শীতের শীতার্ত কথা...

16 Nov 2021, 02:11 PM অভোগ শেয়ার:
শীতের শীতার্ত কথা...

ভোরের প্রকৃতিতে শীত শীত ভাব। শেষ রাতে গায়ে চাপাতে হচ্ছে হালকা কাঁথা। ধানের শীষে হালকা শিশির বিন্দু, গাছের ঝরা পাতা সবই জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। বাঙালির শীত মানেই উৎসব, শীত মানেই পিঠাপুলি। শীতের দিনে শুধু প্রকৃতিতেই পরিবর্তন হয় না, মানুষের জীবন-যাত্রাসহ শারীরিক, মানসিক সব ধরনেরই পরিবর্তন হয়। শীতের নানা দিক নিয়ে এবারের অঁ ভোগ আয়োজন...


খাওয়া-দাওয়া

শীতকাল ভোজনরসিকদের জন্য আদর্শ সময়। এ সময়ে বিভিন্ন ধরনের পিঠা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি খেতে সবার ভালো লাগে। তবে শীত মানেই যে ডায়েট বাদ দিয়ে মনের সুখে খাওয়া-দাওয়া করবেন, এমনটা হলে মুশকিল হতে পারে। শীতে খাওয়ার নিয়ম ঠিকঠাক না মেনে চললে একদিকে যেমন শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে তেমনি ত্বকও অনুজ্জ্বল হয়ে যাবে। তাই ঋতুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে নজর দিন ডায়েটে।


যা করবেন

* শরীর ভেতর থেকে সুস্থ থাকলেই ত্বক উজ্জ্বল রাখা সম্ভব। শীতের শুরু ও শেষের সময়ে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দেয়। কারো ঠান্ডা আবহাওয়ায় পানি পানের প্রবণতা কমে যায়। এই সময় বেশি করে পানি পান প্রয়োজন। হালকা কুসুম গরম পানি পান করুন। মাঝে মাঝে ডাবের পানি, ফলের রসও পান করতে পারেন। সারাদিনে তিন বেলার খাবারের মেন্যুতে রাখতে পারেন বিভিন্ন ধরনের স্যুপ, গরম দুধ, দুধ ছাড়া চা, তিন-চার ফোঁটা লেবুর রস। এটি পানির সঙ্গে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টেরও কাজ করবে। শীতে শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রয়াজনীয়তা বাড়ে।

* মৌসুমি ফল যেমন কমলালেবু, আপেল, মাল্টা ইত্যাদি নানা ধরনের শীতের ফল ও শাকসবজি যথেষ্ট পরিমাণে খান। এগুলোর মধ্যে উপস্থিত ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের সজীবতা বজায় রাখে, খাবার হজমে সাহায্য করে। টাটকা ফল ও সবজিতে রয়েছে বায়োটিন যা ত্বক ও চুল ভালো রাখে। তাই তাজা সবজি ও ফল খাওয়া জরুরি।

* শীতে ত্বক রুক্ষ হয়ে যায়। ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য প্রয়োজন ফ্যাটি অ্যাসিড। বাদাম, মাছ এই ধরনের খাবার বেশি করে খান। ব্যালেন্সড ডায়েট মেনে চলুন। এই সময়ের নানা ধরনের ফল ও সবজি দিয়ে সালাদ তৈরি করে খান। প্রোটিন জাতীয় খাবার শরীরের তাপমাত্রা বজায় রেখে শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে।

* শীতের সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠান থাকে এবং প্রচুর খাওয়াও হয়। তাই শরীরে ক্যালোরিও বেড়ে যায়। শীতে দুধ দিয়ে তৈরি চা ও কফি না খেয়ে গ্রিন টি খেতে পারেন। অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাবার এড়িয়ে চলুন। এই ধরনের খাবারের বদলে সালাদ খান চাইলে অলিভওয়েল ব্যবহার করতে পারেন কারু এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ কম থাকে যা হার্টের জন্য ভালো। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে ভাত ও রুটি কম খান। প্রচুর পরিমাণে পানি ও ফল দিয়ে সালাদ বানিয়ে খান।

শীতের সময় বিষণ্নতা

শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রকৃতির মতো মানুষের মনও অনেক সময় নির্জীব ও উদাসীন লাগে। অনেকেরই এই সময় আলসেমি, কাজে অনীহা, মনোযোগের ঘাটতি দেখা দেয়। চিকিৎসা-বিজ্ঞানের ভাষায় ‘সিজোনাল এফেক্টিভ ডিজঅর্ডার [এসএডি] বা স্যাড।’

