করলার পুষ্টিগুণ

17 May 2023, 12:52 PM অন্যান্য শেয়ার:
করলার পুষ্টিগুণ

বেশি তেতোর কারণে অনেকেই করলা খেতে চান না। অনেকেই জানেন না এই তেতো সবজিটির মধ্যে কতটা স্বাস্থ্যগুণ রয়েছে। করলার স্বাদ তেতো হলেও এটি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি সবজি। করলার রস মানবশরীরের জন্য অনেক উপকারী। এর স্বাদ ভালো না হলেও গুণ বিচারে করলাকে গুরুত্ব না দিয়ে উপায় নেই। করলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, বি ও সি-সহ বিভিন্ন খনিজ উপাদান রয়েছে। এছাড়া সবজিটি বিটা-ক্যারোটিন, আয়রন, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ম্যাগনেসিয়ামে ভরপুর। গবেষণায় দেখা গেছে বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রকোপ কমাতে করলার জুড়ি মেলা ভার। করলার উপকারী গুণের শেষ নেই।

পুষ্টিগুণের বিবেচনায় দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধে করলায় রয়েছে অসাধারণ কিছু পুষ্টি গুণাগুণ। প্রতি ১০০ গ্রাম করলায় রয়েছে খাদ্যশক্তি ১৭ কিলোক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেটস ৩.৭০ গ্রাম, প্রোটিন ১ গ্রাম, ফাইবার ২.৮০ গ্রাম, ফোলেট ৭২ মাইক্রো গ্রাম, নিয়াসিন ০.৪০০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ৪৭১ আইইউ, ভিটামিন সি ৮৪ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৫ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ২৯৬ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ১৯ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৭ মিলিগ্রাম। করলা তেতো হলেও অনেকের কাছে প্রিয় একটি সবজি। ভর্তা, ভাজি আর তরকারি বিভিন্নভাবেই খাওয়া যায়। চলুন জানা যাক করলার কিছু পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ...


ষ বøাড সুগার নিয়ন্ত্রণ এই সবজিতে রয়েছে কয়ারেটিন নামে একটি উপকারী উপাদান, যা রক্তের সুগারের মাত্রা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ফলে রক্তে উপস্থিত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই চিকিৎসকগণ ডায়াবেটিস রোগীদের বøাড সুগার নিয়ন্ত্রণে এই ঘরোয়া চিকিৎসাটির সাহায্য নিতে পরামর্শ দেন। যারা প্রতিদিন সকালে খালি পেটে করলার রস খান তারা অনেক উপকার পেতে পারেন।

সুস্থভাবে বেঁচে থাকতে রক্ত পরিশুদ্ধ থাকা জরুরি। আর এজন্য প্রয়োজন বিশেষ যতেœর। আর এই কাজটি করতে আপনি প্রতিদিন করলার রস খেতে শুরু করতে পারেন। কারণ এই পানীয়টিতে ‘বøাড পিউরিফাইং এজেন্ট’ উপস্থিত থাকে যা রক্ত পরিশুদ্ধ রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

 পেটের বিভিন্ন রোগের প্রকোপ কমাতে করলা বেশ উপকারী। করলায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ থাকে যা কনস্টিপেশনের মতো রোগের প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি নানাবিধ স্টমাক ডিজঅর্ডারের চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সবজিটির ফাইবার শরীরে প্রবেশ করা মাত্র গ্যাস্ট্রিক জুসের ক্ষরণ বেড়ে যায়, ফলে একাধিক পেটের রোগের লক্ষণ কমতে সাহায্য করে।

 যাদের পাইলসের সমস্যা রয়েছে তারা নিয়ম করে প্রত্যেকদিন সকালে করলার রস খেতে পারেন। করলার রস আপনাকে খুব অল্পদিনের মধ্যেই পাইলসের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেবে। এছাড়া করলা গাছের মূল বেটে পেস্ট করে পাইলসের উপর লাগালেও অনেক উপকার পাওয়া যায়।

 প্রতিদিন সকালবেলায় করলার রস খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ বা ইনফেকশনে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে যায়। এতে যারা নিয়মিত করলার রস পান করেন তারা বিভিন্ন প্রকার অসুখের হাত থেকেও রক্ষা পান।

 দৃষ্টিশক্তি প্রখর করতে করলার রসে থাকে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন, যা দৃষ্টিশক্তি প্রখর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তাই যদি আপনার মূল্যবান চোখ ভালো রাখতে চান তাহলে নিয়মিত করলা খাওয়ার পাশাপাশি করলার রস খান।

 করলায় ক্যান্সার প্রতিরোধী কিছু উপাদান রয়েছে যা শরীরের সেলের বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। ফলে এই মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশে কমে যায়। এছাড়া উচ্চ রক্তচাপ এবং অ্যানিমিয়া রোগের চিকিৎসাতেও এই সবজিটি অনেক সাহায্য করে।

তথ্য সূত্র : ইন্টারনেট