কোন বাড়ির মেয়ে গো তুমি !

29 May 2022, 02:34 PM কাভার স্টার শেয়ার:
কোন বাড়ির মেয়ে গো তুমি !

দীপান্বিতা মার্টিন। অভিনয়ের সঙ্গে তার সখ্য প্রায় দুই যুগের। শুরু করেছিলেন মঞ্চে, পরে টেলিভিশনে নিয়মিত অভিনয় করতে শুরু করেন। সবসময় চেষ্টা করেছেন ভালো কাজ করতে। করেছেনও। ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্র তাকে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ সম্মানও দিয়েছে। ‘গোর’ ছবিতে সাবলীল অভিনয়ের জন্য তিনি অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২০। অভিনয়ে তার দীর্ঘদিনের ক্যারিয়ার, জাতীয় পুরস্কার অর্জন ও বর্তমান সময়ের ব্যস্ততা নিয়ে কথা হয় তার সঙ্গে। লিখেছেন শেখ সেলিম...


কোন বাড়ির মেয়ে গো তুমি ! গাজী রাকায়েতের আলোচিত ছবি ‘গোর’-এর শুটিং চলছিল দোহার উপজেলার শাইনপুকুর গ্রামে। যখন সহশিল্পীর শুটিং চলছিল, শুটিংয়ের ফাঁকে উৎসুক জনতার সারিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন ছবির অন্যতম শিল্পী দীপান্বিতা মার্টিন। দীপান্বিতার গেটআপ এমন ছিল যে, স্থানীয় লোকজনেরা ভেবেছিলেন, দীপান্বিতা বোধহয় ওই গ্রামেরই মেয়ে ! যেখানে শুটিং হচ্ছিল সে এলাকার ভাষাও রপ্ত করেছিলেন তিনি। সবার সঙ্গে সেই স্বরেই কথা বলছিলেন মেধাবী এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয়ী এই অভিনেত্রী। ‘গোর’ ছবিতে তিনি গ্রামের সুবিধাবঞ্চিত একজন মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসিত হন।

তার সাবলীল অভিনয়ের গুণে জাতীয় চলচ্চিত্র জুরিবোর্ড ২০২২ তাকে সেরা অভিনেত্রী নির্বাচিত করে। অভিনয়ের সঙ্গে দীপান্বিতার সখ্য গড়ে ওঠে সেই ছেলেবেলা থেকেই। সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন মঞ্চে অভিষেক হয় তার। শহীদুল আলম সাচ্চুর নির্দেশনায় থিয়েটার সেন্টারের একটি একক পরিবেশনায় তিনি প্রথম মঞ্চে পরিবেশনা করেন। এরপর তিনি নাগরিক নাট্যাঙ্গনের ‘চাঁদবণিকের পালা’, দেশ নাটকের ‘নিত্যপুরাণ’, মহাশ্বেতা দেবীর উপন্যাস অবলম্বনে সাঁওতাল স¤প্রদায়ের গল্প নিয়ে ‘বিরসা কাব্য’-তে অভিনয় করে আলোচনায় আসেন। একাধিক নাট্যদলে কাজ করে নিজেকে ঝালিয়ে নেন এই অভিনয়শিল্পী। মঞ্চের পাশাপাশি কাজ করেন টিভিনাটক ও টেলিফিল্মে। কাজ করেছেন অনলাইন প্লাটফর্মেও। এই পর্যন্ত দুটি ওয়েবসিরিজে অভিনয় করে নিজের জাত চিনিয়েছেন তিনি।

তার দুর্দান্ত অভিনয় দেখে বড়োপর্দার নির্মতারাও তাকে নিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং একসঙ্গে একাধিক ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হন। ইতোমধ্যে তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র গাজী রাকায়েতের ‘গোর’ ছবিটি মুক্তি পায় এবং ছবিতে দুর্দান্ত অভিনয়ের ফলস্বরূপ তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এই সাফল্যে খুব খোশ মেজাজে আছেন দীপান্বিতা। পুরস্কারপ্রাপ্তি যে-কারো জন্যেই আনন্দের; ব্যতিক্রম নন দীপান্বিতাও। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কখনোই পুরস্কারের জন্যে কাজ করি না। দেশের কৃষ্টি, সংস্কৃতি তুলে ধরতেই আমার এই অঙ্গনে কাজ করা। তারপরও যেকোনো পুরস্কার প্রাপ্তিতেই একপ্রকার আনন্দ কাজ করে। কাজের প্রতি দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়। ভালো কাজের উৎসাহও বাড়ে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্তিতে আমি খুবই খুশি, পাশাপাশি সম্মানিত বোধ করছি।

শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরে থেকেও দীপান্বিতাকে সম্মানিত করা হয়েছে। ভারত থেকে পেয়েছেন টেলিসিন অ্যাওয়ার্ড। দেশের বাইরে এরকম প্রাপ্তিতে দারুণ খুশি তিনি। এ প্রসঙ্গে বলেন, দেশের বাইরে সম্মানিত হব, এটা আমার কল্পনারও বাইরে ছিল।

‘গোর’ ছবিতে দীপান্বিতা ‘হনুফা’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন। চরিত্রে হনুফা একজন দরিদ্র কৃষকের মেয়ে। হনুফার একজন সন্তান রয়েছে, ভীষণ কষ্ট ও সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে জীবন নির্বাহ করে। অভাবের সংসারে আসে এক অতিথি। হনুফা তা মেনে নিতে পারে না। জনশ্রæতি এমন যে, থাকে এই লোক যেখানে যায়, সেখানেই কারো-না-কারো মৃত্যু ঘটে। যার কারণে মেয়েটি সারাক্ষণ রেগে থাকে।

বাস্তব জীবনে এরকম সংগ্রামের মুখোমুখি হতে হয়নি দীপান্বিতার। তবে, অভিনয় করতে এসে এই অঙ্গনে অনেক সংগ্রাম করেছেন তিনি।

গল্পের মেয়েটির সঙ্গে বাস্তবের দীপান্বিতার কোনো মিল নেই বললেই চলে। তাহলে চরিত্রটিতে প্রবেশ করলেন কীভাবে ? দীপান্বিতা বলেন, ছবির চরিত্রের সঙ্গে মিল না থাকলেও ক্যারিয়ার গড়তে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে আমাকে। সেই অভিজ্ঞতা মাথায় রেখে কাজটি করেছি। আমি যেটা করেছি, শুটিং স্পটে আমি কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে যারা এরকম জীবন-যাপন করেন তাদের খুঁজে বের করে, তাদের সঙ্গে মিশে যাই। সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ আমার নির্মাতার কাছে। তিনি দীর্ঘদিন এই চরিত্রটি নিয়ে আমার সঙ্গে বসেছেন, চরিত্রের বর্ণনা করেছেন। শুটিংয়ের সময়েও সবার সহযোগিতা পেয়েছি।

একটি চরিত্র সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন, আমি ভাগ্যবান আমি সবার সহযোগিতা পেয়েছি বলেই আমি চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলতে পেরেছি। কাজেই এটা আমার একার অর্জন না। পুরো টিমের। যাদের সঙ্গে আমি মিশেছি তাদেরও অংশগ্রহণ রয়েছে বলে আমি মনে করি। চরিত্রটি নিয়ে আমাকে দীর্ঘদিন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়েছে। চরিত্রটি করতে আমি একমাস সময় পেয়েছিলাম। সারাদিন চরিত্রটির সঙ্গেই বসবাস করতাম।

যখন শুটিংয়ে যাই, যেদিন আমার শুটিং ছিল না সেদিনও আমি হনুফার গেটআপে ছিলাম এবং সাধারণ মানুষের পাশে থাকতাম। যেন চরিত্র থেকে আমি বের হয়ে না যাই।

ভিজ্যুয়াল ও মঞ্চে অভিনয়ের মধ্যে কি কোনো পার্থক্য রয়েছে ?

ভিজ্যুয়াল ও মঞ্চে অভিনয়ের মধ্যে কিছু পার্থক্য তো রয়েছেই। কিছু জায়গায় আবার বেসিক মিলও রয়েছে। চরিত্রের সঙ্গে মেশা, অবজারবেশন, চরিত্রটা কে, কেন এরকম করছে, এই যে প্রশ্নগুলো। এগুলো আগে মাথায় নিতে হয়। একটি চরিত্রকে সাতটি প্রশ্ন করতে হয়। সেটা মঞ্চ হোক বা ভিজ্যুয়ালে হোক।