এর সঠিক কারণ সম্পর্কে জানা না গেলেও আমেরিকার সাইক্রিয়াটিক অ্যাসোসিয়েশনের মতে, এটা ঋতু পরিবর্তনের কারণে হয়ে থাকতে পারে, শীতের সময়ে সূর্যালোকের সঙ্গে যোগাযোগ কম হওয়ার কারণে মস্তিষ্কে রাসায়নিক ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হয়।

মানসিক স্বাস্থ্য-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে শীত মৌসুমে মানসিক অবস্থার পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে জানানো হলো।

পর্যাপ্ত আলো : এই ধরনের বিষণ্নতা সৃষ্টি হওয়ার মূল কারণ হলো সূর্যালোকের ঘাটতি। শীতকালে সূর্যালোক কম থাকায় এই ধরনের অনুভূতির সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে, কয়েক মিনিট রোদে যাওয়া ইতিবাচক ফলাফল রাখবে।

লাইট থেরাপি বক্স : যদি বাইরে যাওয়ার সুযোগ না থাকে তাহলে ঘরে ‘লাইট থেরাপি’ ব্যবহার করতে পারেন। ‘থেরাপি বক্স’য়ের আলো সাধারণ বাল্বের তুলনায় বেশি উজ্জ্বল এবং কার্যকর।

শীতকালে বিষণ্নত লাগলে এই লাইট বক্স থেরাপি ব্যবহার করতে পারেন। এটা শরীরকে প্রাণবন্ত রাখবে এবং অনিদ্রা সৃষ্টিকারী মেলাটোনিনের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করবে।

ঘুম চক্র : কম সূর্যালোক মানুষের মন, মেজাজের পাশাপাশি শরীরের ওপর প্রভাব রাখে। ফলে আলসেমি ও অনিদ্রা দেখা দেয়।

যোগ ব্যায়াম করা : শারীরিক পরিশ্রমের জন্য যোগ ব্যায়াম করুন। গবেষণায় দেখা গেছে, মন ভালো রাখতে যোগ ব্যায়াম ইতিবাচক ভূমিকা রাখে। যোগ ব্যায়াম মানসিক ও শারীরিক চাপ কমায় এবং হতাশা দূর করতে সহায়ক।

পরিবার ও সজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা : পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটানো হতাশা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে। তাই পরিবর্তিত আবহাওয়ায় বিষণ্নভাব কাটাতে পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করুন। আনন্দের সাথে ভালো সময় কাটান।


শীতের রোগ-বালাই

শীত আসি আসি করছে। এ সময় সর্দি-জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি, অ্যালার্জিক রাইনাইটিস বা নাকের প্রদাহ, চোখ ওঠা, ডায়রিয়া, আমাশয়, নিউমোনিয়া, খুশকি, খোস-পাঁচড়া রোগ হয়ে থাকে।

সর্দি-জ্বর বা কমন কোল্ড শীতের সময়কার একটি সাধারণ রোগ। সর্দি-জ্বর দেহের শ্বাসনালির ভাইরাসজনিত এক ধরনের সংক্রমণ। ঋতু পরিবর্তনের সময় এ রোগ বেশি দেখা যায়। কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন লোকদের এ রোগ বেশি হয়। হাঁচি-কাশির মাধ্যমে এ রোগ একজনের শরীর থেকে অন্যজনের শরীরে ছড়ায়। সর্দি-জ্বর হলে প্রথম নাকে ও গলায় অস্বস্তি লাগে, হাঁচি হয়, নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরতে থাকে। নাক বন্ধও থাকতে পারে। মাথাব্যথা, মাথা ভারি বোধ হওয়া, শরীরে ব্যথা, হালকা জ্বর, গলাব্যথা প্রভৃতি উপসর্গও দেখা যায়।

কখনো কখনো চোখ লাল হতে পারে এবং চোখ দিয়ে পানি ঝরতে পারে। সর্দি-জ্বরের সময় বিশ্রামে থাকতে পারলে ভালো। সাধারণ খাবারের পাশাপাশি প্রচুর পানি, লেবুর রস, আনারস, পেয়ারা বা আমলকী জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে।

ঠান্ডা জাতীয় খাবার [আইসক্রিম, ঠান্ডা পানি, কোমল পানীয়] খাওয়া যাবে না। গরম চা বা কফি খাওয়া যেতে পারে। এ ধরনের সমস্যায় সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিকের প্রয়োজন হয় না। জ্বর ও ব্যথানাশক প্যারাসিটামল, অ্যান্টিহিস্টামিন জাতীয় ওষুধ কয়েক দিন খেলেই ভালো হয়ে যায়। তবে সংক্রমণের লক্ষণ থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী উপযুক্ত অ্যান্টিবায়োটিক সঠিক মাত্রায় পাঁচ থেকে সাত দিন খেতে হবে। শিশুদের টনসিল বা ফুসফুসের সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি থাকে, তাই চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খাওয়ানো উচিত।

সর্দি-জ্বরে আক্রান্ত হলে অন্যদের সঙ্গে, বিশেষ করে শিশুদের সঙ্গে মেলামেশায় সতর্কতা অবলম্বন করুন। হাঁচি দেওয়ার সময় বা নাকের পানি মুছতে রুমাল বা টিস্যু পেপার ব্যবহার করুন।

শীতের শুরুতে ডায়রিয়া কিংবা আমাশয়ের প্রকোপ বেশি দেখা যায়। সাধারণত শিশুরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। দূষিত পানি বা খাবারের সঙ্গে এ রোগের জীবাণু আমাদের শরীরে প্রবেশ করে। তাই বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। বাসি-পচা খাবার, রাস্তার খোলা খাবার খাওয়া ঠিক নয়।

শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কম থাকে। শুষ্ক বাতাস ত্বক থেকে শুষে নেয় পানি। ফলে ত্বক হয়ে পড়ে দুর্বল। ত্বকের ঘর্মগ্রন্থি ও তেলগ্রন্থি ঠিকমতো ঘাম বা তৈলাক্ত পদার্থ তৈরি করতে পারে না। এতে ত্বক আস্তে আস্তে আরো শুষ্ক, ফাটল ধরে ও দুর্বল হয়। একসময় ত্বক ফেটে যায়।

বিশেষ করে ঠোঁট, হাত ও পায়ের ত্বক। এতে দেখা দেয় চুলকানি, একজিমা, স্কেবিস, চর্মরোগ প্রভৃতি। আর এসব কারণেই শীতকালে ত্বকের জন্য প্রয়োজন বিশেষ যত্ন।

শীতের সাজগোজ

শীতের শুরুতে সবসময় ত্বক ও চুল শুষ্ক হয়ে যায়। তাই মন মেজাজও থাকে রুক্ষ। এই রুক্ষতাকে জয় করতে প্রয়োজন মনোযোগ আর একটু যত্ন। আজকাল নতুন ডিজাইনের পোশাক পরা ও নিজস্ব স্টাইল বজায় রাখতে সবাই খুব সচেতন। শীতকাল অনেকের কাছে খুব আমেজের।

ত্বকের যত্ন : গরমের দিনে আমরা ত্বক নিয়ে ভাবি না বা ভাবতে হয় না। কিন্তু শীতে চাই নিয়মিত যত্ন। তা না হলে শীতের শুরুতে দেখা যায় মুখের, গালের কোনো অংশ ফেটে গেছে। যা দেখতে খুব বাজে দেখায়।

তাই হেমন্ত আসার একদম শুরু থেকেই যত্ন শুরু করতে হবে। তাহলে রক্ষা পাবে আপনার সুন্দর ত্বক। সাধারণত গোসলের পর, শরীরের বিভিন্ন জায়গায় শুষ্কতা অনুভূত হয়। তাই রাতে ঘুমানোর আগে ময়েশ্চারাইজার ক্রিম আর গোসলের পূর্বে অলিভ অয়েল ম্যাসাজ করতে পারেন। 

এছাড়া হারবাল প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহার করলে- সেখানে সবকিছুর সঙ্গে মধু, গোলাপের পাপড়ি যুক্ত করে নিতে পারেন। যা এই ঋতুতে ত্বকের সুস্থতার জন্য কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে। এটি পেস্ট করে ঠোঁটের  যত্ত্ননে ব্যবহার করা যায়। ঠোঁট ফেটে যাওয়ার ভয় থাকলে চ্যাপস্টিক, লিপ বাম সবসময় সঙ্গে রাখতে হবে। সুন্দর ঠোঁটটি আপনার হাসিকে আরো সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলবে। এভাবে নিয়মিত পরিচর্যায় আপনি পাবেন সুস্থ, সুন্দর ত্বকের সন্ধান।

