আর কয়েক দিন পরেই ঈদ। ঈদ মানেই আনন্দ আর আনন্দের বহিঃপ্রকাশ ঘটে আমাদের শরীরে ও মনে। আমরা ঘরবাড়ি পরিষ্কারের সঙ্গে সঙ্গে ব্যস্ত থাকি নিজেদের কীভাবে সুন্দর দেখাবে। রোজার এক মাসে আমাদের ত্বক হয়ে উঠতে পারে শুষ্ক নির্জীব। তাই এখন ত্বকের দরকার বাড়তি যতœ। ঈদে সুন্দর থাকার জন্য ত্বকের যতœ ও ঈদের দিনে কীভাবে সাজাবেন নিজেকে এই নিয়ে আমাদের আয়োজন...
মানুষ হিসেবে আমাদের চেহারা যেমন আলাদা, তেমন শরীরের রংও ভিন্ন ভিন্ন। ঠিক একইভাবে মানুষ মাত্রই ত্বকের ধরনও ভিন্ন। সকলের ত্বকের ধরন এক হয় না, আবার বয়স ও লিঙ্গভেদেও ত্বকের ধরনে আসে পরিবর্তন। তাই চর্চার আগে জেনে নিতে হবে মূলত আপনার ত্বক কী ধরনের। এবং সেটার সঙ্গেই ত্বক চর্চার ধরন ও প্রসাধন সামগ্রী নির্ধারণ করতে হবে।
শুষ্ক ত্বক
শুকনো ত্বকের স্বাভাবিকতা বজায় রাখতে প্রয়োজন বাড়তি যতœ। কেননা, এই ত্বকে বয়সের ছাপ বা বলিরেখা খুব দ্রæত পড়ে। আর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের শুষ্কতাও বাড়তে থাকে। তাই এই ত্বকে আর্দ্রতার পরিমাণটা বজায় রাখাই সব চাইতে বড়ো পরিচর্যা।
-শুকনো ত্বকে সবসময় তৈলাক্ত জিনিস ব্যবহার করা প্রয়োজন। বেশি সাবান ব্যবহার করা উচিত নয়। বেসন বা খুব হালকা ফেসওয়াস ব্যবহার করা যেতে পারে। ছোলার ডালের বেসন ত্বকের জন্যে বেশ উপকারী। সাবান ব্যবহার করলে গিøসারিন সোপ ব্যবহার করা যেতে পারে।
- মুখ ধোয়ার পর সবসময় কোনো স্কিন টনিক বা ফ্রেশনার লাগাবেন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে। তেল যুক্ত ভালো ফেস ক্রিম ব্যবহার করবেন ময়েশ্চারাইজার হিসেবে।
- মেকআপের আগে ময়েশ্চারাইজার লাগাবেন। এতে মুখের ত্বক নরম ও ভেজা থাকবে। মেকআপটাও ত্বকের সঙ্গে মিলে যাবে।
- শুষ্ক ত্বকের জন্য মধু খুব উপকারি। আপনার নিয়মিত ব্যবহার করার ফেস প্যাকের সঙ্গে মধু মিলিয়ে লাগাতে পারেন। নতুবা পাকা পেঁপের সঙ্গে মধু দিয়ে চটকে প্যাক তৈরি করতে পারেন। বেসনের সঙ্গেও কাঁচা দুধ আর মধুর প্যাক ভালো কাজ দিবে।
- শুকনো ত্বকে কখনও অ্যাস্ট্রিনজেন্ট লোশন লাগাবেন না। এতে ত্বক আরও রুক্ষ হবে।
- এসিতে থাকলে শুষ্ক ত্বক আরো বেশি শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই যারা এসিতে বেশি থাকেন, তারা বাড়তি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।
- অবশ্যই ভালো সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করবেন।
- হাত-পায়েও শুষ্ক ভাব থাকলে দিনে একাধিকবার বডি লোশন লাগাতে ভুলবেন না।
