দেশের প্রথম সুকুক বন্ড বিষয়ে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। পুঁজিবারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানি লিমিটেড [বেক্সিমকো লিমিটেড] সুকুক বন্ড বা ইসলামি শরিয়াহ-সম্মত বন্ড ইস্যুর প্রস্তাব উপস্থাপন করে।
২৩ জুন অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের [বিএসইসি] ৭৭৯তম কমিশন সভায় এই অভিপ্রায়পত্রের [Letter of Intent] ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, অ্যাসেট ব্যাকড গ্রিন সুকুক ইস্যুর মাধ্যমে বেক্সিমকো তিন হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এই বন্ডের মেয়াদ হবে ৫ বছর। এটি কনভার্টেবল অথবা রিডিমেবল হতে পারে। অর্থাৎ বন্ডের একটি অংশ সাধারণ শেয়ারে রূপান্তরের সুযোগ থাকতে পারে ; আবার মেয়াদ পূরণ হলে অবসায়নের বিকল্পও থাকতে পারে।
অভিপ্রায়পত্র পাওয়ার পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে সুকুকের প্রস্তাবিত ট্রাস্টির নিবন্ধন সনদ এবং কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত ট্রাস্ট ডিডিসহ চূড়ান্ত সাবস্ক্রিপশন এগ্রিমেন্ট জমা দিতে হবে। এগুলো পাওয়ার পর কমিশন সম্মতিপত্র ইস্যু করবে।
বন্ডের তিন হাজার কোটি টাকার মধ্যে ৭৫০ কোটি টাকা বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে নেওয়া হবে। ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা শেয়ারহোল্ডার ব্যতীত অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে এবং বাকি ৭৫০ কোটি টাকার বন্ড প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের [আইপিও] মাধ্যমে ইস্যু করা হবে।
সুকুকের প্রতি ইউনিটের অভিহিত মূল্য হবে ১০০ টাকা। আর ৫০টি ইউনিট নিয়ে এর ন্যূন লট। এ হিসাবে এক লটের দাম পাঁচ হাজার টাকা। বন্ডের মেয়াদি পরিশোধের ন্যূন হার হবে ৯ শতাংশ।
সুকুকের মাধ্যমে সংগ্রহ করা অর্থ বেক্সিমকোর দু’টি সহযোগী প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করা হবে। কোম্পানি দু’টি হলো তিস্তা সোলার লিমিটেড ও করতোয়া সোলার লিমিটেড। এই দু’টি কোম্পানি সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করবে এবং এর মাধ্যমে পরিবেশ উন্নয়ন ও সংরক্ষণে ভূমিকা রাখবে।
বেক্সিমকোর এই সুকুকের ইস্যু ম্যানেজার, অ্যারেঞ্জার ও অ্যাডভাইজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্সেস লিমিটেড এবং অগ্রণী ইক্যুইটি অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। আর ট্রাস্টি হিসেবে আছে রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ [আইসিবি]।