চুলের যত্ন : শীতের হাওয়ায় খুব তাড়াতাড়ি উজ্জ্বলতা ও স্নিগ্ধতা হারায় আমাদের চুল। প্রয়োজনীয় পুষ্টি পেতে সপ্তাহে ২-৩ দিন হট অয়েল ম্যাসাজ করা উচিত, যা অত্যন্ত উপকারী। এই সময়টা ঠান্ডায় এলার্জি সমস্যা কম-বেশি সবার থাকে, তাই চুলে হারবালজাতীয় কোনোকিছু ব্যবহার করাটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। এই ব্যাপারটা মাথায় রেখে প্রতিদিন কমপক্ষে ২ লিটার পানি পান করতে হবে।

চুল উঠে যাওয়া বা রুক্ষতা বেশি হলে ই-ক্যাপসুল খেতে পারেন। তেলের সঙ্গে ই-ক্যাপসুল, মাথায় তুলা দিয়ে লাগাতে পারেন। এছাড়া ফলের জ্যুস, সবজি স্যুপ, ভিটামিন ই জাতীয় খাবার ও ফলমূল চুলের যত্নে এবং শরীরের পানির অংশ পূরণে সাহায্য করে।

পোশাক পরিধান : শীতের সময়টা সবাই নিজেকে নানারকম সাজে সাজিয়ে নিতে পছন্দ করে। তাই তরুণ তরুণীর মাঝে রুচিশীল পোশাকে নানারূপে সাজিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা পরিলক্ষিত হয়। সবাই চায় একটু আলাদা সাজে নিজেকে পরিপূর্ণ করতে। সুন্দর একটা টি-শার্ট সঙ্গে মানানসই লেগিন্স, রং হতে পারে গোলাপি, পার্পেল, কমলা অথবা সাদা। রঙবেরঙের মাফলার সঙ্গে লং-টি-শার্ট, খুব সহজেই মানিয়ে যায়। কালো রং প্রায় সবারই খুব প্রিয়, তাই শীতে কালো কার্ডিগান বেশি চোখে পড়ে। লং সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে বোতামযুক্ত কার্ডিগান সবার নজর কেড়ে নেয়। ফুলস্লিভ কামিজের সঙ্গে পাতলা একটি শাল জড়িয়ে নিলে আরামদায়ক হয়। খোলা হালকা রঙের ফুলের ডিজাইনের উলের শাল আজকাল তরুণীদের কাছে খুব জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অল্প শীতে হাফ-স্লিভ বা স্লিভলেস শার্টের ওপর বিভিন্ন রঙের কোটি ব্যবহার করা যেতে পারে। 


শীতের পিঠা উৎসব

আমাদের দেশে বছরের বিভিন্ন ঋতুতে বিশেষ বিশেষ পিঠা খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। তাছাড়া বাড়িতে অতিথি এলে কম করে হলেও দু’তিন পদের পিঠা খাওয়া গ্রামবাংলার মানুষের চিরায়ত ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত। কালের বিবর্তনে এ ঐতিহ্য এখন ম্লান হয়ে আসছে। তবে শীত এলে বাংলার ঘরে ঘরে এখনো পিঠা তৈরির উৎসব শুরু হয়। অগ্রহায়ণের নতুন চালের পিঠার স্বাদ সত্যিই বর্ণনাতীত। শীতের পিঠার স্বাদের কথা বলতে গিয়ে অনেকেই ছন্দে ছন্দে বলেন, ‘শীতের পিঠা ভারি মিঠা’। চুলার পিঠে বসে পিঠা খাওয়ার শৈশব স্মৃতি সবারই কম বেশি রয়েছে। শীতের মজাদার পিঠার মধ্যে রয়েছে ভাপা, পাটিসাপটা, পাকানপিঠা, পুলি, মিঠা, ক্ষীরপুলি, নারকেলপুলি, আনারকলি, দুধসাগর, সন্দেশ এবং চিতই প্রভৃতি। 

শীতের সকালের কুয়াশা কিংবা সন্ধ্যার ঠান্ডা বাতাসে ভাপা পিঠার গরম আর সুগন্ধি ধোঁয়ায় মন ব্যাকুল হয়ে যায়। সরষে বা ধনেপাতাবাটা অথবা শুঁটকির ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা মুখে দিলে শরীরের শীত অনেকটাই কমে যায়। তাই বলা যায়, পিঠা ছাড়া শীত সত্যি একদম জমে না।

গ্রন্থনা : ফাতেমা ইয়াসমিন