- গোসলের আগে প্রতিদিন তা না পারলে সপ্তাহে দুদিন অলিভ অয়েল কিংবা সরিষার তেল ১৫/২০ মিনিট ধরে ঘষে ঘষে লাগাবেন। আধঘণ্টা পরে ছোলার ডালের বেসন ও দুধের সর বা কাঁচা দুধ মেশানো পেস্টের মতো করে গায়ে ও মুখে মেখে গোসল করবেন।
- রাতে ঘুমোবার আগে ১ চা-চামচ কাঁচা দুধ নিয়ে তুলোয় ভিজিয়ে মুখে মেখে ১০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে পারেন।
- শশার রস ১০ মিনিট মুখে মেখে ধুয়ে ফেলবেন। এতে রং ফর্সা হয় ও উজ্জ্বলতা বাড়ে।
- বাইরে থেকে এসে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে ফেলবেন।
- রাতে মুখ ধুয়ে সমপরিমাণ পানির সঙ্গে গিøসারিন মিশিয়ে মুখে মাখতে পারেন। মুখ নরম থাকবে। খসখসে ভাব হবে না। গিøসারিন আপনার নিয়মিত ক্রিমের চাইতে অনেক বেশি কার্যকর।
- প্রচুর পানি খাবেন। ভিটামিন-সি, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডিযুক্ত খাবার খাবেন। প্রতিদিন দুধ খাবেন।
তৈলাক্ত ত্বক
তৈলাক্ত ত্বক দেখলেই সহজে বোঝা যায়। তৈলাক্ত ত্বককে ভালো ত্বক বলা হলেও এর সমস্যা সবচেয়ে বেশি। তবে এ ত্বক বেশি বয়স পর্যন্ত সজীব থাকে এবং বলিরেখাও সহজে পড়ে না। গরমকালে এ ত্বক থেকে বেশি পরিমাণে তেল বের হয়। তাই অন্যান্য ত্বকের তুলনায় এ ত্বকের যতœ বেশি নিতে হয় এবং পরিষ্কার রাখতে হয়। দিনে-রাতে মিলিয়ে ৮/১০ বার মুখ ধুয়ে এ ত্বক পরিষ্কার করলে ভালো। তা না হলে ব্রণ, বø্যাক হেডস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ফলে মুখে দাগ সৃষ্টি হয়ে বিশ্রী হয়ে যায়।
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কয়েকটি ঘরোয়া ফেসপ্যাক
১. মসুরের ডালের বেসন, খাঁটি সরিষার তেল একত্রে মিশিয়ে পাতলা ধরনের পেস্টের মতো করে মুখে লাগিয়ে ৩-৪ ঘণ্টা রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ঘষে-ঘষে ধুয়ে ফেলুন। ঘষার সময় দেখবেন সাবানের ফেনার মতো হচ্ছে। এতে মুখের দাগ উঠে যায়, রং ফর্সা হয়। এই প্যাকে পানি লাগাবেন না। বেসনের সঙ্গে তেল মেশান।
২. মসুরের ডাল বাটা, দুধের সর একত্রে ১৫/২০ মিনিট মুখে রেখে প্রথমে হালকা গরম পানি দিয়ে, পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৩. ডিমের সাদা অংশ, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস একত্র করে ১৫ মিনিট রেখে স্বাভাবিক ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন।
৪. মসুরের ডালের বেসন, মধু একত্র করে ১৫/২০ মিনিট মুখে রেখে প্রথমে হালকা গরম পানি এবং পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫. অলিভ অয়েল, কাঁচা ডিমের কুসুম, মসুরের ডাল বাটা একত্রে মুখে মেখে ১৫/২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
স্বাভাবিক ত্বকের যতেœ
এ ধরনের ত্বকে সাধারণত সমস্যা অনেক কম হয়ে থাকে। তাই অনেকে মনে করেন, স্বাভাবিক ত্বকের প্রয়োজন নেই কোনো বাড়তি যতেœর, যা কিনা একেবারেই একটি ভুল ধারণা। একটা বয়সের পর ত্বক নিজেকে আর ধরে রাখতে পারে না, নিজের যতেœর ভার আর প্রকৃতি নিতে পারে না তখন। তাই সময় থাকতে সতর্ক থাকতে হবে আপনাকেই।
- পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মানেই যেমন ধোয়া-মোছা তেমনি ত্বকের পরিচ্ছন্নতায় ধোয়া-মোছাই প্রথম। দিনে-রাতে মিলিয়ে কম করে পাঁচবার মুখ স্বাভাবিক পানি দিয়ে ধোবেন। এতে ধুলোবালি লোমক‚পের গোড়ায় আটকে থাকতে পারবে না। ত্বক সজীব মনে হবে।
- ফেসওয়াস, সাবান অথবা বেসন ব্যবহার করে মুখমÐল পরিষ্কার করতে পারেন। প্রাকৃতিক উপাদান, যেমন : বুটের বেসন দিয়ে মুখমÐল পরিষ্কার করতে পারেন। যত ভালো কো¤পানির বিউটি সোপই হোক না কেন সাবান মাত্রই হচ্ছে ক্ষার জাতীয় পদার্থ। তাই ব্যবহার না করাই উত্তম।
- রাতে শোবার আগে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নেবেন। পরে মুখ মুছে গিøসারিনের সঙ্গে সমপরিমাণ পানি মিশিয়ে মুখে মেখে নিতে পারেন। কিংবা লাগিয়ে নেবেন ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার। এতে মুখের ত্বক নরম থাকবে এবং খসখসে হবে না। সকালে আপনি পাবেন উজ্জ্বল একটি ত্বক।
- সপ্তাহে ২-৩ দিন ফেসপ্যাক লাগাবেন। ফেসপ্যাক লাগানোর ১৫/২০ মিনিট পরে মুখমÐল ভালোভাবে স্বাভাবিক ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এতে মুখের উজ্জ্বলতা বাড়বে। স্বাভাবিক ত্বকের জন্য চন্দন, মুলতানি মাটি, মধু ও দুধ মিশিয়ে চমৎকার ফেসপ্যাক বানাতে পারেন ঘরেই।
- বাইরে থেকে ঘরে ফিরে অবশ্যই মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নেবেন তুলোর সঙ্গে ক্লিঞ্জিং মিল্ক মিশিয়ে, যেন মেকআপ লেগে না থাকে কিংবা বাইরের ধুলোবালি লোমক‚পের গোড়ায় যেন আটকে না থাকে। পরিষ্কার ত্বকে ব্রণ হওয়ার ভয় থাকে না।
- মাঝে মাঝে মুখে গরম পানির ভাপ বা স্টিম নিতে পারেন। এতে লোমক‚পের গোড়া খুলে গিয়ে তেল-ময়লা জমতে পারবে না এবং ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা কমে যাবে।
ঈদের সাজ
সকালে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে হালকা ফেস পাউডার লাগান। চোখে থাকুক হালকা কাজলের ছোঁয়া। গালে ন্যাচারাল কালারের বøাশার। ঠোঁটে একচিমটি গøস। দুপুরের দাওয়াতে মেকআপ হবে হাল্কা। ব্যবহার করুন হালকা ফেস পাউডার, ত্বকের রং ঘেষা আই শ্যাডো, বাদামি বা কালো কাজলের বা পেন্সিলের রেখা। ঠোঁটে ন্যুড লিপস্টিক বা লিপগøস।
রাতের সাজ
সারাদিন বেড়ানো কিংবা মেহমানদারির পর আপনি কিছুটা ক্লান্ত। রাতে দাওয়াতে যেতে হবে। তাই ক্লান্তি দূর করার জন্য আপনার ত্বকের টোনিং প্রয়োজন। মেকআপের আগে ত্বকের বাড়তি তেল দূর করার জন্য সারামুখে শশার পাতলা টুকরা দিয়ে নিন। চোখের উপরে রাখুন কুরোনো আলু, এতে চোখের নিচে আসবে সজীবতা। শশার রস অ্যাস্ট্রিনজেন্টের কাজ করে। ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে টমেটো ¯øাইজও ব্যবহার করতে পারেন। টমেটো আর্দ্রতা ধরে রাখে ও টোনিংয়ের কাজ করে। শুষ্ক ত্বকের অধিকারীর ডিমের হলুদ অংশ মুখে লাগালেও নিমেষে মুখের ক্লান্তির ছাপ মুছে যাবে। আপনার ব্যক্তিত্ব ও চরিত্র অনুযায়ী বেছে নিন প্রসাধনীর রং। পোশাকের সঙ্গে মেকআপের সঠিক সমন্বয় থাকা প্রয়োজন। আপনি যদি দেশীয় পোশাক পরেন তাহলে মেকআপের ধরন যেমন হবে ঠিক তেমনটি হবে না যদি আপনি পশ্চিমা পোশাক পরেন।
বেইজ : আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে আপনি ওয়াটার এবং পাউডার বেইজড মেকআপ ব্যবহার করুন। আর ত্বক যদি শুষ্ক হয় তাহলে ক্রিম বেইজ মেকআপই ভালো। যদি আপনি গøসিভাব পছন্দ না করেন তাহলে ময়েশ্চারাইজড ফাউন্ডেশন ও ক¤প্যাক্ট ব্যবহারের পর পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। ভ্রæ আঁকতে কালো ও ব্রাউন মিসজ শ্যাডোর আশ্রয় নিন। ব্রাউন আই ভ্রæ পেন্সিল দিয়ে মুখের আদল বুঝে হাল্কা হাতে ভ্রæর শেপ করে নিন। তারপর ব্রাশের সাহায্যে ভরাট করে দিন।
চোখের সাজ
ভ্রæর নিচে হাড়ের উপরে লাগান রুপালি কিংবা সোনালি হাইলাইটার। এই হাইলাইট ভ্রƒর হাড়কে উঁচু দেখাতে সাহায্য করে। চোখের পাতার উপর ব্যবহার করুন আইশ্যাডো। নাকের কাছে কোণ থেকে অন্য কোণ পর্যন্ত পুরো পাতার উপরেই দেবেন আইশ্যাডো। আইশ্যাডো পোশাক অনুযায়ী হতে পারে কিংবা কণ্ট্রাস্ট, স্মোকি বা দুই/তিন শেডের হতে পারে। তবে পাপড়ির ঠিক ওপরে থাকবে সবচেয়ে গাঢ় শেড এবং ক্রমান্বয়ে তা উপরের দিকে হালকা হয়ে বেøন্ড হবে। তবে মনে রাখতে হবে- সব শেডই যেন ঠিকমতো মিশে থাকে অর্থাৎ যেন মনে হয় একটি শেড থেকেই অন্যটির উদ্ভব।
চোখের মেকআপ পরিপূর্ণ করার জন্য পেন্সিল ব্যবহার করা দরকার। পেন্সিল দিয়ে রেখা টানার পর আড়গুলের সাহায্যে সেটি মিশিয়ে দিন। কাজল হিসেবে পেন্সিল চোখের নিচের পাতায় ব্যবহার করুন। গাঢ় কোনো শেড দিয়ে তা বেøন্ড করে দিন যাতে দীর্ঘস্থায়ী হয়। আপনি চাইলে চোখের ওপরের পাতা বরাবরও লাগাতে পারেন অন্য কালারের কেক আই লাইনার। এতে আই লাইনারের তেমন কড়া এফেক্ট আসে