শপথ নিলেন নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং বিদায় নিলেন মো.আবদুল হামিদ

25 Apr 2023, 01:32 PM খবর শেয়ার:
শপথ নিলেন নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং বিদায় নিলেন মো.আবদুল হামিদ

বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন। ২৪ এপ্রিল, ২০২৩ সোমবার বেলা ১১টায় বঙ্গভবনের ঐতিহাসিক দরবার হলে তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। শপথ শেষে নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শপথ নথিতে সই করেন।


এ সময়  বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পাশে ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ কয়েক শ অতিথি। নতুন রাষ্ট্রপতির স্ত্রী ড. রেবেকা সুলতানা ও ছেলে আরশাদ আদনান রনিসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। শপথ গ্রহণের পরপরই নতুন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আনুষ্ঠানিকভাবে চেয়ার বদল করেন।


২১তম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মাঠপর্যায়ের রাজনীতিবিদ মো. সাহাবুদ্দিন। এর আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ মো. সাহাবুদ্দিনকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

৭৩ বছর বয়সী মো. সাহাবুদ্দিন ১৯৪৯ খ্রিষ্টাব্দের ১০ ডিসেম্বর পাবনা শহরের শিবরামপুরের জুবিলী ট্যাংক পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন৷ তার ডাক নাম চুপ্পু৷ তার বাবার নাম শরফুদ্দিন আনছারী এবং মায়ের নাম খায়রুন্নেসা৷


তিনি ১৯৭৪ খ্রিষ্টাব্দে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে এলএলবি ও বিসিএস [বিচার] পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন।

কর্মজীবনে তিনি জেলা ও দায়রা জজ এবং দুদকের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন৷ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন৷


মো. সাহাবুদ্দিন পরপর দুবার বিসিএস (বিচার) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব নির্বাচিত হন৷ তিনি চাকরি থেকে অবসরের পর হাইকোর্টে আইন পেশায় নিযুক্ত হন৷


বিদায়ী রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ১৯৪৪ খ্রিষ্টাব্দের পয়লা জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার কামালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মরহুম হাজী মোঃ তায়েব উদ্দিন এবং মাতার নাম মরহুমা তমিজা খাতুন।


মো. আবদুল  হামিদ কিশোরগঞ্জ নিকলী জিসি হাইস্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন, কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজ থেকে আইএ ও বিএ  ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর ঢাকার সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষাজীবন শেষ করে তিনি আইন পেশায় নিয়োজিত হন।

মো. আবদুল হামিদ-এর রাজনৈতিক জীবন শুরু  ১৯৫৯ খ্রিষ্টাব্দে।

আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ মো.আবদুল হামিদ ময়মনসিংহ-১৮ আসন থেকে ১৯৭০ খ্রিষ্টাব্দে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের নমিনেশন পেয়ে সাতবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।