নিউমোনিয়ার কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার

19 Sep 2022, 12:50 PM স্বাস্থ্যভুবন শেয়ার:
নিউমোনিয়ার কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার

নিউমোনিয়া হলো ফুসফুসে প্রদাহ। এই রোগ বাতাসের মাধ্যমে ছড়ায়। শিশু ও প্রবীণদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় তারা এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। নিউমোনিয়ার লক্ষণ, প্রতিরোধ ও প্রতিকারের বিষয়ে বিষেশজ্ঞরা বলেন, নিউমোনিয়ার প্রধান দুটো লক্ষণ হলো জ্বর ও কাশি। এ সময় রোগীর শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। প্রবীণরা অনেক সময় অজ্ঞান হয়ে যায়। এছাড়া নিউমোনিয়া হলে শ্বাসকষ্ট থেকে আরো জটিলতা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। রেসপিরেটরি ফেইলিউর হতে পারে, ফুসফুসে পানি জমতে পারে। সময়মতো চিকিৎসা না হলে রোগীর মৃত্যুর আশঙ্কা বাড়ে।


প্রতিকার

নিউমোনিয়া সন্দেহ হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেতে হবে, নিউমোনিয়ার চিকিৎসা হয় মূলত অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে। এজন্য আক্রান্ত রোগীর কাছ থেকে অন্যদের ছড়ানোর আশঙ্কা থাকে। তাই এদের ক্ষেত্রেও বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।


প্রতিরোধ

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যাদের কম, তাদেরই নিউমোনিয়া বেশি হয়। সেজন্য যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, তাদের বেলায় সাবধান থাকতে হবে। প্রতিরোধমূলক ভ্যাকসিন পাওয়া যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে এগুলো দিতে পারে। আর শীতের সময় খুব সাবধানে থাকতে হবে। কারণ, ঠান্ডা লেগে নিউমোনিয়া হতে পারে।

যেসব রোগী দীর্ঘদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকে, তারা অন্য রোগী ও সরঞ্জাম থেকে সংক্রমিত হয়ে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। এ ধরনের নিউমোনিয়াকে অ্যাকোয়ার্ড নিউমোনিয়া বলা হয়। এসব ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

নিউমোনিয়া শ্বাসতন্ত্রের এমন একটি রোগ যার দ্বারা শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়। যেহেতু নিউমোনিয়া জীবনের জন্য হুমকিস্বরূপ তাই দ্রæত শনাক্ত করতে পারলেই এর চিকিৎসায় সফল হওয়া যায়। ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস, ছত্রাক বা পরজীবীর আক্রমণে নিউমোনিয়া হয়ে থাকে। নিউমোনিয়াকে প্রায়ই ঠান্ডা বা ফ্লু হিসেবে ভুল করা হয়। তাই নিউমোনিয়ার কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিন।

কাশি

ঘন ঘন কাশি হলে তা নিউমোনিয়ার লক্ষণ প্রকাশ করে। ব্যাকটেরিয়া গঠিত নিউমোনিয়া হলে সবুজ বা হলুদ শ্লেষ্মা বা কফ তৈরি করে। প্যাথোজেন যদি ফুসফুসের টিস্যুকে আক্রমণ করে তাহলে কফের বর্ণ মরিচার মতো বা এতে রক্তের ফোঁটা দেখা যেতে পারে। প্রধানত লিগিউনেলা নিউমোনিয়ার সংক্রমণে মিউকাসের সঙ্গে রক্ত আসতে পারে।


জ্বর

শিশুদের নিউমোনিয়া হলে ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের উপরে জ্বর থাকে। উচ্চমাত্রার জ্বরের সঙ্গে শরীর ঠান্ডা হয়ে যাওয়া ও কাঁপার লক্ষণ ও দেখা যেতে পারে। পূর্ণ বয়স্কদের ক্ষেত্রে হালকা জ্বর থাকে।


শ্বাসকষ্ট

নিউমোনিয়া একটি প্রদাহজনিত রোগ। প্রাথমিক পর্যায়ে ফুসফুসের বায়ুথলি বা অ্যালভিওলাইগুলোকেই আক্রমণ করে জীবাণু। ফুসফুসে জীবাণুর পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে নাক ও গলার বায়ু চলাচলের পথে হানা দেয়। এর জন্য শ্বাস কষ্ট শুরু হয়। শারীরিক শ্রম বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্বাসকষ্টও বৃদ্ধি পায়।