যেকোনো চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে দীপান্বিতার রয়েছে অদম্য ইচ্ছে। তাই যে চরিত্রটিতেই তিনি অভিনয় করেন না কেন, দর্শকের কাছে প্রশংসনীয় হয়ে থাকে। ‘গোর’ ছবিতে তিনি এমনভাবে নিজেকে মেলে ধরেছেন নিজের আপন বোন পর্যন্ত তাকে চিনতে পারেনি। একজন ভালো অভিনয়শিল্পী হতে হলে এই গুণটি থাকা চাই। দর্শক-সারিতে বসে ছবিটি দেখেছেন দীপান্বিতা। ছবিটি দেখে পাশের দর্শকও বুঝতে পারেনি, হনুফা চরিত্রে যিনি কাজ করেছেন, তিনি তার পাশেই রয়েছেন। যখন দীপান্বিতার বড়ো বোন হনুফার চরিত্রটি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য দীপান্বিতার প্রশংসা করছিলেন, সেই মুহূর্তে একজন দর্শক বলে উঠলেন, হনুফা চরিত্রটি আপনি করেছেন, চিনতেই পারছিলাম না, অসাধারণ অভিনয় করেছেন আপনি। দর্শকের মুখে প্রশংসা শুনে প্রায় কেঁদেই ফেলেছিলেন এই অভিনেত্রী। এ প্রসঙ্গে দীপান্বিতা বলেন, একজন শিল্পীর এরচেয়ে বড়ো কিছু পাওয়ার নেই।

এর আগে যখন শুটিংয়ে আমি হনুফা গেটআপের ছবি মুঠোফোন যোগে আমার বড়ো বোনকে পাঠাই, তখন বোন আমার কাছে জানতে চায়, মেয়েটি কে, কেন এই ছবিটি পাঠিয়েছিস। এটা এই জন্য বললাম, আমার গেটআপ এমন হয়েছে, দর্শক কি করে চিনবে, আমার পরিবারের সদস্যরাই আমাকে চিনতে পারেনি।

এই দিকে এখনো ছাড়পত্র পায়নি ‘পায়ের তলায় মাটি নেই’ ছবিটি। তার আগেই ছবিটি শ্রীলঙ্কার একটি ফেস্টিভ্যালে প্রদর্শন করা হয়। বিজ্ঞ জুরিবোর্ড দীপান্বিতার দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য তাকে গোল্ডেন জুরি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে। ছবিটি পরিচালনা করেছেন ফজলে রাব্বি মৃধা।

শুরু থেকেই ভিন্নধর্মী কাজ করে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে অবদান রেখে চলছেন এই অভিনেত্রী। ‘যেতে হবে বহুদূর’, তাই গড্ডলিকায় গা না ভাসিয়ে খুব বেছে বেছে কাজ করছেন তিনি। হাতে রয়েছে বেশকিছু সিনেমা। করোনার কারণে কাজগুলো একপ্রকার বাকশোবন্ধিই ছিল, সেই বাকশো থেকে ধীরে ধীরে উন্মুক্ত হবে দীপান্বিতার শিল্পগুলো। শিল্প এজন্যই বলছি, সরকার সিনেমাকে ইতোমধ্যে শিল্প ঘোষণা করেছে। তাছাড়া দীপান্বিতা অভিনীত প্রতিটি কাজই এই দেশের সংস্কৃতিবান্ধব।

ইতোমধ্যে বেশকিছু ছবির কাজ প্রায় শেষের দিকে। খুব শিগগিরই ছবিগুলো মুক্তি পাবে। নুরুল আলম আতিকের ‘মানুষের বাগান’, সাইফল ইসলাম মান্নুর ‘পায়ের ছাপ’, নূর ইমরান মিঠুর ‘পাতাল ঘর’, অমিত আশরাফের ‘কাঁঠাল’, সেঁজুতি সুবর্ণা টুশির ‘রিপলস’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন দীপান্বিতা।

নাটকে কম দেখা যাচ্ছে কেন জানতে চাইলে দীপান্বিতা বলেন, কয়েক বছর ধরেই নাটকে কম কাজ করছি। একেকটি ছবির জন্যে অনেক সময় দিতে হয়। আমি এত মেধাবী নই, তাই একটি চরিত্র করার পর, পরবর্তী চরিত্রে কাজ করতে আমার প্রস্তুতির প্রয়োজন হয়। কারণ, একটি কাজ শেষ করে এলে মনে হয় আমার যা কিছু ছিল, সব মনে হয় ফুরিয়ে গেছে। আবার নতুন করে ওয়ার্কশপ করছি, পড়ছি। আমাকে প্রচুর চর্চা করতে হয়। সেজন্য আমাকে ব্রেক নিতে হয় ।

