অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের জন্মদিন আজ

25 Jul 2023, 02:35 PM অন্যান্য শেয়ার:
অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের জন্মদিন আজ

 

আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগরবিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতাবরেণ্য ব্যক্তিত্ব আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জলাই কলকাতার পার্ক সার্কাসে জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈতৃক নিবাস বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার অন্তর্গত কামারগাতি গ্রামে। তার পিতা আযীমউদ্দিন আহমদ ছিলেন একজন সফল কলেজ শিক্ষক। আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে পাবনা জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে বাগেরহাটের প্রফুল্লচন্দ্র কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হন। এরপর ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ গত শতকের ছয়ের দশকে একজন প্রতিশ্রুতিশীল কবি হিসেবে পরিচিতি পান। সে-সময়ে সমালোচক এবং সাহিত্য-সম্পাদক হিসেবেও তিনি অবদান রেখেছিলেন। তার জীবনের একটি উল্লেখযোগ্য কীর্তি হলো বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রযা চল্লিশ বছর ধরে বাংলাদেশে আলোকিত মানুষ’ তৈরির কাজে নিয়োজিত।

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ ১৯৬১ খ্রিষ্টাব্দে মুন্সীগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজে খণ্ডকালীন প্রভাষক পদে যোগদানের মধ্য দিয়ে একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীসময়ে তিনি কিছুকাল সিলেট মহিলা কলেজে শিক্ষকতা করেন। এরপর ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের ১ এপ্রিল তিনি রাজশাহী কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে সরকারি চাকরিজীবন শুরু করেন। সেখানে পাঁচ মাস শিক্ষকতা করার পর তিনি ঢাকায় ইন্টারমিডিয়েট টেকনিক্যাল কলেজে যোগদান করেনযেটা বর্তমানে সরকারি বিজ্ঞান কলেজ। এই কলেজে তিনি দু'বছর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের [বুয়েট] পুরকৌশল বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে বাংলা ক্লাশ নিতেন।

এরপর তিনি ঢাকা কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ জালালউদ্দিন আহমেদের আমন্ত্রণে সেখানে যোগদান করেন।

সমকালে বাংলাদেশে নতুন ধারার সাহিত্য আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন তিনি। ওই সময় কিছুকাল বাংলাদেশ টেলিভিশনে উপস্থাপনাও করেছেন অধ্যাপক সায়ীদ।

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ কর্মক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে রামোন ম্যাগসেসে পুরস্কার লাভ করেন। বাংলাদেশে অ-প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা বিস্তারে অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে। প্রবন্ধে অবদানের জন্য তিনি ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন। আজ এই বরেণ্য ব্যক্তির জন্মদিনে আনন্দভুবনের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।