বুকে ব্যথা

প্রদাহ বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাশিও বৃদ্ধি পেতে থাকে। এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির বুকে একধরনের খোঁচা বা ভোঁতা ব্যথা অনুভব করেন। বুকে ব্যথা এমন পর্যায়ে যেতে পারে যে আক্রান্ত ব্যক্তি কাশি দিতে বা শ্বাস নিতেও কষ্ট অনুভব করে।


বিভ্রান্তি

শ্বাসকষ্টের ফলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে বিভ্রান্তি বা চিন্তার অস্পষ্টতা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে বয়স্কদের মধ্যে এ ধরনের লক্ষণ দেখা যায়।


ঘাম

ব্যাকটেরিয়াজনিত নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার জ্বর ও কাঁপুনির সঙ্গে প্রচুর ঘাম নির্গত হতে দেখা যায়।


ঠোঁট ও নখের রং পরিবর্তন

শ্বাসকষ্টের জন্য শরীরের কোষগুলোতেও অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়। এর ফলে নখ ও ঠোঁটের রং বদলে যেতে দেখা যায়। নখের গোড়ায় সাদা হয় এবং ঠোঁট ফ্যাকাসে বা নীলচে রং ধারণ করে। মারাত্মক নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে ঠোঁট, নখ এবং আঙুলগুলো নীল হয়ে যায়, একে সায়ানোসিস বলে।

এনার্জি কমে যায় ও অবসন্ন বোধ করে

অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়ার ফলে ক্লান্তি, পেশির ব্যথা, মাথা ব্যথা, সার্বিক দুর্বলতা এবং এনার্জি লেভেল কমে যাওয়ার মতো সমস্যাগুলো তৈরি হয়।

যদি আপনার কাশির সঙ্গে সঙ্গে উপরের লক্ষণগুলোও দেখা যায়, তাহলে আপনি হয়ত নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন ধরে নিতে হবে। এমতাবস্থায় দ্রæত ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করে চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। না হলে ফুসফুসের সংক্রমণ তীব্র আকার ধারণ করতে পারে এবং মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আপনার ইমিউন সিস্টেম যদি দুর্বল হয় অথবা যদি একবার এই সংক্রমণ হয়ে থাকে তাহলে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। 


সংগীত, অভিনয়ে সমান দক্ষ যারা বলিউডে


বলিউড মানেই প্রতিভার ছড়াছড়ি। বলিউডে এমন অনেক সংগীতশিল্পী আছেন, যারা নিজেদের কণ্ঠের জাদুতে মাতিয়ে রেখেছেন বলিউডকে। কিন্তু গানেই শুধু তারা থেমে থাকেননি, নাম লিখিয়েছেন অভিনয়েও। অসাধারণ অভিনয় দক্ষতা দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, কতটা প্রতিভার অধিকারী তারা। এমনই কয়েকজন তারকাকে নিয়ে এবারের নিকটদেশ...


কিশোর কুমার

গায়ক-নায়ক নিয়ে কথা বললে যার কথা সবার আগে বলতে হবে তিনি হলেন বলিউডের কিংবদন্তি কিশোর কুমার। তাকে বলা হয় ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বকালের সেরা অভিনেতা-গায়ক। তার মনোমুগ্ধকর গানগুলো আজও ভারতীয় তথা তামাম দুনিয়ার গানপ্রেমীদের কাছে দারুণ জনপ্রিয়। আর তার অভিনয়ের কথা নতুুন করে বলার কিছু নেই। কলকাতার সিনেমাতেও তিনি অনেক গান গেয়েছেন। অভিনয়ও করেছেন।



সোনু নিগম

বলিউডের অন্যতম গায়ক সোনু নিগম। অনেক সুপারডুপার হিট গানের গায়ক তিনি। নায়কোচিত চেহারার জন্য সবসময় প্রশংসিত তিনি। তবে, তিনি শুধু দারুণ গানই করেন না, সঙ্গে অভিনয়ও বেশ ভালোই পারেন। নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছিলেন ২০০২ খ্রিষ্টাব্দে রিলিজ হওয়া ‘জানি দুশমন : এক অনৌখি কাহানি’ ছবিতে। এরপরে ‘কাশ আপ হামারে হোতে’, ‘লাভ ইন নেপাল’ ছবিতেও দেখা গিয়েছিল তাকে।



