কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন আর নেই

04 Jan 2021, 02:12 PM অন্যান্য শেয়ার:
কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন আর নেই

স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন মারা গেছেন [ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন]। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

রোববার [৩ জানুয়ারি ২০২১] বিকেল ৫টার দিকে বনানীতে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। রাবেয়া খাতুন বেশ কিছুদিন বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেল ৩টায় চ্যানেল আই প্রাঙ্গণে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে দুপুর ১২টায় সর্বস্তরের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে রাবেয়া খাতুনের মরদেহ রাখা হবে। বাদ আসর তার দাফন সম্পন্ন হবে।

মহিয়সী এই নারীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

রাবেয়া খাতুনের জন্ম ১৯৩৫ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঢাকার বিক্রমপুরে তার মামার বাড়িতে। তাঁর বাবার বাড়ি মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর গ্রামে।

বিশিষ্ট এই কথাসাহিত্যিকের চার সন্তান ইমপ্রেস টেলিফিল্ম চ্যানেল আই’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, রন্ধন বিশেষজ্ঞ কেকা ফেরদৌসী, স্থপতি ফরহাদুর রেজা প্রবাল ও ফারহানা কাকলী।

লেখালেখির পাশাপাশি রাবেয়া খাতুন শিক্ষকতা করেছেন। সাংবাদিকতাও করেছেন। এছাড়া তিনি বাংলা একাডেমির নির্বাহী পরিষদের সদস্য ছিলেন। জাতীয় গ্রন্থ কেন্দ্রর গঠনতন্ত্র পরিচালনা পরিষদের সদস্য, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জুরিবোর্ডের বিচারক, শিশু একাডেমির কাউন্সিল মেম্বার ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘নতুন কুঁড়ি’র বিচারক ছিলেন।

লেখালেখির জন্যে পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা। এর মধ্যে রয়েছে বাংলা একাডেমি পুরস্কার-১৯৭৩, হুমায়ূন কাদির স্মৃতি পুরস্কার-১৯৮৯, একুশে পদক-১৯৯৩, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ পুরস্কার-১৯৯৪, নাসিরউদ্দিন স্বর্ণপদক-১৯৯৫, জসীমউদদীন পুরস্কার-১৯৯৬, শেরে বাংলা স্বর্ণপদক-১৯৯৬, শাপলা দোয়েল পুরস্কার-১৯৯৬, টেনাশিনাস পুরস্কার-১৯৯৭, ঋষিজ সাহিত্য পদক-১৯৯৮, অতীশ দীপঙ্কর পুরস্কার-১৯৯৮, লায়লা সামাদ পুরস্কার-১৯৯৯, অনন্যা সাহিত্য পুরস্কার-১৯৯৯, মিলেনিয়াম অ্যাওয়ার্ড-২০০০, টেলিভিশন রিপোর্টার্স অ্যাওয়ার্ড-২০০১, বাংলাদেশ কালচারাল রিপোর্টার্স অ্যাওয়ার্ড-২০০২, শেলটেক পদক-২০০২ এবং মাইকেল মধুসূদন পুরস্কার-২০০৫ ইত্যাদি।