না। বেশ একটা মসৃণ ভাব আসে। চোখের মেকআপের ক্ষেত্রে দিনের ও রাতের প্রসাধনে তফাৎ থাকে। দিনের মেকআপ করুন ত্বকের রং ঘেষা আইশ্যাডো, বাদামি বা কালো কাজল বা পেন্সিলের রেখা। রাতের মেকআপে পোশাক অনুযায়ী আইশ্যাডো হাইলাইটার নীল বা কালো লাইনারের রেখা। চোখের কোণে অনেক সময় নাটকীয় চমক আনতে আইশ্যাডোর রেখা টানতে পারেন। আইশ্যাডো ব্রাশের ডগা দিয়ে পছন্দসই রঙের শ্যাডোর রেখা টানুন চোখের বাইরের কোণ থেকে ভেতরের কোণে।
যেকোনো অনুষ্ঠানে দৃষ্টিকে আরও আকর্ষক করে তুলতে মাসকারার ব্যবহার খুবই জরুরি। মাসকারা সব সময় চোখের পাতার গোড়া থেকে আগা অবধি লাগাতে হয়। চোখের পাতা ঘন দেখাতে প্রথমে এককোট মাসকারা লাগান। এরপর শুকিয়ে গেলে আর এককোট লাগান।
বøাশার : বøাশার যেমন আপনার ত্বকে আনে রঙের ছোঁয়া, তেমনি মুখের হাড়ের গড়ন সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করে। ঠিকমতো ব্যবহার করতে পারলে গোলমুখ লম্বা করতে এবং গাল ভাঙা মুখও ভরাট দেখায়। বøাশার ব্যবহার করার সময় খেয়াল করবেন বøাশ-অনের রংটি যেমন আপনার পোশাক, লিপস্টিক, আইশ্যাডোর রঙের সঙ্গে মানানসই হয়। বøাশার লাগাবেন বøাশার ব্রাশ দিয়ে। ক্রিম বøাশার লাগাতে হবে আঙুলের ডগা দিয়ে, লিকুইড মেকআপ লাগানোর পরে এবং অবশ্যই ফেস
পাউডার লাগানোর আগে। যদি আপনার ডিম্মাকৃতি আকারের মুখ হয় তাহলে হাড়ের সবচেয়ে উঁচু জায়গায় বøাশ-অন লাগিয়ে মিলিয়ে দিন রগের দিকে। যদি গোলমুখ হয় তাহলে বøাশার লাগানোর সময় এমনভাবে লাগাতে হবে যাতে ব্রাশের টানটি চোয়ালের হাড় থেকে গালের ওপরদিকে উঠে যায়। থুতনির ঠিক কেন্দ্রে সামান্য একটু বøাশারের বিন্দু লাগিয়ে ঘষে দিন। গড়ন কিছুটা লম্বা দেখাবে। চৌকোণা মুখে বøাশার লাগাবে চোয়ালের দুই পাশ থেকে গালের মাঝখান বরাবর। এককোট গাঢ় বøাশার কিংবা ডার্ক প্যানকেক দিয়ে কানের লতি থেকে চিবুক বরাবর চোয়ালের হাড়ের একটু উপরেও একটু নিচে ব্রাশ করলে চৌকোণাভাব কিছুটা কমে। ভারি গালের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য। নাকের চওড়া পাটা উঁচু দেখাতে নাকের দু’ধারে গাঢ় রঙের ফাউন্ডেশন লাগিয়ে হাতের উপরের দিকের টানে মিলিয়ে দিতে হবে। নাকের উপরের অংশে অর্থাৎ নাকের মাঝখানের হাড়ে হালকা রঙের ফাউন্ডেশন লাগান।
লিপস্টিক : লিপস্টিক লাগানোর আগে লিপব্রাশ দিয়ে বা লিপ পেন্সিল দিয়ে ঠোঁটের চারধারে আউটলাইন এঁকে নিন। লিপব্রাশে লিপস্টিক দিয়ে ভেতরটা ভরাট করে নিন। সবশেষে পারফিউম ছড়িয়ে নিন। সুরভিত, সুসজ্জিত আপনি হয়ে উঠুন প্রিয়জনের কাছে আকর্ষক, অনন্যা। হ
গ্রন্থনা : ফাতেমা ইয়াসমিন