আলী জাফর

কিছুদিন আগে হঠাৎই বলিউডে বিদেশি অনেক সংগীতশিল্পী, অভিনেতা ও অভিনেত্রীর সমাগম ঘটে। বেশ জনপ্রিয় ও সাফল্যও পান তারা। পাকিস্তানের অনেক তারকাই বলিউডে অনেক আগে থেকেই কাজ করেন। আলী জাফর পাকিস্তানের বেশ জনপ্রিয় একজন গায়ক। বিলিউডে তার গান দিয়েই প্রথমে পরিচিতি পান তিনি। তবে, গায়ক হওয়ার পাশাপাশি অভিনয়েও তার দারুণ দক্ষতা রয়েছে। ‘তেরে বিন লাদেন’, ‘মেরে ব্রাদার কি দুলহান’, ‘লন্ডন’, ‘প্যারিস’, ‘নিউ ইয়র্ক’ এই সমস্ত বলিউড সিনেমাতে অভিনয় করতে দেখা গেছে তাকে। অভিনয়ে বেশ সফল তিনি।


আয়ুষ্মান খুরানা

একজন অসাধারণ অভিনেতা হিসেবেই বলিউডে দারুণ জনপ্রিয় আয়ুষ্মান। অনেকেই তাকে আদ্যোপান্ত একজন অভিনেতা হিসেবেই জানেন। তবে, বলতে গেলে তিনি তার অভিষেক সিনেমা ভিকি ডোনার-এ ‘পানি দ্য রং’ গানটি গেয়ে দারুণ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন গানটির জন্য। ভিন্নধর্মী সিনেমায় অভিনয় করে বেশ জনপ্রিয় নায়ক তিনি বর্তমানে। তবে, তার গানও বেশ জনপ্রিয় শ্রোতাদের কাছে। নিজের সিনেমাগুলোতে নিয়মিতই গান করেন তিনি।


শ্রæতি হাসান

অভিনেতা কমল হাসান বলিউডের নামকরা অভিনেতা। যদিও তিনি দক্ষিণের নায়ক কিন্তু অভিনয়ে সফলতা পেয়েছেন বলিউডে। অসম্ভব মেধাবী এই অভিনেতার সন্তান মেধাবী হবে এটাই স্বাভাবিক। বর্তমানের জনপ্রিয় নায়িকা শ্রæতি হাসান কমল হাসানের মেয়ে। বাবার মতোই গুণী। এখন দক্ষিণেই বেশি সিনেমা করছেন তিনি। কিন্তু বলিউডে লাকে সিনেমাতে অভিনয় করে বেশ ভালো সাড়া পেয়েছিলেন। অনেকেই হয়ত জানেন না, শ্রæতি হাসান কিন্তু বেশ ভালো গান করেন। অভিনয়ে আসার আগে নিয়মিত ছিলেন এক ব্যান্ড দলে।

দিলজিৎ দোসাঞ্জ

দিলজিৎ দোসাঞ্জ পমুল একজন পাঞ্জাবি সংগীতশিল্পী। অনেক হিট গান তিনি উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের। তিনি পাঞ্জাবি মুভি ‘দ্য লায়ন অব পাঞ্জাব’ [২০১১]-এর মাধ্যমে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশ করেন। পাঁচ বছর পরে তিনি বলিউডে অভিনয়ে নাম লেখান উডতা পঞ্জাব ছবির মাধ্যমে। এরপর আরো সিনেমা করেছেন। গানে তিনি নিয়মিতই আছেন।


আদিত্য নারায়ণ

বলিউডের প্রবাদপ্রতিম গায়ক উদিত নারায়ণের ছেলে আদিত্য ছেলেবেলা থেকেই গান ও অভিনয়ের সঙ্গে জড়িত। বাবার প্রতিভা যে তার মধ্যে রয়েছে তা তিনি ইতোমধ্যে দেখিয়েছেন। যার রক্তে গান মিশে আছে সে গান ভালো গাইবে তা কি আর বলতে ! কিন্তু, আদিত্য শিশুশিল্পী হিসেবে আমির খান অভিনীত রঙ্গিলা চলচ্চিত্রে তার অভিনয়ে কেরিয়ারের শুরু করেছিলেন। তাকে পরদেশ এবং সালমান খানের জব ফেয়র কিসিসে হোতা হ্যায় সিনেমাতেও দেখা গিয়েছে। নায়ক হিসেবে শাপিথ সিনেমায় বেশ প্রশংসনীয় অভিনয় করেছেন তিনি। তাছাড়া অভিনেত্রী প্রিয়ংকা চোপড়া, আলিয়া ভাট, অমিতাভ বচ্চন এবং আরো অনেক অভিনয়শিল্পী আছেন, যারা বেশ ভালো গান করেন। সেই তালিকাও বেশ লম্বা। তা নিয়ে না হয় আরেক দিন বলা যাবে। হ

লেখা : ফাতেমা ইয়াসমিন