আমেরিকান আইডলরা কে কোথায়

04 Jan 2021, 03:30 PM দূরদেশ শেয়ার:
আমেরিকান আইডলরা কে কোথায়

এ পর্যন্ত আমেরিকান আইডলের ১৫টি সিজন পার হয়েছে তার মানে বিশ^সংগীতাঙ্গনে ১৫ জন জনগণের পছন্দের গায়ক-গায়িকা যুক্ত হয়েছেন। দিন দিন বেড়েই চলছে আমেরিকান আইডল প্রতিযোগিতার জনপ্রিয়তা। এ প্রতিযোগিতা থেকে প্রতিবছরই নতুন নতুন অনেক প্রতিভাবান গায়ক-গায়িকা বেছে নেন জনগণ। প্রথম থেকেই তারা হয়ে যান জনগণের তারকা। আমেরিকান আইডল বিজয়ীদের মধ্যে অনেকেই এখন বেশ জনপ্রিয় সফল শিল্পী। অনেকে আবার গান ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজে ব্যস্ত আছেন। চলুন এবারের দূরদেশ আয়োজনে দেখে নিই আমেরিকান আইডল বিজয়ীরা এখন কে কী করছেন ...


ক্যালি ক্লার্কসন [Kelly Clarkson]

মাত্র ২০ বছর বয়সে ক্যালি ২০০২ সালে আমেরিকান আইডল খেতাব জেতেন। আমেরিকান আইডলের ইতিহাসের প্রথম আইডল হওয়ায় বেশ প্রত্যাশা ছিল ক্যালির ওপর। ক্যালিও হতাশ করেননি। আইসিএ রেকর্ড কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে নিজের একক অ্যালবাম বের করেন তিনি। এরপর তিনি আইডলের ২য় রানার আপ জাস্টিনের সঙ্গে একটি সিনেমায় অভিনয় করেন। ২০০৬ ও ২০১৩ সালে ক্যালি বেশ কয়েকটি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জেতেন। জনপ্রিয় আরেকটি সংগীত প্রতিযোগিতায় তাকে বিচারক হিসেবে দেখা গিয়েছে। বর্তমানে তার হাতে ‘দ্য ক্যালি ক্লার্কসন শো’ নামে একটি টক শো রয়েছে। 


রুবেল স্টাডার্ড [Rubel Studard]

ভেলভেট টেডি বেয়ার নামে পরিচিত ২৫ বছরের রুবেন। শো জয়ের পর তিনি র‌্যাপ ও গসপেল দুই ধরনের গানেই বেশ নামডাক পান। ২০০৩ সালে তিনি গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড প্রতিযোগিতায় সেরা র‌্যাপ গায়ক হিসেবে নাম করেন। তার এ পর্যন্ত অনেকগুলো অ্যালবাম বের হয়েছে। ২০১৮ সালে তার রুবেন সিং’স লুথার বেশ জনপ্রিয়তা পায়। 


ফ্যান্টাসিয়া ব্যারিনো [Fantasia Barrino]

তৃতীয় সিজনের বিজয়ী ফ্যান্টাসিয়া ১৯ বছর বয়সে আমেরিকান আইডল খেতাব পান। এরপর বেশ কিছু অ্যালবাম উপহার দেন। শুধু তাই নয়, অভিনয়েও বেশ দক্ষতা রয়েছে তার। টিভি শো সিম্পসন এবং আমেরিকান ড্রিমস-এ তাকে অভিনয় করতে দেখা গেছে। বেশ প্রশংসিতও হয়েছেন তিনি। ২০১০ সালে ‘ফ্যান্টাসিয়া ফর রিয়েল’ নামে একটি টিভি শো করেন তিনি।


ক্যারি আন্ডারউড [Carrie Underwood]

