ঈদের দিন যেমন সাজবেন

07 Apr 2024, 12:35 PM ফিচার শেয়ার:
ঈদের দিন যেমন সাজবেন

ঈদ মানেই যেন খুশি, আনন্দ, সাজসজ্জা। আর এই গরমে ঈদের দিনটিতে সৌন্দর্যের পাশাপাশি চাই স্নিগ্ধ ও আরামদায়ক সাজ। ঈদের দিন তিনবেলা কীভাবে নিজেকে সাজাবেন জেনে নেওয়া যাক...



যেহেতু ঈদের সময় গরম থাকবে, তাই এই সময়ে ভারি কাজ করা জামা নির্বাচন না করে হালকা কাজ করা পোশাককে প্রাধান্য দেওয়া উচিত।

ঈদে অনেকেই শাড়ি পরতে পছন্দ করেন। সেক্ষেত্রে গরমে স্বস্তি পেতে হালকা রঙের শাড়ি পরলেই বেশি ভালো। এতে ভালো আরাম পাওয়া যাবে। এছাড়া সাদা, আকাশি, গোলাপি, নীল, হালকা বেগুনি, লেমন এসব রঙের পোশাকই গরমের জন্য হয়ে থাকে বেশ আরাম ও স্বস্তিদায়ক। ঈদের দিনের পোশাক হিসেবে তাই এসব রঙের পোশাক পরা যেতে পারে।

অলঙ্কার ব্যবহারের ক্ষেত্রে পোশাক, মেকআপ, স্থান এবং সময় নির্ভর করে নির্বাচন করুন। মানানসই অলঙ্কারেই নারী হয়ে ওঠে আরো সুন্দরী।

মেকআপ করার আগে প্রথমেই ভালো একটি ফেসওয়াস দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নেবেন। এরপর মুখে এক টুকরো বরফ ঘষে নিন। এর ফলে ত্বক ঠান্ডা হবে এবং অতি গরমে ঘেমে মেকআপ নষ্ট হবে না। ঈদের সাজে মেকআপ করার আগে অবশ্যই অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে নেবেন। এটা করলে মেকআপ ভালোভাবে ত্বকে বসে থাকবে।

ঈদের দিন যেহেতু কম-বেশি বাইরে বের হবেনই, তাই রোদ থেকে রক্ষা পেতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে একদমই ভুলবেন না।

গরমের দিন, তাই মেকআপ হালকা হবে। এক্ষেত্রে গাঢ় রঙের লিপস্টিকে আপনাদের সুন্দর মানাবে। তাই মেরুন, গোলাপি, ওয়াইন, লাল কিংবা জামার সঙ্গে মিলিয়ে পছন্দের যেকোনো শেডের লিপস্টিকে ঠোঁট রাঙিয়ে নিতে পারেন।

মেকআপের পর একটি ম্যাট সেটিং ¯েপ্র দিয়ে মেকআপ সেট করে নেবেন। এর ফলে তীব্র গরমেও মেকআপ নষ্ট হবে না।

গরমের তীব্রতা থেকে রক্ষা পেতে চুল বেঁধে রাখা ভালো। খোঁপা, বেণি, পনিটেইল করে স্টাইলিশভাবে বেঁধে নিতে পারেন চুল। তবে এর সঙ্গে খোঁপায় গেঁথে নিতে পারেন পোশাকের সঙ্গে মানানসই কোনো তাজা বা আর্টিফিসিয়াল ফুল। তবে আপনি চাইলে চুল খোলাও রাখতে পারেন।

সকালের সাজ

ঈদের দিন সবাই সাধারণত ভোরবেলায়ই ঘুম থেকে ওঠে। তখন গরম কম থাকে। কেউ যদি শুধু সকালের সময়টুকু সাজতে চায়, তাহলে তখন কিছুটা গর্জিয়াস পোশাক পরলেও সমস্যা হবে না। কিন্তু একই সাজে যদি দুপুর পর্যন্ত থাকার পরিকল্পনা থাকে, তাহলে অবশ্যই কিছুটা আরামদায়ক পোশাক পরতে হবে। সুতি কিংবা যেকোনো নরম কাপড় হলে ভালো হয়।

থ্রি-পিস, কুর্তি কিংবা আরামদায়ক কোনো শাড়ি পরা যেতে পারে। আর সকালের সাজটাও সকালের মতো স্নিগ্ধ সুন্দর হওয়া চাই। খুব বেশি জমকালো সাজও নয়, আবার একদম হালকা সাজও নয়, ঈদ উৎসবের সঙ্গে মানানসই সাজ দেওয়া যেতে পারে। সকালে যেহেতু গরম থাকবে না তেমন, তাই চুল খোলা রাখা যেতে পারে।

দুপুরের সাজ

দুপুরের সাজ সাধারণত বিকেল পর্যন্ত ক্যারি করা হয়। এদিকে গরমের দিনে ঈদ হওয়ার কারণে দুপুরের আবহাওয়া সবচেয়ে বেশি উত্তপ্ত থাকবে, তাই অবশ্যই হালকা পোশাক পরতে হবে। যেসব রঙের পোশাকে গরম কম লাগে, সেসব রঙের পোশাক পরতে হবে। ভারি পোশাক পরলে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যেতে হবে। সাজতেও হবে হালকাভাবে। ফেস টোনের সঙ্গে মিল রেখে ফাউন্ডেশন, ফেস পাউডার ব্যবহার করতে হবে। হালকা রঙের ব্লাশন ব্যবহার করা যেতে পারে। চোখে কাজল পরলে হালকা সাজে সুন্দর লাগবে। লিপস্টিক গাঢ় রঙের ব্যবহার করা যেতে পারে, আবার হালকা রং হলেও মানানসই হবে। চুল এমনভাবে বাঁধতে হবে, যেন গরম না লাগে। চাইলে খোঁপাও করতে পারেন।

রাতের সাজ

রাতের বেলা হালকা গরম থাকলেও রোদের ঝামেলা নেই। তাই ঈদ উৎসবে রাতের সাজটা সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয় কিংবা জমকালো করা যেতে পারে। ভারি কোনো পোশাক পরা যেতে পারে। যেমন : লেহেঙ্গা, গর্জিয়াস শাড়ি কিংবা অন্য যেকোনো ভারি কাজের পোশাক। রাতের মেকআপটা একদম আয়েশ করে করা যেতে পারে। স্কিন টোনের সঙ্গে মিলিয়ে মেকআপের সব কটি উপাদান ব্যবহার করা যেতে পারে, যার যার প্রয়োজনমতো। উজ্জ্বল ব্লাশন, গাঢ় কিংবা হালকা রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করা যাবে। সাজ-পোশাকের সঙ্গে মানানসই হেয়ারস্টাইল করলে আরও দারুণ লাগবে।

ঈদের সাজ অবশ্যই সবার মনমতো হওয়া চাই, নাহলে ঈদের আনন্দ অনেকটা ম্লান হয়ে যায়। তাই সাজপোশাকের ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক এবং যতœবান হতে হবে। সবার ঈদ রঙিন হয়ে উঠুক। হ

মডেল : নীলাঞ্জনা নীলা, মৌ খান, জান্নাতুল স্বর্ণা, নীরা