জমে উঠেছে আলভী-মিমের রসায়ন

19 Jun 2023, 01:39 PM কাভার জুটি শেয়ার:
জমে উঠেছে আলভী-মিমের রসায়ন

সুন্দর হাসি ও মধুর কণ্ঠস্বর দিয়ে বর্তমানে ছোটোপর্দায় আলো জ্বেলে চলেছেন অভিনেতা যাহের আলভী। প্রতিযোগিতার এই সময়ে সাবলীল অভিনয় দিয়ে নিজের অবস্থান বেশ পোক্ত করেছেন এই অভিনেতা। তার অভিনীত বেশিরভাগ নাটকই দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। শুধু তাই নয় বেশকিছু নাটক কোটির উপরে ভিউ হয়েছে। এতেই বোঝা যাচ্ছে দর্শকের কাছে তার জনপ্রিয়তা কতখানি। অন্যদিকে তরুণ অভিনয়শিল্পী অনিন্দিতা মিমি বেশকিছু নাটকে কাজ করে তিনিও বেশ পরিচিত হয়ে উঠছেন। মিমির বেশিরভাগ নাটকের সহশিল্পী যাহের আলভী। দু’জনের সঙ্গে কথা হয় তাদের বর্তমান, ভবিষৎ ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে। লিখেছেন শেখ সেলিম ...


বর্তমান সময়ে যেকজন অভিনয়শিল্পী তাদের সাবলীল অভিনয় দিয়ে দর্শকের চোখের মণিকোঠায় জায়গা করে নিয়েছেন তাদেরই একজন যাহের আলভী। উত্তর আইরিশের প্রখ্যাত অভিনেতা লিয়াম জন নিসন অভিনয় প্রসঙ্গে বলেছিলেন, অভিনয়কে অভিনয় না বরং বাস্তবে রূপ দিয়ে প্রাণবন্ত করে তুলুন। লিয়াম নিসনের এই উক্তিটি হয়ত হৃদয়ে ধারণ করে পথ চলছেন যাহের আলভী। প্রমাণ মেলে তার প্রতিটি নাটকে। যাহের আলভী অভিনীত নাটকগুলো দেখলে মনে হবে চরিত্রটি বোধ হয় তার নিজেরই! কীভাবে সম্ভব জানতে চাইলে আলভী বলেন, ‘এক চরিত্র থেকে আরেক চরিত্রে প্রবেশ করা শুরুর দিকে অনেক কষ্টকর ছিল, কাজ করতে করতে এখন অভ্যস্ত হয়ে গেছে। কিছু কিছু চরিত্র কঠিন মনে হলে, তখন একটু সময় নিতে হয়, এই ক্ষেত্রে একটু অ্যানালাইসিস করতে হয়, এই ধরনের চরিত্রগুলো কারা করে আসছে, কীভাবে করে আসছে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে হয়। এখন যেহেতু নিয়মিত কাজ করতে হয় অভ্যাস হয়ে গেছে।

অন্যদিকে অনিন্দিতা মিমির মিডিয়ায় যাত্রা শুরু ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে। শুরুর প্রথম দিকে কুমারিকা হেয়ার ওয়েল বিজ্ঞাপনচিত্রে ব্যাকগ্রাউন্ড মডেল হন মিমি। বিজ্ঞাপনচিত্রে তার কম উপস্থিতি থাকলেও, তার দ্যুতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে, সুযোগ পান ভালো কিছু কাজের। ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে থাকেন স্বপ্নের দ্বারপ্রান্তে। এরপর সুযোগ পান একটি শর্টফিল্মে । মাবরুর রশিদ বান্নাহ পরিচালিত শর্টফিল্মে কাজ করে বেশ প্রশংসা পেয়েছেন। মিমির অভিনয়ের ক্যারিয়ারের বয়েস একবছরও হয়নি। ইতোমধ্যে কাজ করেছেন এক ডজনের উপরের নাটকে, পাশাপাশি একটি ধারাবাহিক নাটক ও কয়েকটি ওয়েবসিরিজে অভিনয় করেছেন। সবশেষ কাজ করলেন অনিরুদ্ধ রাসেল পরিচালিত কফি বয় নাটকে। নাটকে সহশিল্পী যাহের আলভী।

মিডিয়ায় আসার আগে আলভী গান গাইতেন। গানই ছিল তার প্রাণ। গানের জন্য একটি রিয়েলিটি শোতে অডিশনও দিয়েছিলেন। টপ ফিফটি পর্যন্ত এসেছিলেন। এরপর এখান থেকে বাদ পড়ে যান। ওই বছরই হিরো নির্বাচনের একটি রিয়েলিটি শোতে অংশ নেন আলভী। ফেয়ার অ্যান্ড হ্যান্ডসাম চ্যানেল আই ইমামী আলটিমেট ম্যান প্রতিযোগিতায় অংশ নেন তিনি। ধাপে ধাপে সামনের দিকে এগিয়ে যান। সেসময় আলভীর মনে হলো গানে যেহেতু ভালো করতে পারেন নি, তাহলে অভিনয়ে কিছু একটা করা যাক, সেই চিন্তা থেকেই অভিনয়ে ঝুকে পড়েন আলভী। আলভী বলেন, গানটি যেহেতু নিজের আত্মার খোরাক, সেটা কখনো ছাড়ব না। খুব শিগ্গিরই আমার অভিনীত নাটকগুলোতে আমার কন্ঠে গান শুনতে পাবেন। মাঝে মাঝে নাটকেও গান করি।

অনেক দর্শক ইউটিউবে আলভীর অভিনয় ও কন্ঠের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এই প্রসঙ্গে আলভী বলেন একজন শিল্পীর সবচেয়ে বড়ো প্রাপ্তি কিন্তু এটাই। দর্শকের জন্যই কিন্তু আমরা। আমি কৃতজ্ঞ আমার দর্শকের কাছে, যারা আমার অভিনয়কে ভালোবাসেন। আপনাদের ভালোবাসা কাজের প্রতি আমাকে আরো দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়।

আলভীর অভিনয়ে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, তবে দেশ বিদেশের অনেক শিল্পীকে অনুসরণ করেন। শুধু তাই নয়, প্রচুর দেশি বিদেশি সিনেমাও দেখেন। বলতে গেলে দেখতে দেখতে অভিনয়টা রপ্ত করেছেন এই অভিনেতা। আলভী বলেন এখনও আমি অভিনয় শিখছি। দেশে আমি আহমেদ রুবেল স্যারকে অনুসরণ করি, বিদেশে হলিউডের জনি ডেপ, বলিউডে শাহরুখ খান। তাদের আমি অনুসরণ করি, অনুকরণ নয়। সিনেমা দেখা আমার পুরনো অভ্যাস। যখনই সুযোগ পাই সিনেমা দেখি। বাংলাদেশের বাইরে গেলেও সময় পেলে সিনেমা হলে গিয়ে ছবি দেখা হয়। বাংলাদেশে সবশেষ হলে গিয়ে দেখেছি ‘হাওয়া’ ছবিটি। বাসায় কয়েকদিন আগে দেখলাম মার্ক ফরস্টারের ‘এ ম্যান কল অটো’ [otto] ছবিটি। শুধু তাই নয়, আমার ইন্ডাস্ট্রির অন্য অভিনয়শিল্পীদের নাটকও দেখি।’

অন্যান্য শিল্পীর মতো আলভীরও বড়োপর্দায় কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে। কিন্তু কবে, এই প্রসঙ্গে আলভী বলেন, সিনেমার অফার অহরহ আছে, গল্প ভালো লাগেনি বলে করা হয়নি। আমি প্রথম যে সিনেমায় অভিনয় করব, সেটা দিয়েই বাজিমাত করতে চাই। এখন পর্যন্ত আমার মনের মতো চরিত্রের গল্প পাইনি, তাই কাজ করা হয়ে ওঠেনি। যেদিন পাব। সেদিন থেকে সিনেমার প্রস্তুতি নেব। এবং আমার সবটুকু দিয়ে কাজটি করব।

ক্যারিয়ারে প্রথমদিকের কথা জানতে চাইলে আলভী বলেন ‘ক্যারিয়ার গড়ার শুরুটা কারোই স্মুথ ছিল না। আমারও ছিল না। শুরুটা অনেক কঠিন ছিল বলতে গেলে তেমন সাপোর্ট ছিল না, পরিবারেরও সাপোর্ট পেতাম না। আমার অনুপ্রেরণা আমি নিজেই। কারণ আমি না চাইলে আমাকে কেউ হাজার অনুপ্রেরণা দিয়ে কিছু করাতে পারত না। যেসময়ে সাপোর্ট প্রয়োজন ছিল পাইনি, আমি কিন্তু হাল ছাড়িনি। আমার বিশ্বাস ছিল আমি পারব। হতাশা সবার জীবনে আসে, আমার জীবনে ছিল, ডিপ্রেস সবার ভেতরেই কাজ করি। আমি শক্ত মনের একজন মানুষ। আশাবাদী একজন মানুষ। আমি যদি কিছু করতে চাই সেটা যদি ১০ বছর পরও হয় আমি সেটা করবই। আমি মনে করি, আজকে যে অবস্থায় আছি, লেগে ছিলাম বলেই এ পর্যন্ত আসতে পেরেছি।

মিমির কাছে জানতে চাই মিডিয়ায় কাজ করতে এসে কেমন লাগছে ? মিমি বলেন ভালোই তো লাগছে। ভালো না লাগলে তো আর কাজ করতে উৎসাহ পেতাম না। শুরুর সময় আমাকে অনেক স্ট্রাগল করতে হয়েছে, এখনও করতে হচ্ছে, কাজ করতে এসে এখন পর্যন্ত খারাপ কিছু পাই নি। আমার কাছে সবকিছু পজেটিভ মনে হয়েছে। প্রত্যোকটি কাজেই স্ট্রাগল আছে, এখানে স্ট্রাগল রয়েছে। স্ট্রাগল যেকোনো কাজের একটা অংশ।

এ পর্যন্ত যেকজন সহশিল্পীর সঙ্গে কাজ করেছি, তারমধ্যে সবচেয়ে ভালো লেগেছে আলভীর সঙ্গে কাজ করতে। এছাড়া শ্যামল মাওলার সঙ্গেও কাজ করে ভালো লেগেছে। আলভী কাজের ক্ষেত্রে অনেক বেশি সাপোর্টার। প্রথম যখন ওর সঙ্গে কাজ করি, তখন তো তেমন একটা ধারণা ছিল না, আলভী প্রথম কাজে ধরে ধরে আমাকে বুঝিয়ে দিয়েছে। আলভী অভিনেতা হিসেবে যেমন অতুলনীয়, ব্যক্তি আলভীও অসাধারণ। সবচেয়ে বড়ো কথা হলো আলভীর ভেতরে কোনো অহংকার নেই। সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে। আলভীকে অভিনেয়ে আসার আগে থেকেই চিনি। তার অভিনীত বেশকিছু নাটকও দেখেছি।

অনেক সহশিল্পীর সঙ্গেই আলভী কাজ করেছেন, তবে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন ইফফাত আরা তিথির সঙ্গে। নাটকে তাদের রসায়নও বেশ চমৎকার ও প্রশংসনীয়। দর্শক কমেন্টস-এ এই জুটির বেশি বেশি নাটকও দেখতে চান। এই প্রসঙ্গে আলভী বলেন, ‘কোনো সহশিল্পীর সঙ্গে কাজ করতে আমার অনীহা নেই। সবার সঙ্গে কাজ করি, তিথির সঙ্গে এখন বেশি কাজ করা হচ্ছে। তিথিকে প্রথম দীপ্ত টিভির একটি নাটকে দেখি, ওর অভিনয়, বডিল্যাংগুয়েজ ভালো লাগল। যখন ওর সঙ্গে প্রথম কাজ করলাম বেশ ভালো লাগল, ও কাজটাকে খুব ভালোবাসে।’

সবাই আমাদের কাজটাকে সুন্দরভাবে গ্রহণ করছে। তিথির সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে বুঝলাম সে খুব পরিশ্রমী, প্রতি মুহূর্তে ওর অভিনয়ের উন্নতি হচ্ছে। শেখার কোনো শেষ নেই, তিথির শেখার আগ্রহও প্রবল। ইন্ডাস্ট্রিতে অনেকে কাজের জন্য কাজ করে, কেউ ভালোবাসার জন্য কাজ করে, অনেকে টিকে থাকার জন্য কাজ করে। আমি ভালোবেসে কাজ করি। আমার কাছে মনে হয়েছে, তিথি ভালোবেসে কাজ করে। আমাদের রসায়ন জমছে। তিথি ছাড়াও প্রভা, অহনাসহ অনেকের সঙ্গে কাজ করে আমার ভালো লেগেছে। এককথায় আমার সবার সঙ্গে কাজ করতে ভালো লাগে। অভিনয়ে সিঙ্কটা একটা বড়ো ব্যাপার। এই বিষয়টা বোঝা যায় স্ক্রিনে। কারণ, অভিনয়ে সহশিল্পীর কাউন্টার সংলাপ যদি দুর্বল হয়, তখন গল্প দুর্বল হয়ে যায়। তিথির সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে দু’জনের বোঝাপড়া অনেক সহজ হয়।’

প্রতিটি মানুষের মধ্যে খারাপ ভালো দুটি গুণ থাকে। আলভীও নিশ্চয়ই এর বাইরে নয়। এই প্রসঙ্গে আলভী বলেন, ‘আমি তো আমাকে চিনি, আমার ভেতরে তেমন খারাপ দিক নেই বললেই চলে, আমি সংস্কৃতিমনা একজন মানুষ।’ সংস্কৃতির মধ্যে থাকতে ভালো লাগে। ভ্রমণ করতে ভালো লাগে, অপ্রয়োজনীয় কথা কম বলি। খারাপ গুণ হচ্ছে দেরি করে ঘুমাই, সময় মতো খাওয়া দাওয়া করতে পারছি না।

অভিনয়ের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নির্মাণে নাম লেখালেন যাহের আলভী। নির্মাণে আসার কারণ প্রসঙ্গে আলভী বলেন আমি প্রচুর সিনেমা ও নাটক দেখি, ভ্রমণ করি, জীবন উপভোগ করি। আমি প্রতিনিয়ত অনেক গল্প পড়ি, মাথায় অনেক গল্পও খেলে, এই গল্পগুলো নিয়ে যখন আমি ভিজ্যুয়ালি কল্পনা করি, আমার কাছে মনে হয় এই গল্পগুলো আমি যেভাবে ভেবেছি, আমি ছাড়া অন্য কেউ ফুটিয়ে তুলতে পারবে না। এই রকম শখের গল্পগুলোতে কাজ করতে নির্মাণে আসা। কিন্তু পেশা হিসেবে নেওয়ার কোনো ইচ্ছে নেই। এক কথায় মনের খোরাক মেটানোর জন্য মাঝে মাঝে দুয়েকটি গল্পে কাজ করব।’

মিমির কাছে জানতে চাওয়া হয় ভবিষৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে। মিমি বলেন, অভিনয়কে পেশা হিসেবেই নিতে চাই। মা বলেন, ছেলেবেলা স্কুলে আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল বড়ো হয়ে কী হতে চাও। আমি বলেছিলাম, অভিনেত্রী হতে চাই । ছেলেবেলা থেকেই যেহেতু অভিনয়ের প্রতি দুর্বল ছিলাম, তাই এটাকে নিয়েই থাকতে চাই ।

বড়োপর্দা সবার একটা স্বপ্নের জায়গা, আমারও এখানে কাজ করার ইচ্ছে আছে, তবে অভিনয়ে যেহেতু নতুন, অভিনয় শিখছি, তাই আপাতত নাটকে নিজেকে ঝালিয়ে নিই, পরে যদি ভালো করি তাহলে বড়োর্পদায় কাজ করব। সবশেষ মিমি রুচি চানাচুরের একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছেন। বিজ্ঞাপনটি এখন প্রচার হচ্ছে। নাটক সিনেমা দেখা হয়। সময় পেলে ভালো গল্পের ছবি মুক্তি পেলে হলে গিয়ে দেখা হয় ।

ভবিষৎ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে আলভী বলেন, বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে নিজেকে সম্পৃক্ত করা, বিজনেস যেহেতু ভালো বুঝি ব্যবসা চালিয়ে যেতে চাই। এখন কফি সপের ব্যবসা রয়েছে, একটি প্রোডাকশন হাউজ রয়েছে, সেগুলো নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই।

২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে ‘অসমাপ্ত কাহন’ নাটকের মধ্য দিয়ে অভিনয় শুরু করেন যাহের আলভী। এরই মধ্যে ক্যারিয়ারের ১০ বছর পার করলেন এ অভিনেতা। এই পর্যন্ত প্রায় তিন শতাধিক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। অভিনীত নাটকগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ‘জামাই’, ‘চোরে চোরে ভায়রা ভাই’, ‘দশ টাকার লাভ’, ‘বিবাহ বিচ্ছেদ, ‘রুম লাভ’, ‘বেয়াইন সাবের প্যারা’, ‘চীনাবাদাম’, ‘কলেজ লাভ’, ‘ক্রেজি লাভার’, ‘প্রেমবাজ’, ‘ভটভটি লাভার’, ‘জামাই বউ বেয়াক্কেল’, ‘বাবু কিন্তু বাবু নয়’, ‘ভাই ধরা খাইছে’, ‘তালাক আমার লাগবেই’, ‘লাইসেন্স হোল্ডার’, ‘পিনিকের পার্টনার’, ‘ভিলেজ প্রজেক্ট’, ‘চিটিং টু ফিটিং’, ‘ভুলের মাশুল’, ‘ডিসকো বাবু’, ‘ছেলে আমার পছন্দ না’, ‘তিন সতিনের ঘর’, ‘গ্রামের গার্লফ্রেন্ড’, ‘প্রেমে পাকা অঙ্কে কাঁচা’, ‘দুই বোনের এক জামাই’, ‘আমার মনে যারে চায়’, ‘লন্ডনি জামাই’, ‘মা বড়ো না বউ বড়ো’, ‘চিংকি পিংকি’, ‘পোড়া কলিজা’, ‘বসের উপর বস’, ‘গার্লফ্রেন্ড যখন অজ্ঞান’, ‘তিন গুটি’, ‘সম্পত্তি ও বিয়ে’, ‘ভাইয়ের হবু বউ’ প্রভৃতি।

দুজনের সঙ্গে কথা হয় কফি হাউজের নাটকের সেটে। নাটকটি পরিচালনা করেন অনিরুদ্ধ রাসেল। নাটকের নাম কফি বয়, নাটকে আলভী একজন ব্যবসায়ী চরিত্রে অভিনয় করেছেন। নাটকে আলভীর বিপরীতে অভিনয় করছেন অনিন্দিতা মিমি। মিমি প্রসঙ্গে আলভী বলেন মিমিও একজন পরিশ্রমী শিল্পী। আমি দেখেছি অ্যাকশন শব্দটি উচ্চারণের পর মিমি চরিত্রে প্রবেশ করতে পারে দারুণভাবে। যেটা একজন শিল্পীর বড়ো গুণ। দেখতে সুন্দর।

আলভীর বেড়ে ওঠা পুরাতন ঢাকায়, ছেলেবেলায় খুব দুষ্টু ছিলেন বলে আলভী দাবি করেন, তবে বেয়াদব ছিলেন না। পড়াশোনায়ও বেশ ভালো ছিলেন।

নানা ছিলেন একজন বিখ্যাত সিনেমা প্রযোজক। অভিনেত্রী জবা চৌধুরী আলভীর নানি। খালারা ভালো গান করতেন, বাবা ভালো ছবি আঁকতেন। আলভী মনে করেন এই বিষয়গুলো তাকে এই অঙ্গনে টেনে এনেছে।