২২ বছর বয়সে ২০০৫ সালে আমেরিকান আইডল খেতাব জেতেন ক্যারি। বলা যেতে পারে, তিনি তার আগের সকল আইডল থেকে সফল। ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে তিনি সবচেয়ে বেশি আয়কারী আইডল হিসেবে মনোনীত হন। তিনি অনেক অ্যালবাম বের করেন। সাতবার গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জয় করেন। ডজন খানেক সংগীতে পুরস্কার জেতেন। ২০১৭ সালে তিনি এক দুর্ঘটনায় পড়েন। যার কারণে তার মুখে ৪০টি সেলাই দিতে হয়। বর্তমানে তিনি সংগীতের সঙ্গেই যুক্ত রয়েছেন। স্টেজ প্রোগ্রাম করছেন নিয়মিত। 


টেলর হিকস [Taylor Hicks]

২০০৬ সালে ২৯ বছর বয়সে আমেরিকান আইডলের খেতাব জেতেন টেলর হিকস। এর পর বেশ কয়েকটি অ্যালবাম বের করেন তিনি। ২০০৮ সালে তার গানের ক্যারিয়ারে কিছু ধস নামে। তবে গান তিনি ছাড়েননি। তার সর্বশেষ অ্যালবাম বের হয় ২০১০ সালে। এরপর খুব একটা নিয়মিত নন তিনি তবে যুক্ত রয়েছেন সংগীতের সঙ্গে। সিজন পাঁচের জয়ী এই আইডল বর্তমানে একটি রেস্টুরেন্ট মালিক। বলা যেতে পারে পুরোদমে ব্যবসায়ী।


ডেভিড কুক  [David Cook]

২০০৮ সালে আমেরিকান আইডলের খেতাব জেতেন ২৫ বছর বয়সী ডেভিড কুক। তিনি ওই সিজনে রক গান করে দারুণ জনপ্রিয়তা পান। আইডল হওয়ার পর নিজ নামেই একটি অ্যালবাম বের করেন তিনি। এরপর আরো কিছু অ্যালবাম ও একক গান রিলিজ করেন ডেভিড। যা শ্রোতারা বেশ পছন্দ করেন। ব্যবসাসফলও হয় অ্যালবামগুলো।


জর্ডিন স্পার্কস [Jordin Sparks]

জর্ডিন স্পার্কস আমেরিকান আইডল প্রতিযোগিতার সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগী। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি এ খেতাব জেতেন। ওই সময় তিনি একজন স্কুল ছাত্রী। ২০০৭ সালে তার নিজ নামেই প্রথম অ্যালবাম বের হয়। ২য় অ্যালবাম বের হয় ২০০৯ সালে। পরবর্তীসময়ে তিনি গান থেকে বিরতি নিয়ে অভিনয়ে মনোনিবেশ করেন। ‘ইন দ্য হাইটস’ মুভিতে তার অভিনয় বেশ প্রশংসিত হয়। ২০১২ সালে ‘স্পার্কলে’ সিনেমায় তিনি টুইটনি হাডসনের সঙ্গে অভিনয় করেন। ২০১৪ সালে তিনি আবারো সংগীতে ফিরে আসেন বাই ফিলিসিয়া অ্যালবামের মাধ্যমে। পরের বছর আরেকটি অ্যালবাম বের করেন তিনি ‘রাইট হিয়ার রাইট নাউ’ নামে। 


ক্রিস অ্যালেন  [Kris Allen]

আমেরিকান আইডলের সিজন এইটের বিজয়ী ২৩ বছর বয়সী ক্রিস অ্যালেন। তার শক্ত প্রতিদ্ব›দ্বী অ্যাজম ল্যাম্ববার্টকে টক্কর দিয়ে জেতাটা বেশ কষ্টসাধ্য ছিল ক্রিসের জন্য কিন্তু শেষ পর্যন্ত মুকুটটি সেরা গায়কের মাথায়ই ওঠে। সিজন জেতার পর তিনি তার প্রথম অ্যালবাম বের করেন নিজ নামেই। এরপর তিনি একে একে তার অনেকগুলো অ্যালবাম বের করেন। সংগীতপ্রেমীরা বেশ পছন্দ করে ক্রিসের গান। ২০১৬ সালের মধ্যে তিনি তার পঞ্চম স্টুডিও অ্যালবাম বের করেন। বর্তমানে গান নিয়েই বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তিনি। 

লেখা : ফাতেমা ইয়াসমিন