সিনেমা বানানোর জন্য অনুদান পেলেন যারা

19 Jun 2023, 04:58 PM মুভিমেলা শেয়ার:
সিনেমা বানানোর জন্য অনুদান পেলেন যারা

১৯৭৬-’৭৭ অর্থবছর থেকে দেশীয় চলচ্চিত্রের জন্য সরকারি অনুদান চালু করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় ২০২২-’২৩ অর্থবছরের সরকারি অনুদানের তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। এবার পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে ২২ জনকে ১২ কোটি ৮৮ লাখ টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে। ২২টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ১১টি চলচ্চিত্রের প্রতিটি অনুদান হিসেবে পাচ্ছে ৬০ লাখ টাকা। ৮টি চলচ্চিত্রের প্রতিটি ৫৫ লাখ টাকা করে। ৬৫ লাখ করে পেয়েছে ২টি চলচ্চিত্র এবং ৫৮ লাখ টাকা পেয়েছে একটি চলচ্চিত্র।

১৮ জুন, রোববার, এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনুদানের পরিমাণ ও অনুদানপ্রাপ্তদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। যেখানে ২২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের কথা উল্লেখ রয়েছে। অনুদানপ্রাপ্ত ২২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার মধ্যে থাকছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় একটি, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ শাখায় একটি, সাধারণ শিশুতোষ শাখায় দু’টি ও সাধারণ শাখায় ১৮টি সিনেমা।

পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে সর্বোচ্চ ৬৫ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন নূর ইমরান মিঠু ও মাতিয়া বানু শুকু। ‘সার্কাস’ সিনেমার জন্য এ অর্থ বরাদ্দ পেয়েছেন মিঠু। সিনেমাটি পরিচালনাও করবেন তিনি। অন্যদিকে মাতিয়া বানু শুকু পেয়েছেন ‘লাল মিয়া’ নামের সিনেমার জন্য। এটি পরিচালনা করবেন পরিচালক নুরুল আলম আতিক।

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শাখায় অনুদান পেয়েছেন বদরুন নাহার রক্সি। ‘যুদ্ধ শিশু’ সিনেমার জন্য তিনি বরাদ্দ পেয়েছেন ৬০ লাখ টাকা। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন মোহাম্মদ উল্লাহ। মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিশুতোষ শাখায় ‘ভোর’ সিনেমার জন্য ৬০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন মাহিন মাহনুমা। পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন আমিনুর রহমান খান।

শিশুতোষ শাখায় ‘মাটির রাজকুমার’ সিনেমার জন্য ৬০ লাখ টাকা অনুদান পেয়েছেন শামীমা ইসলাম তুষ্টি। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন রুবেল শঙ্কর বিশ্বাস। একই শাখায় একই পরিমাণ অর্থ অনুদান পেয়েছেন আকা রেজা গালিব। ‘মস্ত বড়লোক’ নামের সিনেমাটি পরিচালনাও করবেন তিনি।

এছাড়া সাধারণ শাখায় ‘দেনা পাওনা’; প্রযোজক ও পরিচালক সাদেক সিদ্দিকী ৫৫ লাখ টাকা, ‘মাস্টার’; প্রযোজক ও পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত ৬০ লাখ, ‘দ্য আগস্ট’; প্রযোজক ও পরিচালক মাসুদ পথিক ৬০ লাখ, ‘রেনুর মুক্তিযুদ্ধ’; প্রযোজক ও পরিচালক রোকেয়া প্রাচী ৬০ লাখ, ‘লারা’; প্রযোজক জ্যোতিকা পাল জ্যোতি, পরিচালক শেখর দাশ ৬০ লাখ, ‘দুই পয়সার মানুষ’; প্রযোজক ও পরিচালক ঝুমুর আসমা জুঁই ৫৮ লাখ, ‘সর্দার বাড়ির খেলা’; প্রযোজক মীর জাহিদুল হাসান [মীর জাহিদ হাসান], পরিচালনা মো. সজীব আহমেদ [রাখাল সবুজ] ৫৫ লাখ, ‘ঠিকানা’; প্রযোজক ও পরিচালক আনোয়ার হোসেন [পিন্টু] ৫৫ লাখ, ‘জীবন আমার বোন’; প্রযোজক মোহাম্মদ জাহিদুল করিম, পরিচালক এনায়েত করিম বাবুল ৫৫ লাখ, ‘সূর্য সন্তান’; প্রযোজক সৈয়দ আশিক রহমান, পরিচালক কৌশিক শংকর দাস ৫৫ লাখ, ‘শিরোনাম’; প্রযোজক কাজী রুবায়াৎ হায়াৎ, পরিচালক এস এম তারেক রহমান ৫৫ লাখ, ‘নীল আকাশে পাখি ওড়ে’; প্রযোজক ও পরিচালক এস ডি রুবেল ৬০ লাখ, ‘নীল জোসনার জীবন’; প্রযোজক ও পরিচালক ফাখরুল আরেফিন খান ৬০ লাখ, ‘রুখসার’; প্রযোজক ও পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক ৬০ লাখ, ‘শাপলা শালুক’; প্রযোজক ও পরিচালক রাশেদা আক্তার লাজুক ৫৫ লাখ, ‘আমার মুক্তি আলোয় আলোয়’; প্রযোজক ইয়াসির আরাফাত, পরিচালনা জহির রায়হান।