ডায়াবেটিস রোগ ও আমাদের করণীয়

13 Nov 2022, 01:00 PM স্বাস্থ্যভুবন শেয়ার:
ডায়াবেটিস রোগ ও আমাদের করণীয়

সূচনা : ডায়াবেটিস একটি দীর্ঘমেয়াদি এবং ব্যয়বহুল রোগ। এটি মানবদেহে মারাত্মক জটিলতার সৃষ্টি করতে পারে। ডায়াবেটিস রোগ স্টোক থেকে শুরু করে কানে কম শোনা, চোখে কম দেখা, কিডনি সমস্যা, দাঁতের সমস্যা, হার্টের বøক, ব্যথা, পেটের ব্যথা, পুরুষাঙ্গে রক্ত চলাচল কমে যাওয়ায় দুর্বল হয়ে যাওয়া, স্নায়ু দুর্বল হয়ে যাওয়া, হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া, পায়ে ঘা হয়ে পচন ধরে যাওয়া, যা মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তোলে।

বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বাংলাদেশে প্রায় ৮% [১ কোটি ২০ লাখ] লোক ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। যার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। আমাদের পাশের দেশ ভারতে এই হার প্রায় ১২%, যদিও গ্রামের দিকে কিছুটা কম।

ডায়াবেটিস একটি হরমোনজনিত রোগ। প্রত্যেক প্রাণীর অগ্নাশয় থেকে ইন্সুলিন তৈরি হয়। এই ইন্সুলিন মানুষের শরীরের কোষের ভেতর গøুকোজ ঢুকিয়ে দিতে সাহায্য করে। এই ইন্সুলিনের অভাবে ডায়াবেটিস রোগ হয়। এই রোগ যেকোনো বয়সে হতে পারে। তবে, সাধারণত বয়স বাড়লে এই রোগ বেশি হয়। মোটা মানুষের ডায়াবেটিস বেশি হয়। যাদের ডায়াবেটিস আছে তাদের মিষ্টি নিয়ন্ত্রণ করে খেতে হবে।

ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধের উপায়

রোগ হওয়ার পর চিকিৎসা নেওয়ার চেয়ে রোগ প্রতিরোধ করাই উত্তম। নিয়মকানুন মেনে চলে উচ্চরক্তচাপ, ক্যান্সারের মতো আমরা ডায়াবেটিসও প্রতিরোধ করতে পারি। বাংলাদেশে ৩% লোক ডায়াবেটিসের কারণে বিভিন্ন জটিলতায় মারা যায়। ডায়াবেটিসের কারণে কিডনি সমস্যা, হার্টের সমস্যা শুরু হয়ে গেলে এর চিকিৎসা করা অনেক ব্যয়বহুল। ডায়াবেটিসের জটিলতা শুরু হয়ে গেলে রোগীর জন্য যেমন কষ্টের তেমনই পরিবারের জন্যও কষ্টের। তাই আমাদের সবার উচিত এই রোগ প্রতিরোধ করা। ডায়াবেটিস প্রতিরোধের ১০টি উপায় জেনে নিন :

 কায়িক পরিশ্রম করুন [হাঁটলে ঘাম ঝরিয়ে হাঁটুন]

 সঠিক ওজন বজায় রাখুন

 খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনুন। অধিক তৈলাক্ত খাবার, অধিক লবণ, ফরমালিন ক্যামিকাল মেশানো খাদ্য পরিহার করুন। এতে ডায়াবেটিসের সঙ্গে ক্যান্সার থেকেও পরিত্রাণ পাবেন

 ধূমপান পরিহার করুন

 অ্যালকোহল পরিহার করুন

 প্রচুর সবজি খাবেন

 সকালের নাশতা নিয়মিত করতে হবে

 কালোজিরা, লেবু, ফ্রেশ মধু এবং চা খেতে পারেন। এতে প্রচুর এন্টি-অক্সিডেন্ট আছে। যা শরীরের খারাপ কোষ ধ্বংস করতে সাহায্য করে

 নিয়মিত শরীরচর্চা করুন এবং সকালে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন

 হাসিখুশি থাকুন এবং পরিচ্ছন্ন-সুন্দর জীবন-যাপন করুন

ডায়াবেটিস সনাক্তের পরীক্ষা

ডায়াবেটিস শনাক্ত করার জন্য সবচেয়ে সঠিক ও বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হলো ওরাল গøুকোজ টলারেন্স টেস্ট বা ওজিটিটি। এই পদ্ধতিতে রোগীকে সকালে খালি পেটে একবার রক্তে গøুকোজ পরীক্ষা করতে হয়, তারপর ৭৫ গ্রাম গøুকোজ শরবত পানের দুই ঘণ্টা পর আরেকবার রক্তে গøুকোজ পরীক্ষা করা হয়। এই পদ্ধতিতে নির্ভুলভাবে ডায়াবেটিস ও প্রি-ডায়াবেটিস নির্ণয় করা যায়। এই পরীক্ষা করতে অনেকে প্রায়ই ঝামেলার মধ্যে পড়েন। পরীক্ষা করতে কমপক্ষে আট ঘণ্টা না খেয়ে সকালে রক্তের নমুনা দিতে হয়। তারপর আবার দুই ঘণ্টা পর খেয়ে রক্ত দিতে হয়। মানে দুইবার রক্ত দিতে হয় এবং মাঝে দুই ঘণ্টা সময় বিশ্রামের জন্য ল্যাবে বসে থাকতে হয়। তাছাড়া গøুকোজ মেশানো মিষ্টিজাতীয় শরবত অনেকেই পান করতে চান না। তাই বিজ্ঞানীরা আরো সহজ কোনো পদ্ধতি খুঁজছিলেন। তাছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ডায়াবেটিস শনাক্তকরণের জন্য এইচবিএ১সি নামের পরীক্ষা করা হয়। এটি রক্তে শর্করার কয়েক মাসের গড় নির্দেশ করে। এই পরীক্ষা দিনের যেকোনো সময় করা যায় এবং রক্তের নমুনা একবারই দিতে হয়।

আমেরিকান ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের গাইডলাইন অনুযায়ী এইচবিএ১সির মান ৫.৭-এর নিচে থাকলে তাকে স্বাভাবিক ধরা যায়। এটি ৬.৫-এর বেশি হলে ডায়াবেটিস আছে বলে ধরা হবে। এই মান ৫.৭ থেকে ৬.৫-এর মধ্যে থাকলে প্রি-ডায়াবেটিস বা ডায়াবেটিসের পূর্বাবস্থা হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

তবে এইচবিএ১সি পরীক্ষা ভালো মানের ল্যাবরেটরিতে নির্দেশিত পদ্ধতিতে করতে হবে। কারো বংশগত রক্তরোগ থাকলে বা রক্ত ভেঙে যাওয়ার সমস্যা থাকলে এই পরীক্ষা সঠিক ফল নাও দিতে পারে। গর্ভকালীন ডায়াবেটিস নির্ণয়ে এই পরীক্ষার ব্যবহার করা হয় না। ৪০ বছর বয়সের পর ওজনাধিক্য, ডায়াবেটিসের পারিবারিক ইতিহাস ও অন্যান্য ঝুঁকি থাকলে নিয়মিত ডায়াবেটিস স্ক্রিনিং করা উচিত।


ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা

বর্তমানে ডায়াবেটিস বেশ প্রচলিত একটি রোগ। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, নিয়মানুবর্তী জীবন এবং ওষুধের মাধ্যমে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের জন্য শুধু ক্যালোরি, শর্করার ধরন, আমিষ, সবজি আর তেল-চর্বির দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

ডায়াবেটিস রোগীর জন্য শর্করাজাতীয় খাবার ক্ষতিকর। কারণ, এটি রক্তের গøুকোজের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়, তাই খাবারে শর্করাজাতীয় খাবার কমাতে হবে। কিছু শর্করাজাতীয় খাবার রক্তের গøুকোজের মাত্রা তাড়াতাড়ি বাড়ায়। যেমন- চিনি, মিষ্টি, ঢেকিছাঁটা চালের ভাত, ময়দার রুটি, সেগুলো কম খেতে হবে। লাল চালের ভাত [ব্রানসহ], গমের আটার রুটি [ব্রানসহ], সবজি, বাদাম, বুট এবং কলাইজাতীয় খাদ্য রক্তের গøুকোজের মাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ায় তাই এই খাবারগুলো বেশি খেতে হবে। তবে ক্যালোরির হিসাব রাখতে হবে অবশ্যই। ডায়াবেটিস রোগীর জন্য মোট ক্যালোরির ২০% আসবে আমিষ থেকে, ৩০% আসবে ফ্যাট থেকে এবং ৫০% আসবে শর্করা থেকে।

