বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীতের ইতিহাসে ভাইকিংস একটি অনন্য নাম। একের পর এক জনপ্রিয় গান উপহার দিয়ে নিজেদের জন্য গড়ে তুলেছে এক বিশেষ শ্রোতাশ্রেণি। মঞ্চে উপস্থিত হলে তাদের গান ঘিরে সৃষ্টি হয় অন্যরকম উন্মাদনা, দর্শক-শ্রোতার হৃদয়ে জাগে উচ্ছ্বাস ও উল্লাস। দেখতে দেখতে এভাবেই সংগীতচর্চার টানা ২৮টি বছর পার করে ফেলল ব্যান্ডটি।
২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ আনুষ্ঠানিকভাবে ২৮ বছরে পদার্পণ করেছে ভাইকিংস। দীর্ঘ এই পথচলার অনুভূতি জানাতে ব্যান্ডটির ভোকাল ও দলনেতা তন্ময় তানসেন বলেন— “২৮ বছরের এই সফর আমাদের কাছে সত্যিই এক মনোমুগ্ধকর যাত্রা। শ্রোতা, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভালোবাসা ছাড়া এটি কখনোই সম্ভব হতো না। আমরা কৃতজ্ঞ সবার প্রতি, যারা আমাদের পাশে ছিলেন। সামনে আরও অনেক ভালো কিছু অপেক্ষা করছে। আশা করি আমরা সবাই মিলে সেই নতুন অধ্যায়ের সাক্ষী হবো।”
ভাইকিংস-এর যাত্রা শুরু হয়েছিল নব্বইয়ের দশকে। শুরু থেকেই তারা নিজেদের আলাদা ধারা তৈরি করেছে। বিভিন্ন প্রজন্মের শ্রোতারা তাদের গান শুনে মুগ্ধ হয়েছেন। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এখনো তারা ব্যস্ত কনসার্ট, নতুন গান ও শ্রোতাদের সঙ্গে সরাসরি আড্ডায়।
২৮ বছরের এ পথচলা শুধু একটি ব্যান্ডের ইতিহাস নয় ; এটি এক প্রজন্ম থেকে আরেক প্রজন্মে সংগীতের উত্তরাধিকার বহন করার এক অসাধারণ দৃষ্টান্ত। ভাইকিংস তাই শুধু একটি ব্যান্ড নয়, বরং বাংলাদেশের ব্যান্ডসংগীতের ইতিহাসে এক উজ্জ্বল অধ্যায়ের নাম।