১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ঢাকায় আসেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। ওইদিন মধ্যরাতে জলের গান-এর রাহুল আনন্দের ধানমন্ডির বাসার নিজস্ব স্টুডিওতে যান ম্যাক্রোঁ। এ সময় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। সেখানে প্রায় দেড় ঘণ্টা অবস্থান করেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
রাহুল ফরাসি প্রেসিডেন্টকে প্রথমে ফকির লালন সাঁইয়ের ‘আর কি বসবো এমন সাধুর সাদবাজারে/না জানি কোন সময় কোন দশা ঘটে আমারে’ গেয়ে শোনান। এরপর তিনি গেয়ে শোনান প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি। এ সময় ফরাসি প্রেসিডেন্টকে একটি একতারা উপহার দেন সংগীতশিল্পী, গীতিকার ও বাদ্যযন্ত্র বাদক রাহুল আনন্দ। তিনি জানান, শিল্পী ও শিল্পের প্রতি আগ্রহ থেকেই তার স্টুডিওতে এসেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিজে একজন শিল্পী, তিনি গিটারও বাজান। তিনি নিজে গিটার এবং বাঁশি বাজিয়ে সবাইকে অবাক করে দেন। রাহুল আরো জানান, বাংলাদেশের ঐতিহ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি তার সামনে। বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্রান্সের সাংস্কৃতিক বিনিময় নিয়ে আলাপ হয়েছে।
একতারাটি ম্যাক্রোঁকে দিয়ে রাহুল বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষের নিজস্ব এই বাদ্যযন্ত্র [একতারা] তৈরি করেছিলেন। এটা আপনাকে বাংলাদেশের কথা মনে করিয়ে দেবে।
এ সময় ফরাসি প্রেসিডেন্ট বলেন, এটা আমাকে [বাংলাদেশের কথা] স্মরণ করিয়ে দেবে। বিদায়ের আগে ম্যাক্রোঁ রাহুল আনন্দকে একটি কলম উপহার দেন।
১০ আগস্ট রবিবার রাত সোয়া ৮ টার দিকে ম্যাক্রোঁকে বহনকারী বিমান হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিমানবন্দরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে লালগালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে তাকে রাষ্ট্রীয় সংবর্ধনা দেওয়া হয়।