এখানে একজন ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ১৬০০ কিলোক্যালোরির চাহিদার একটি খাবারের তালিকা দেওয়া হলো। আসুন মনোযোগ দিয়ে একটু দেখে নিই ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্য তালিকা-

সকালের নাস্তা [সকাল ৭.৩০-৮টা] : রুটি [১ সারভিং] গমের আটার একটি রুটি [মিডিয়াম], দুধ [১ সারভিং], ১ গ্রাস ফ্যাট ছাড়া দুধ, ডিম [১ সারভিং], মুরগি অথবা হাঁসের একটি ডিম [সিদ্ধ অথবা ভাজি], শাকসবজি [১ সারভিং], ১ কাপ পাতাযুক্ত শাক বা আধা কাপ সবজি।

দুপুরের খাবার [দুপুর ১.৩০-২টা] : ভাত [৩ সারভিং], দেড় কাপ ভাত, মাছ অথবা মাংস [২ সারভিং], ৬০ গ্রাম পরিমাণ রান্না করা মাছ বা মাংস [ফ্যাট ছাড়া], শাকসবজি [৪ সারভিং], ১ কাপ পাতাযুক্ত শাক থাকবে অবশ্যই, বাকি দেড় কাপ অন্যান্য সবজি, ডাল [১ সারভিং], ১ কাপ মাঝারি ঘন ডাল।

বিকেলের নাস্তা [বিকেল ৫.৩০-৬টা] : সিজনাল ফল [১ সারভিং], পছন্দমতো ১ সারভিং সিজনাল ফল, বাদাম, বুট এবং কলাইজাতীয় খাদ্য [১ সারভিং], সিকিকাপ বাদাম বা বুট অথবা কলাইজাতীয় খাদ্য।

রাতের খাবার [রাত ৯টা-৯.৩০] : রুটি অথবা ভাত [১ সারভিং], আধা কাপ ভাত অথবা ১টা আটার রুটি, মাছ অথবা মাংস [২ সারভিং], ৬০ গ্রাম পরিমাণ রান্না করা মাছ বা মাংস [ফ্যাট ছাড়া], শাকসবজি [২ সারভিং], ১ কাপ পাতাযুক্ত শাক থাকবে অবশ্যই, বাকি আধা কাপ অন্যান্য সবজি, সিজনাল ফল [১ সারভিং]। হ

ফুলকপির পুষ্টিগুণ

ফুলকপির বৈজ্ঞানিক নাম ব্রাসিকা অলিরাসিয়া [ইৎধংংরপধ ড়ষবৎধপবধ]। এটি ব্রাসিকেসি পরিবারভুক্ত ব্রাসিকা অলেরাসিয়া প্রজাতির সবজিগুলোর একটি। এই গোত্রের মধ্যে বাঁধাকপি, ব্রকলি ইত্যাদিও পড়ে। এটি একটি বার্ষিক এবং শীতকালীন অত্যন্ত সুস্বাদু সবজি, যা বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করে। সাধারণত ফুলকপির ফুল অর্থাৎ সাদা অংশটুকুই খাওয়া হয়। সাদা অংশের চারপাশে ঘিরে থাকা ডাঁটা এবং সবুজ পাতা দিয়ে অনেকেই স্যুপ রান্না করে খান আবার কেউ ফেলে দেন। ফুলকপি অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি সবজি। এটি রান্না করে বা কাঁচা যেকোনোভাবেই খাওয়া যায়। আবার এটি দিয়ে অনেকেই বড়া বা আচার বানিয়েও খান। সবুজ পাতা দিয়ে ঘিরে থাকা সাদা অংশটুকু ফুলের মতো দেখায় বলে এর নাম ফুলকপি। জানা যায়, ১৮২২ খ্রিষ্টাব্দের দিকে ব্রিটিশরা ভারতে ফুলকপি নিয়ে আসে।

ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’, ‘কে’, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক। একটি মাঝারি আকারের ফুলকপিতে রয়েছে শক্তি : ২৫ কিলোক্যালোরি, কার্বোহাইড্রেট : ৪.৯৭ গ্রাম, প্রোটিন : ১.৯২ গ্রাম, ফ্যাট : ০.২৮, আঁশ : ২ গ্রাম, ফোলেট : ০.৫৭ মাইক্রোগ্রাম, নিয়াসিন : ০.৫০ মাইক্রোগ্রাম, থায়ামিন : ০.০৫, প্যানথানিক অ্যাসিড : ০.৬৬৭ মাইকোগ্রাম। ফুলকপি পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ সবজি। এর পাতার উপরিভাগে ক্যান্সার নিরোধক উপাদান পেয়েছে বলে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন। বাল্টিমোর জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের গবেষকেরা ফুলকপির পাতায় আইসো থায়োসায়ানেটস নামক রাসায়নিক পদার্থ পেয়েছেন। বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, মলাশয় ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেক কমাতে হলে সপ্তাহে প্রায় দুই পাউন্ড ফুলকপি এবং এজাতীয় শাকসবজি খেতে হবে। বিজ্ঞানীরা আরো জানিয়েছেন, ফুলকপির কচি পাতা সপ্তাহে এক আউন্সের কিছু বেশি খেলে তার দেহে ক্যান্সারের ঝুঁকি অর্ধেক কমতে পারে।

ফুলকপি সাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারি একটি সবজি। ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন রকমের উপকারী পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এতে রফালিক এসিড, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে, কোলিন ছাড়াও অন্যান্য উপাদান রয়েছে। তবে, ক্যালোরির পরিমাণ খুব বেশি নেই। তাই এটি স্বাস্থ্যসম্মত এবং পুষ্টিকর। ফুলকপিতে বিদ্যমান ‘সালফোরাফোন’ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ক্যান্সারের স্টেমসেলগুলোকে ধ্বংস করার মাধ্যমে টিউমারের গ্রোথকে বাধাগ্রস্ত করে। এছাড়া, ফুলকপিতে থাকা ‘ইনডোল’ প্রস্ট্রেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করে এবং আইসোথায়াসিনেট ব্রেস্ট, কোলন, ইউটেরাস এবং লিভার ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।

ফুলকপিতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে এবং কার্ডিয়াক কমপ্লিকেশনস প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে যা কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেটের নানা সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ওজন কমাতে সঠিক পরিমাণে ফাইবারের চাহিদা পূরণের জন্য খাদ্যতালিকায় এই সবজিটি রাখা যেতে পারে।

এছাড়া নানা কারণে বিভিন্ন সময় শরীরে বিভিন্ন রকম প্রদাহ, যন্ত্রণা বা ব্যথার সমস্যা দূর করতেও নিয়মিত খাদ্যতালিকায় এই সবজিটি রাখা যেতে পারে।

ফুলকপিতে যে ‘ফাইটোকেমিক্যালস’ রয়েছে তা, টক্সিক উপাদানসমূহকে ভেঙে কিডনি ড্যামেজ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, গলবøাডারের সুরক্ষার জন্য এই ‘ফাইটোকেমিক্যালস’ বেশ কার্যকর। ফুলকপিতে বি ভিটামিন-কোলিন রয়েছে যা মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। সুতরাং, গর্ভবতী মা এবং যারা আলঝেইমার রোগে ভুগছেন তাদের জন্য এটি খুব উপকারী। এছাড়া, গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল হেলথের জন্য এই উপাদানটি ভীষণ উপকারী।

ফুলকপিতে থাকা এন্টি অক্সিডেন্ট ‘গøুটাথায়োন’ দেহের ইনফেকশনের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। ফলে, আমাদের দেহের ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী হয় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। যারা, স্কিন ভালো রাখতে চান তারাও নিয়মিত ফুলকপি খেতে পারেন।

তবে, চিকিৎসক যদি ফুলকপি খেতে নিষেধ করেন তবে তার ফুলকপি না খাওয়াই উত্তম। 

তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট