্মগ্রহণ করেন।

শ্রেয়া ঘোষাল

চোখ বন্ধ করে যে কেউ বলে দিতে পারবে এই মুহূর্তে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় গায়িকা কে ! তিনি শ্রেয়া ঘোষাল। তিনি ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে সঞ্জয়লীলা বনসালির ব্লকবাস্টার মুভি ‘দেবদাস’-এর মাধ্যমে তার বলিউড গানে আত্মপ্রকাশ করেন। ভারতের শীর্ষস্থানীয় গায়িকাদের মাঝে অন্যতম যিনি ভারতের বিভিন্ন ভাষায় গান করেছেন। তার স্বচ্ছ কণ্ঠস্বর এবং শাস্ত্রীয় সংগীতের ওপর সূক্ষ¥ দখল তাকে ভারতের বড়ো বড়ো সংগীত পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। এ. আর. রেহমান, এম. এম. ক্রীম প্রমুখ শীর্ষ সংগীত পরিচালকের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। প্রতিবছরই জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকে তার গাওয়া গান। গত বছর মরোক্কান শিল্পী সাদ-এর সঙ্গে গুলি মাটা গানটি পুরো বিশ্বেই জনপ্রিয়তা লাভ করে।

নেহা কক্কর

ভারতের জনপ্রিয় গায়িকা নেহা তার ব্যতিক্রমী কণ্ঠের জন্য দারুণ জনপ্রিয়। তিনি কোরাস গায়ক হিসেবে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেন এবং অল্প সময়ের মধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেন। নেহা অনেক পার্টি গান গেয়ে সুপরিচিত। যেমন রানীর ‘লন্ডন তুমাকদা’, ককটেল থেকে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড জাওয়ানি’, ইয়ারিয়ান থেকে ‘সানি সানি’ ইত্যাদি। ৩২ বছর বয়সী এই গায়িকা জনপ্রিয় টিভি রিয়েলিটি শো ‘ইন্ডিয়ার আইডল’-এ বিচারক হিসেবেও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এই ‘ইন্ডিয়ান আইডল’ শো-এ তিনি যখন প্রতিযোগী হিসেবে এসেছিলেন তখন বাদ পড়েছিলেন।

তুলসী কুমার

টি-সিরিজ লেবেলের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত গুলশান কুমারের মেয়ে তুলসী কুমার। তিনি ২০০৬ খ্রিষ্টাব্দে তার বলিউড গানে ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং ‘চুপচুপকে’, ‘আকসার’, ‘হামকো দিওয়ানা কার গেয়ে’ ইত্যাদির মতো বেশ কয়েকটি ছবিতে কাজ করেন। ফিল্মের গান ছাড়াও, তুলসি অনেক একক অ্যালবামও প্রকাশ করেছিলেন যা 2006-এর সর্বাধিক স্ট্রিম করা ট্র্যাকগুলোতে অন্যতম ছিল। তিনি ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে সেরা প্লেব্যাক গায়িকা নির্বাচিত হন। তিনি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ফিল্ম একাডেমি পুরস্কারসহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার জিতেছেন। তার কিছু বিখ্যাত গান হলো ‘সোচ না সাকে’, ‘সনম রে’ ইত্যাদি। হ

লেখা : ফাতেমা ইয়াসমিন