টেলিভিশন নাটকে যে সময়টা দেব, সে-সময়টা হয়ে উঠছে না। এখন আমার প্রধান ফোকাসই হচ্ছে সিনেমা। কারণ, সিনেমায় প্রচুর সময় পাওয়া যায়, নাটকে আবার সে-সময়টা পাওয়া যায় না। নাটকে একদিনে ১২-১৫টি সিকোয়েন্স করতে হয়, একটি সিকোয়েন্সের পর মাত্র ৫ মিনিট সময় পাওয়া যায়, এই অল্প সময়ে কাজ করাটা আমার জন্য অনেক কঠিন।

ওটিটি প্লাটফর্ম সম্পর্কে বলেন, এখনো পর্যন্ত আমি কয়েকটা ওয়েব সিরিজে কাজ করেছি। এখানে কাজের অভিজ্ঞতা ভালো। এখানে সিনেমার মতো করেই কাজ করা হয়। খুব যতœ নিয়ে কাজ করা হয়। বাজেট, কস্টিউম, রিহার্সেল সবই হয় ওয়েব সিরিজে। অভিনয়টা করি তৃপ্তির জন্য, পরিচিতি পাওয়ার জন্য কখনোই কাজ করি না।

অভিনয়শিল্পীরা অনেকেই অভিনয়ের পাশাপাশি মডেলিং করে থাকেন। আপনাকে সেভাবে দেখা যায় না কেন ? দীপান্বিতা বলেন, আমার মূল উদ্দেশ্য কখনো বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হওয়া নয়। বিজ্ঞাপনচিত্র করব না সেটা কিন্তু নয়, যেসব বিজ্ঞাপনচিত্রে অভিনয় করার জায়গা থাকবে, সে-রকম বিজ্ঞাপনচিত্র এলে অবশ্যই করব।

সবারই একটা স্বপ্ন থাকে, ব্যতিক্রম নয় দীপান্বিতাও, তবে তার স্বপ্নটা একটু ভিন্ন আঙ্গিকের। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার স্বপ্ন দেশের জন্য একটা কিছু করা। দেশ থেকে আমি কী পেলাম, সেটা আমি কখনোই ভাবি না ; আমি ভাবি, দেশকে আমি কতটুকু দিতে পারলাম। আমি স্বপ্ন দেখি দেশের ফিল্ম একদিন আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতা করবে। এই বঙ্গে একসময় সুন্দর সংস্কৃতির চর্চা ছিল, এখনো আছে ; যেমন জহির রায়হান, ঋত্বিক ঘটক- এই ধরনের চলচ্চিত্র কিন্তু আমাদের দেশে হয়েছে। এখনো ভারতে গেলে তাঁদের কথা জিজ্ঞেস করে। সর্বোপরি ভালো ভালো চরিত্রে অভিনয় করতে চাই ।

আমরা কিন্তু একটা গেøাবালাইজেশনের মধ্যে বাস করি। করোনা সব দেশে হানা দিয়েছে। এখান থেকে আমি সুন্দর একটি শিক্ষা পেয়েছি। আমি যদি আন্তর্জাতিকমানের কাজ করতে চাই, আমাকে আগে আন্তর্জাতিকমানের কাজগুলো দেখতে হবে। আমার ধ্যান, ধারণা, মনন সেটাকে আরো বড়ো পরিসরে চিন্তা করতে হবে। শুধু বড়ো বাজেট হলেই একটা ভালো সিনেমা হয় না। ভালো সিনেমার জন্য প্রয়োজন সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা।

আমি যেদিন ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর একটা কথা আমার খুব ভালো লেগেছে, তিনি বলেছিলেন, যারা শিল্পমনস্ক আমাদের ঘরের দরজা সবসময় তাদের জন্য খোলা ছিল, তাদের আমার মা অ্যাপায়ন করতেন। শিল্প সংস্কৃতির প্রতি তার সে মন ও ভালোবাসা রয়েছে। আমি খুব আশাবাদী আমরা যদি এখানে আরো মেধা দিই আমাদের চলচ্চিত্র অনেক দূর এগিয়ে যাবে। ইতোমধ্যেই অনেক মেধাবীর আগমন ঘটছে। সঠিক সহযোগিতা পেলে অবশ্যই আমরা ভালো করব।