ডক্টর অব মিউজিক ডিগ্রি অর্জন করলেন শিল্পী মমতাজ

13 Apr 2021, 01:56 PM সারেগারে শেয়ার:
ডক্টর অব মিউজিক ডিগ্রি অর্জন করলেন শিল্পী মমতাজ

ভারতের তামিলনাড়ুর গ্রোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি থেকে সম্মানসূচক ডিলিট ডিগ্রি অর্জন করেছেন বাংলাদেশের লোক সংগীতশিল্পী মমতাজ বেগম এমপি। 

১০ এপ্রিল ২০২১ তিনি এ সম্মানে ভুষিত হন। এক বার্তায় গ্রোবাল হিউম্যান পিস ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করে, শিল্পী হিসেবে সাতশ’টির বেশি একক অ্যালবামের রেকর্ড, সুদীর্ঘ ত্রিশ বছর বাংলা গানকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরা ও সমাজ সেবা ছাড়াও নানামুখী কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত রেখে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন মমতাজ। যে কারণে তারা বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ১০ এপ্রিল তাকে ‘ডক্টর অব মিউজিক’ ডিগ্রি প্রদান করে। মমতাজের হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান পিম্যানুয়েল। একই সময়ে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেছেন চেন্নাইয়ের সাবেক জেলা জজ থির এজে মুর গানানথাম, তামিলনাডুর আধ্যাত্মিক ধর্মগুরু খলিফা মাস্তান সাহেব ক্বাদিরি, কেরালা ডক্টর এ পি জে আবদুল কালাম ইনস্টিটিউট অব বিজনেস ম্যানেজমেন্ট পরিচালক উইলাত কোরাইয়া।

সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি গ্রহণ করতে ১০ এপ্রিল ২০২১ সকালের ফ্লাইটে ভারতের উদ্দেশে যাত্রা করেন মমতাজ। যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১২ এপ্রিল তিনি দেশে ফেরেন। এমন একটি সম্মাননা পাওয়ার অনুভূতি জানাতে গিয়ে মমতাজ বলেন, ‘ত্রিশ বছর ধরে গানের সঙ্গে আছি। মানুষের ভালোবাসা পেয়ে চলছি। চেষ্টা করেছি, মানুষের পাশে থাকার। জনপ্রতিনিধি হয়েও সবসময় মানুষের কাছাকাছি আছি। এই সময়ে আমি অনেক সম্মাননা অর্জন করেছি। কিন্তু এবার যা ঘটেছে, তা আমার জীবনের অন্যতম একটি বড়ো ঘটনা। আমার জন্য অনেক বড়ো পাওয়া। দেশের বাইরের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমন প্রাপ্তি আমার আগামী দিনের পথচলায় অনেক বেশি অনুপ্রাণিত করবে।’

উল্লেখ্য, মমতাজ তিন দশকের বেশি সময় ধরে পেশাদার শিল্পী হিসেবে কাজ করছেন। সংগীত জীবনে সাত শতাধিক একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে তার। ২০০০ সালে হানিফ সংকেতের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে গান করেন তিনি। মোহাম্মদ রফিকউজ্জামানের কথায় ও সোহেল আজিজের সুরে ‘রিটার্ন টিকিট’ গানটি গেয়েছিলেন সে-সময়। এর পরই রাতারাতি সারাদেশের শ্রোতাদের কাছে পৌঁছে যান তিনি। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সাংসদ নির্বাচিত হন মমতাজ। ২০১৮ সালে মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচিত হন এই শিল্পী। তার আগে ২০০৯ সালে নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক সংসদ সদস্য মনোনীত হন। 

গান ও রাজনীতির বাইরেও নানা ধরনের সামাজিক কর্মকান্ডের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন মমতাজ। ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘মমতাজ চক্ষু হাসপাতাল’। ২০০৮ সালে সিঙ্গাইরে তার গ্রামে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘মমতাজ শিশু ও চক্ষু হাসপাতাল’। বাংলাদেশ বধির ক্রীড়া ফেডারেশনের সভাপতি তিনি। এছাড়া আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন ২০১০ সাল থেকে। মমতাজ বেগম আন্তর্জাতিক চক্ষু চিকিৎসা সংস্থা অরবিসের দৃষ্টিদূত ও অস্ট্রেলিয়ার একটি শিক্ষাবিষয়ক সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর।