পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের খামারবাড়িটি বিক্রি হলো ১৮৬ কোটি টাকায়

27 Dec 2020, 02:30 PM সারেগারে শেয়ার:
পপসম্রাট মাইকেল জ্যাকসনের খামারবাড়িটি বিক্রি হলো ১৮৬ কোটি টাকায়


মাইকেল জ্যাকসনের বিশাল আকৃতির খামারবাড়িটির নাম নেভারল্যান্ড। মৃত্যুর বছরখানেক আগে ২০০৮ সালে মাইকেল জ্যাকসন অর্থসংকটে পড়ে বাড়িটি বন্ধক রেখেছিলেন কলোনি ক্যাপিটাল এলএলসির কাছে। ২০০৯ সালের ২৫ জুন মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর পর চুক্তির শর্তানুসারে বাড়িটি এই কোম্পানির হয়ে যায়। তারপর সেই কোম্পানি বাড়িটি বিক্রি করে দেয় মার্কিন কোটিপতি রন বার্কলের কাছে। ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার সান্তা বারবারা কাউন্টি এলাকায় অবস্থিত বাড়িটির দাম ধরা হয়েছিল ১০০ মিলিয়ন ডলার বা ৮৪৮ কোটি টাকা। এরপর এই দামে বিক্রি না হলে ২০১৯ সালে বাড়িটির দাম কমিয়ে রাখা হয় ৩১ মিলিয়ন ডলার বা ২৬২ কোটি টাকা। অবশেষে বাড়িটি বিক্রি হলো ২২ মিলিয়ন ডলার বা ১৮৬ কোটি টাকায়। ১৯৮৭ সালে মাইকেল জ্যাকসন এই বাড়ি কিনেছিলেন ১৬৫ কোটি টাকায়। তবে ২০০৮ সালে কলোনি ক্যাপিটাল এই বাড়ির বিনিময়ে কত টাকা দিয়েছিল মাইকেল জ্যাকসনকে, সেই তথ্য জানা যায়নি। নানা কারণে বিখ্যাত হয়ে আছে মাইকেল জ্যাকসনের সেই বিশাল আকৃতির বাড়িটি। ২ হাজার ৭০০ একর জমির ওপর দাঁড়িয়ে থাকা বাড়িটি ঘিরে রয়েছে নানা আলোচনা ও বিতর্ক। এই রিসোর্টের ভেতরে পপসম্রাট গড়ে তোলেন বিনোদন চত্বর। রয়েছে একটি চিড়িয়াখানাও।১৯৯০ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত বিতর্কের কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল জ্যাকসনের এই বাড়ি। এই সংগীত তারকার বিরুদ্ধে শিশুদের যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল। তাঁর সঙ্গে এই রিসোর্টের নামও জড়িয়ে আছে। যদিও জ্যাকসন সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন। ২০০৫ সালে জ্যাকসনের বিরুদ্ধে এক কিশোরকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠে। বিচারে বেকসুর খালাস পান এই শিল্পী। সেই ঘটনার পর আর কোনো দিন এই বাড়িতে ফেরেননি তিনি। ২০০৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়িতে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় জনপ্রিয় এই পপসম্রাটের। সূত্র: দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল